আসসালামু আলাইকুম,
আমার এক আত্মীয়ের তালাক হয় কিছুদিন আগে। স্বামী ড্রাগ এডিক্টেড ছিল, চারিত্রিক সমস্যা, এছাড়া পারিবারিকভাবে এমনভাবে কিছু সমস্যা ক্রিয়েট হয় যেখানে কোনভাবেই সংসার করা সম্ভব হচ্ছিল না(অপবাদ দেওয়া, কুতসা রটানো), স্বামী বিদেশ ফেরত যাওয়ার পর স্ত্রী তার বাপের বাড়িতে থাকাকালীন এক বছর কোন প্রকার ভরণপোষণ দেয়নি। যাওয়ার আগে দুই মাসের সংসার জীবনেও কোন প্রকার ভরণপোষণ দেয়নি। ।উপরন্তু স্বামী বিদেশ যাওয়ার প্লেন ভাড়ার টাকাটাও শ্বশুর পক্ষ দেয়। অর্থাৎ সবকিছু মিলিয়ে স্বামী-স্ত্রী এবং দুই পরিবারের মধ্যে সম্পর্ক এমন হয়ে যায়, যেখানে কোনভাবেই বনিবনা হওয়ার সুযোগ ছিল না। যার কারণে স্ত্রী আদালতের মাধ্যমে তালাকের আবেদন করে। এই ব্যাপারে ওই স্বামীকে অবহিত করা হয়। ইভেন দেনমোহরের দাবীও স্ত্রী পক্ষ থেকে করা হয়নি যাতে তালাকের প্রক্রিয়া সহজ হয়। তারপরও স্বামী জেদ বশত তালাকের ব্যাপারে কোন প্রকার রেস্পন্স করেনি৷ এইক্ষেত্রে স্ত্রী বাংলাদেশের আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহন করে আইনজীবীর মাধ্যমে। সে আইনজীবী জানায়, স্বামী যদি নোটিশ পাওয়ার ৯০ দিনের মধ্যে রেস্পন্স না করে তাহলে অটোমেটিক তালাক হয়ে যাবে। এই যে স্বামীর সম্মতি ছাড়া তালাক কার্যকর হওয়া এটা শরীয়ত মতে কতটুকু জায়েজ।
বিদ্রঃ স্বামী তালাকে সম্মতি না দেওয়ার কারণ হলো স্ত্রী যাতে তালাক নিয়ে অন্যত্র বিয়ে করতে না পারে। আর কোন স্বামী কী চাইলে তার স্ত্রীকে তালাক না দিয়ে এভাবে ঝুলিয়ে রাখতে পারে? শরীয়ত এই ধরনের জুলুমের ব্যাপারে কী বলে?