আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
142 views
in পরিবার,বিবাহ,তালাক (Family Life,Marriage & Divorce) by (7 points)
আসসালামু আলাইকুম,
আমার এক আত্মীয়ের তালাক হয় কিছুদিন আগে। স্বামী ড্রাগ এডিক্টেড ছিল, চারিত্রিক সমস্যা, এছাড়া পারিবারিকভাবে এমনভাবে কিছু সমস্যা ক্রিয়েট হয় যেখানে কোনভাবেই সংসার করা সম্ভব হচ্ছিল না(অপবাদ দেওয়া, কুতসা রটানো), স্বামী বিদেশ ফেরত যাওয়ার পর স্ত্রী তার বাপের বাড়িতে থাকাকালীন এক বছর কোন প্রকার ভরণপোষণ দেয়নি। যাওয়ার আগে দুই মাসের সংসার জীবনেও কোন প্রকার ভরণপোষণ দেয়নি। ।উপরন্তু স্বামী বিদেশ যাওয়ার প্লেন ভাড়ার টাকাটাও শ্বশুর পক্ষ দেয়। অর্থাৎ সবকিছু মিলিয়ে স্বামী-স্ত্রী এবং দুই পরিবারের মধ্যে সম্পর্ক এমন হয়ে যায়, যেখানে কোনভাবেই বনিবনা হওয়ার সুযোগ ছিল না। যার কারণে স্ত্রী আদালতের মাধ্যমে তালাকের আবেদন করে। এই ব্যাপারে ওই স্বামীকে অবহিত করা হয়। ইভেন দেনমোহরের দাবীও স্ত্রী পক্ষ থেকে করা হয়নি যাতে তালাকের প্রক্রিয়া সহজ হয়। তারপরও স্বামী জেদ বশত তালাকের ব্যাপারে কোন প্রকার রেস্পন্স করেনি৷ এইক্ষেত্রে স্ত্রী বাংলাদেশের আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহন করে আইনজীবীর মাধ্যমে। সে আইনজীবী জানায়, স্বামী যদি নোটিশ পাওয়ার ৯০ দিনের মধ্যে রেস্পন্স না করে তাহলে অটোমেটিক তালাক হয়ে যাবে। এই যে স্বামীর সম্মতি ছাড়া তালাক কার্যকর হওয়া এটা শরীয়ত মতে কতটুকু জায়েজ।
বিদ্রঃ স্বামী তালাকে সম্মতি না দেওয়ার কারণ হলো স্ত্রী যাতে তালাক নিয়ে অন্যত্র বিয়ে করতে না পারে। আর কোন স্বামী কী  চাইলে তার স্ত্রীকে তালাক না দিয়ে এভাবে ঝুলিয়ে রাখতে পারে? শরীয়ত এই ধরনের জুলুমের ব্যাপারে কী বলে?

1 Answer

0 votes
by (675,600 points)
edited by
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম।
জবাবঃ-


https://ifatwa.info/36539/ ফতোয়াতে উল্লেখ রয়েছেঃ  
তালাক হচ্ছে স্বামীর অধিকার। স্বামী তালাক দিলেই তালাক সংঘটিত হবে। 

হাদীস শরীফে এসেছেঃ 

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ يَحْيَى حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ عَبْدِ اللهِ بْنِ بُكَيْرٍ حَدَّثَنَا ابْنُ لَهِيعَةَ عَنْ مُوسَى بْنِ أَيُّوبَ الْغَافِقِيِّ عَنْ عِكْرِمَةَ عَنْ ابْنِ عَبَّاسٍ قَالَ أَتَى النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم رَجُلٌ فَقَالَ يَا رَسُولَ اللهِ إِنَّ سَيِّدِي زَوَّجَنِي أَمَتَهُ وَهُوَ يُرِيدُ أَنْ يُفَرِّقَ بَيْنِي وَبَيْنَهَا قَالَ فَصَعِدَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم الْمِنْبَرَ فَقَالَ يَا أَيُّهَا النَّاسُ مَا بَالُ أَحَدِكُمْ يُزَوِّجُ عَبْدَهُ أَمَتَهُ ثُمَّ يُرِيدُ أَنْ يُفَرِّقَ بَيْنَهُمَا إِنَّمَا الطَّلَاقُ لِمَنْ أَخَذَ بِالسَّاقِ

ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, এক ব্যক্তি নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম -এর নিকট এসে বললো, হে আল্লাহর রসূল! আমার মনিব তার বাঁদীকে আমার সাথে বিবাহ দিয়েছে। এখন সে আমার ও আমার স্ত্রীর মধ্যে বিবাহ বিচ্ছেদ ঘটাতে চায়। রাবী বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মিম্বারে আরোহণ করলেন, অতঃপর বলেনঃ হে লোকসকল! তোমাদের কারো এরূপ আচরণ কেন যে, সে তার গোলামের সাথে তার বাঁদীর বিবাহ দেয়, অতঃপর তাদের মধ্যে বিবাহ বিচ্ছেদ ঘটাতে চায়? নারীর ঊরু স্পর্শ করা যার জন্য বৈধ, তালাকের অধিকার তার।
(সুনানে ইবনে মাজাহ ২০৮১.বায়হাকী ৯/১৫৭, ইরওয়াহ ২০৪১।)

★শরীয়তের বিধান অনুযায়ী  মহিলা নিজের উপর কেবল তখনি তালাক পতিত করতে পারবে, যদি স্বামী তাকে তালাক দেবার অধিকার দিয়ে থাকে।
এটি নিকাহ নামার ১৮ নং ধারাতে হ্যাঁ লেখার মাধ্যমেই হোক,বা পরবর্তীতে মৌখিক বা লিখিত ভাবেই হোক।
,  
সুতরাং স্বামী যদি স্ত্রীকে তালাকের ক্ষমতা প্রদান করে,আর স্ত্রী স্বামী কর্তৃক তালাকে তাভবিজের ক্ষমতাবলে লিখিত বা মৌখিকভাবে নিজের নফসের উপর তালাক দিয়ে দিলে সেটি পতিত হয়ে যাবে।

আরো জানুনঃ 

প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে সেই স্ত্রী যদি যেকোনো ভাবেই হোক,স্বামী কর্তৃক তালাক প্রদানের ক্ষমতা পায়,এবং স্ত্রী যদি তালাক নামায় নিজেকে নিজে তালাক প্রদানের কথা লিখে বা মৌখিক ভাবে বলে,তাহলেই কেবল তালাক পতিত হবে।
নতুবা তালাক পতিত হবেনা।

আর যদি স্ত্রী স্বামী কর্তৃক তালাক প্রদানের ক্ষমতা না পায়,আর স্বামী এভাবে ঝুলিয়ে রাখতে চায়,সেক্ষেত্রে স্ত্রী খোলা করতে পারে।

খোলা হচ্ছে: কোন কিছুর বিনিময়ে স্ত্রী বিচ্ছিন্ন হয়ে যাওয়া। এক্ষেত্রে স্বামী সে বিনিময়টি গ্রহণ করে স্ত্রীকে বিচ্ছিন্ন করে দিবে; এ বিনিময়টি স্বামী কর্তৃক স্ত্রীকে প্রদত্ত মোহরানা হোক কিংবা এর চেয়ে বেশি সম্পদ হোক কিংবা এর চেয়ে কম হোক।

বিস্তারিত জানুনঃ  


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

0 votes
1 answer 125 views
...