ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
মতলক্বে সেজদা ফরয তথা একটি মুহুর্ত পরিমাণ সময়ে হলেও সেজদা করা নামাযে ফরয।এবং এক তাসবীহ পরিমাণ সেজদাকে দীর্ঘায়ত করা ওয়াজিব।আর তিন তাসবীহ পরিমাণ দীর্ঘায়ত করা সুন্নত।এবং এর চেয়ে বেশী বেজোড় সংখ্যায় দীর্ঘায়ত করা মুস্তাহাব।(আহসানুল ফাতাওয়া-৩/১৯)
وَيَقُولُ فِي رُكُوعِهِ: سُبْحَانَ رَبِّي الْعَظِيمِ ثَلَاثًا وَذَلِكَ أَدْنَاهُ فَلَوْ تَرَكَ التَّسْبِيحَ أَصْلًا أَوْ أَتَى بِهِ مَرَّةً وَاحِدَةً يَجُوزُ وَيُكْرَهُ
মুসাল্লি রু'কু তে তিনবার সুবহানা রাব্বিয়াল আযিম বলবে।এবং এটা সর্বনিম্ন।তবে যদি কেউ তাসবীহ ছেড়ে দেয়,মূলত সে পড়ে না।অথবা একবার পড়ে নেয়,তাহলে সেটাও জায়েয আছে।তবে মাকরুহ হবে।(ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়া-১/৭৪)
وَيَقُولُ فِي سُجُودِهِ سُبْحَانَ رَبِّي الْأَعْلَى ثَلَاثًا وَذَلِكَ أَدْنَاهُ. كَذَا فِي الْمُحِيطِ وَيُسْتَحَبُّ أَنْ يَزِيدَ عَلَى الثَّلَاثِ فِي الرُّكُوعِ وَالسُّجُودِ بَعْدَ أَنْ يَخْتِمَ بِالْوِتْرِ. كَذَا فِي الْهِدَايَةِ فَالْأَدْنَى فِيهِمَا ثَلَاثُ مَرَّاتٍ وَالْأَوْسَطُ خَمْسُ مَرَّاتٍ وَإِلَّا كَمَّلَ سَبْعَ مَرَّاتٍ. كَذَا فِي الزَّادِ وَإِنْ كَانَ إمَامًا لَا يَزِيدُ عَلَى وَجْهٍ يُمِلُّ الْقَوْمَ. كَذَا فِي الْهِدَايَةِ
মুসাল্লি সেজদাতে সুবহানা রাব্বিয়াল আ'লা তিনবার করে বলবে।এবং এটাই সর্বনিম্ন সংখ্যা। মুস্তাহাব হলো তিনের অধিক পড়া।এ ক্ষেত্রে সর্বনিম্ন হলো,তিনবার পড়া,এবং মধ্যম হলো পাঁচ বার পড়া,আর পরিপূর্ণ হলো সাতবার করে পড়া।তবে ইমাম সাহেব এতো অধিক পড়বেন না যে,মুসাল্লিরা অবসাদগ্রস্ত হয়ে পড়ে।(ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়া-১/৭৫)
ইমাম যদি এত দ্রুত রুকু সেজদা করেন,যে মুকতাদি একবারের বেশী বলতে পারছে না,তাহলে এমতাবস্থায় মুকতাদি একবার তাসবিহ পড়ে ইমামের অনুসরণ করবে।(ফাতাওয়ায়ে মাহমুদিয়্যাহ-৫/৬০৮) বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন-https://www.ifatwa.info/1401
সু-প্রিয় পাঠকবর্গ ও প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
রু'কু তে তাসবিহ পড়া হয়েছে কি না? তিনবার পড়া হয়েছে কি না? তা নিয়ে সন্দেহ থাকলে নামাযে কোনো সমস্যা হবে না বরং আপনার নামায হয়ে যাবে। কেননা এক মুহূর্তের জন্য ইমাম সাহেবকে পেয়ে গেলেই হল,নামায হয়ে যাবে। ইনশা'আল্লাহ।