আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
311 views
in হজ ও উমরা (Hajj and Umrah) by (45 points)
আসসালামু আলাইকুম।

আমার নিসাব পরিমাণ স্বর্ণ নাই। কিন্তু এক লক্ষ টাকা আছে ব্যাংকে। আমার কি হজ্ব ফরজ হয়েছে? ২০১৮ সালে আমি আর আমার স্বামী হজ্বের নিয়ত করি। রেজিস্ট্রেশন করি। আমার স্বামীর উপর হজ্ব ফরজ। কিন্তু করোনা পরিস্থিতির জন্য আমাদের হজ্বে যাওয়া হয়নি। এবার সম্ভবত আমাদের যাওয়া হবে কিন্তু ২ জন যাবার মত টাকা আমার স্বামীর কাছে নাই। এবার খরচ ও বেশি। এখন আমরা যদি লোন করে হজ্বে যাই এবং পরে এসে লোন পরিশোধ করি তবে কি হজ্ব হবে? আমার হজ্বে যাবার অনেক ইচ্ছা কিন্তু স্বামীর উপর চাপ দেওয়া কি ঠিক হবে?

1 Answer

0 votes
by (574,080 points)
জবাব
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم 



আল্লাহ তাআলা ইরশাদ করেছেন-

ولله على الناس حج البيت من استطاع اليه سبيلا، ومن كفر فان الله غنى عن العلمين.

 (তরজমা) মানুষের মধ্যে যারা সেখানে (বায়তুল্লাহ) পৌঁছার সামর্থ্য রাখে তাদের উপর আল্লাহর উদ্দেশ্যে এ গৃহের হজ্ব করা ফরয। আর কেউ যদি অস্বীকার করে তাহলে তোমাদের জেনে রাখা উচিত যে, আল্লাহ তাআলা সৃষ্টিজগতের প্রতি মুখাপেক্ষী নন।-সূরা আলে ইমরান (৩) : ৯৭

★হজ্ব ফরজ হয় দৈনন্দিন খরচ বাদে হজ্বে আবশ্যকীয় প্রয়োজনে যে পরিমাণ টাকা প্রয়োজন তথা যাওয়া আসা, সেখানে থাকা খাওয়া ইত্যাদি পরিমাণ টাকা থাকলে ব্যক্তির উপর হজ্ব করা ফরজ হয়ে থাকে।
সে হিসেবে দেখতে হবে বর্তমানে হজ্ব করতে গেলে কত টাকা লাগবে। সে টাকা উক্ত ব্যক্তির কাছে থাকলে তার উপর হজ্ব করা আবশ্যক।
,
বিস্তারিতঃ  
হজ্বের সামর্থ্য হলো- ব্যক্তি শারীরিকভাবে সুস্থ হওয়া এবং বায়তুল্লাহতে পৌঁছার মত যানবাহন যেমন- বিমান, গাড়ী, সওয়ারী ইত্যাদির মালিক হওয়া অথবা এগুলোতে চড়ার মত ভাড়ারঅধিকারী হওয়া এবং যাদের ভরণপোষণ দেয়া ফরজ তাদের খরচ পুষিয়ে হজ্বে আসা-যাওয়া করার মত সম্পত্তির মালিক হওয়া। নারীর ক্ষেত্রে হজ্ব বা উমরার সফর সঙ্গি হিসেবে স্বামী বা মাহরাম কেউ থাকা। এর সাথে আরো যে শর্তটি যোগ করা যায় সেটা হচ্ছে- বায়তুল্লাহ শরিফে পৌঁছার ব্যয় তার আবশ্যকীয় খরচ, শরয়ি আইনানুগ খরচ, ঋণ ইত্যাদির অতিরিক্ত হওয়া। 

খরচের ক্ষেত্রে ধর্তব্য হলো- হজ্ব থেকে ফিরে আসা পর্যন্ত তার নিজের ও পরিবার-পরিজনের খরচ পোষানোর মত সামর্থ্য থাকা এবং ফিরে আসার পর তার নিজের ও নিজ পরিবারের খরচ চালানোর মত সামর্থ্য থাকা যেমন- বাসা ভাড়া, বেতন বা ব্যবসা ইত্যাদি ঠিক থাকা। 

বিস্তারিত জানুনঃ  

প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন, 
প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে আপনার কাছে যেই পরিমান স্বর্ণ আছে,তাহা বর্তমান বাজারে বিক্রয় করতে গেলে কত টাকা হতে পারে?
আনুমানিক সেটির হিসেক করে ব্যাংকে গচ্ছিত টাকা যোগ করে মোট কত টাকা হয়,সেটির হিসেব করুন।

যদি তাহা আপনার প্রয়োজনীয় খরচ থেকে অতিরিক্ত হয়,ও  বায়তুল্লাহ শরিফে পৌঁছা সেখান থেকে ফেরার ব্যয় তার আবশ্যকীয় খরচ, শরয়ি আইনানুগ খরচ, ঋণ ইত্যাদির অতিরিক্ত হয়,তাহলে আপনার উপর হজ্জ ফরজ হবে । 
নতুবা নয়।

★আপনি লোন নিয়ে হজ্জ করলে যদিও এই লোন নেয়া নাজায়েজ হবে,তবে আপনার হজ্জ আদায় হয়ে যাবে।

এক্ষেত্রে যদি হারাম টাকায় সেই লোন শোধ করা হয়,তাহলে সেই হজ্জ আদায় হয়ে গেলেও তাহা কবুল হবেনা।

আর হালাল টাকায় শোধ করা হলে,ও শরীয়ত সম্মত পন্থায় ইখলাস সহকারে হজ্জ করলে  তাহা কবুল হবে,ইনশাআল্লাহ।  

★হজ্জে যাওয়ার জন্য স্বামীর উপর চাপ দেওয়া ঠিক হবেনা।
তবে আপনি নিজ টাকায় হজ্জ করলে এক্ষেত্রে স্বামীও হজ্জে যেতে চাইলে তাকে নিজের সাথে যাওয়ার জন্য চাপ দিতে পারবেন।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...