আমাদের স্কুলের একজন মেম ছেলে-মেয়েদের একসাথে গ্রুপস্টাডি করানোর সিদ্ধান্ত নিছিলো, অনেকটা এমন যে কয়েকটা দল বানাই দিবে আর সবগুলোতে কিছু ছেলে আর মেয়ে থাকবে, ছেলেদের মেয়েদেরকে আর মেয়েদের ছেলেদেরকে পড়া দিতে হবে। একদিন বিষয়টা দেখানোর চেষ্টা করছিল তাই অনেক বিছ্রি অবস্থা হয়ে গেছিলো। তো পরে একদিন আমি উনাকে এই বিষয়ে মেসেজ দিসিলাম যে এই বিষয়টাতো আপনার এখতিয়াতে, তবে আমি একটা জিনিস বলতে চায় যে এটা তো ঠিক হচ্ছে না, ছেলে মেয়ে একসাথে না করে আলাদা করলে হয়তো ভালো হয়, তারপর বলছিলাম আমরা মুসলিম, আমাদের ইসলামি অনুশাসন মেনে চলা উচিত, আর কিছু দলিলও দিসিলাম। আর ব্যভিচারের বিষয়ে উনাকে বলছিল। আর আমি বিষয়টা অনেক বিনয়ের সাথে বলছিলাম, এটা দুইবার বলছি যে ছোট মুখে বড় কথা বলে থাকলে আমি দুঃখিত। তো উনি বললো যে তোমার সাথে এই ব্যাপারে স্কুলে কথা বলবো, ধন্যবাদ। আমি বললাম ক্লাসে না বলতে, উনি বলছে আলাদাভাবে বলবে। তো এই কথা হলো। পরদিন আমি স্কুলে যায় নাই। ঐদিন নাকি উনি ক্লাসে না পড়িয়ে পুরা ক্লাস এসব নিয়ে লেকচার দিসে, যে তোমাদেরকে দিয়ে কিছু হবে না, বেশি লজ্জা পাও, জ্ঞান অর্জনের জন্য সবকিছু করা যায়, সূরা বাকারার কোন কোন আয়াতের দলিলও দিসে নাকি যেটা হয়তো ভুল ছিল, আরেকটা কথা বলতেছিল যে তোমাদের কেউ নিজের মত দিতে চাইলে দিতে পার, এমন বলতেছিল। এখন ভাই আমাকে বলেন কি করাটা আমার জন্য উত্তম হবে। যদি ক্লাসে নিজের মত দিতে বলে নিজের থেকে তাহলে কি আমি দাড়ায় বলবো? বা কি করাটা ঠিক হবে, এই বিষয়ে উপদেশ আশা করি আপনার থেকে।