আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
176 views
in সাওম (Fasting) by (100 points)
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহ
১. সাহরি খাওয়ার পর সময় শেষ,  এমন সময় সামান্য ঢেকুরের মতো পানি গলার কাছাকাছি চলে এসে আবার ভিতরে চলে গেলে রোজা ভেঙে যাবে?!  ঢেকুরের সাথে পানি মুখে চলে আসে কিনা বুঝতে পারি না! মনে হয় যে গলা থেকে মুখের সামান্য কাছে এসেছে আর সাথে সাথেই ভিতরে চলে যায় আবার!  খুব তাড়াতাড়ি হয় মাঝে মাঝে বুঝে ওঠার আগেই! করনীয় কি?!

২. রোজাবস্থায় থুথু ফেলার পর ঠোঁটের বাইরে মানে ঠোঁটের  শুকনো অংশে সেই থুথুর অবশিষ্ট লেগে থাকে! এই অবশিষ্ট থুথু  জিহবার মাধ্যমে বা অন্য কোনো ভাবে মুখের ভিতরে প্রবেশ করলে বা গিলে ফেললে রোজা ভঙ্গ হবে?! বাইরে থুথু বের হওয়ার আবার মুখে প্রবেশ করছে যেহেতু!

৩. বাতাসে ধুলো বালি থাকে যা খালি চোখে দেখা যায় না!  এতে আমাদের স্কিনেও সাধারণ ধুলো বালি লেগে থাকে সব সময় যা দেখতে পাই না!    তাই রোজাবস্থায় ঠোঁট শুকনো থাকলে ঠোঁট  জিহবা দিয়ে  ভিজালে  রোজা ভাঙে?!     কারণ ঠোঁটের বাইরের শুকনো অংশেও অদৃশ্য ধুলো বালি থাকতে পারে যা বোঝা যায় না!
৪. নামাজে সিজদাহ্ দিয়ে তাসবীহ পড়ার সময় নামাজের হিজাবের কাপড়  মাঝে মাঝে মুখের ভিতরে চলে যায় সামান্য অর্থাৎ কাপড় মুখের ভিতর লেগে যায়!  রোজাবস্থায় এমন হলে রোজা ভাঙবে?!       কারণ কাপড় সরিয়ে ফেললেও থুথুর সাথে কাপড়ের সামান্য রস মুখের ভিতরে যায়!
৫. রোজাবস্থায় নিকাব পড়ে বাইরে গেলে নিকাব ঠোঁটের সাথে লেগে থাকায় মাঝে মাঝে নিকাবের কাপড় মুখের ভিতর চলে যেতে পারে! নিকাবের সাথে লেগে থাকা অদৃশ্য ধুলো বালি আর কাপড়ের রস মুখে প্রবেশ করে এতে এবং থুথু গিলে ফেললে তা ভিতরে যায়!  এতে রোজা ভঙ্গ হবে?!

৬. রোজা রেখে কফ থুথু ফেলার পর ঠোঁটের শুকনো অংশে যে অবশিষ্ট থুথু লেগে থাকে তা  টিস্যু বা কাপড় দিয়ে মুছে ফেললে অতঃপর জিহবা  সেই শুকনো অংশে লাগলে, অথবা  নিজের ঠোঁট কামড়িয়ে থুথু গিলে ফেললে রোজা ভাঙবে?

৭. রোজাবস্থায় কফ থুথু ফেলে ঠোঁটের বাইরে অর্থাৎ ঠোঁটের শুকনো অংশে অবশিষ্ট যে থুথু লেগে থাকে তা টিস্যু দিয়ে মুছে ফেলি সবসময়!  এটা কি জরুরি?!

৮.   উক্ত অবস্থায়  ঠোঁটের বাইরে শুকনো অংশের সেই অবশিষ্ট থুথু না মুছে গিলে ফেললে রোজা ভেঙে যাবে?
৯. রোজাবস্থায় ওজু করার পর ঠোঁটে পানি থেকে যায়!  পানি হাত দিয়ে মুছে ফেলার পরও সামান্য থেকে যায়!  তখন কিছু তিলাওয়াত করলে ঠোঁটে থাকা পানি মুখের ভিতর প্রবেশের সম্ভাবনা থাকে!  করনীয় কি?

১০. আলাদা একটা কাপড় রাখি যদি যেটা দিয়ে রোজাবস্থায় ঠোঁটে লেগে থাকা থুথু আর পানি মুছবো শুধু! সেই এক কাপড় দিয়েই বার বার মুছতে পারবো?!  নাকি সেই কাপড়ের সব অংশ দিয়ে মুছে ফেললে ধুয়ে নিতে হবে কাপড়টা?
মানে কাপড়ের একই জায়গা দিয়ে দুইবার থুথু বা পানি মুছতে পারবো না এমন?

১১. রোজাবস্থায় চেহারায়  পাউডার দিলে পাউডার নিশ্বাসের সাথে নাকের ভিতর যেতে পারে!  এতে রোজা ভাঙে?

১২. রোজাবস্থায় চেহারায় পাউডার দিয়ে মুছে ফেলার পরও পাউডার নিশ্বাসের সাথে নাকের বা মুখের ভিতরে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে? পাউডার দেয়া যাবে কিনা!

১৩. রোজাবস্থায় মাথার চুল মুখের ভিতর চলে গেলে চুল সরিয়ে ফেলার পর থুথু গিলে ফেললে রোজা ভাঙবে?  নাকি থুথু ফেলে দিতে হবে?  এসময় চুলে যদি তেল দেয়া থাকে অথবা তেল ছাড়া থাকে উভয় ক্ষেত্রেই সেইম বিধান?!

১৪.  ভাংংতি রোজা রাখার নিয়ত কিভাবে করতে হয়?
১৫ কোনো নিয়ত না বলেই যদি ভাবি যে ভাংতি রোজা বা শাওয়ালের রোজা রাখছি তাহলেও নিয়ত করা হবে?

১৬. শাওয়ালের ৬ রোজা কতদিনের মধ্যে রাখা যায়? ইদের  চাঁদ যতদিন থাকবে ততদিন?

জাযাকাল্লাহ খাইর!

1 Answer

0 votes
by (589,170 points)
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
(১)
সাহরি খাওয়ার পর সময় শেষ,  এমন সময় সামান্য ঢেকুরের মতো পানি গলার কাছাকাছি চলে এসে আবার ভিতরে চলে গেলে রোজা ভঙ্গ হবে না। 

(২)
রোজাবস্থায় থুথু ফেলার পর ঠোঁটের বাইরে মানে ঠোঁটের  শুকনো অংশে সেই থুথুর অবশিষ্ট লেগে থাকে! এই অবশিষ্ট থুথু  জিহবার মাধ্যমে বা অন্য কোনো ভাবে মুখের ভিতরে প্রবেশ করলে বা গিলে ফেললে রোজা ভঙ্গ হবে না।

(৩)
রোজাবস্থায় ঠোঁট শুকনো থাকলে ঠোঁট  জিহবা দিয়ে ভিজালেও রোজা ভঙ্গ হবে না।

(৪)
নামাজে সিজদাহ্ দিয়ে তাসবীহ পড়ার সময় নামাজের হিজাবের কাপড় মাঝে মাঝে মুখের ভিতরে চলে যায় সামান্য অর্থাৎ কাপড় মুখের ভিতর লেগে যায়।রোজাবস্থায় এমন হলে রোজা ভাঙবেনা।

(৫)
রোজাবস্থায় নিকাব পড়ে বাইরে গেলে নিকাব ঠোঁটের সাথে লেগে থাকায় মাঝে মাঝে নিকাবের কাপড় মুখের ভিতর চলে যেতে পারে! নিকাবের সাথে লেগে থাকা অদৃশ্য ধুলো বালি আর কাপড়ের রস মুখে প্রবেশ করে এতে এবং থুথু গিলে ফেললে তা ভিতরে যায়!  এতেও রোজা ভঙ্গ হবে না।

(৬)
রোজা রেখে কফ থুথু ফেলার পর ঠোঁটের শুকনো অংশে যে অবশিষ্ট থুথু লেগে থাকে তা  টিস্যু বা কাপড় দিয়ে মুছে ফেললে অতঃপর জিহবা  সেই শুকনো অংশে লাগলে, অথবা  নিজের ঠোঁট কামড়িয়ে থুথু গিলে ফেললেও রোজা ভঙ্গ হবে না।

(৭)
রোজাবস্থায় কফ থুথু ফেলে ঠোঁটের বাইরে অর্থাৎ ঠোঁটের শুকনো অংশে অবশিষ্ট যে থুথু লেগে থাকে তা টিস্যু দিয়ে মুছে ফেলি সবসময়!  এটা জরুরি নয়।

(৮)
উক্ত অবস্থায়  ঠোঁটের বাইরে শুকনো অংশের সেই অবশিষ্ট থুথু না মুছে গিলে ফেললে রোজা ভঙ্গ হবে না। 

(৯)
রোজাবস্থায় ওজু করার পর ঠোঁটে পানি থেকে যায়!  পানি হাত দিয়ে মুছে ফেলার পরও সামান্য থেকে যায়!  তখন কিছু তিলাওয়াত করলে ঠোঁটে থাকা পানি মুখের ভিতর প্রবেশের সম্ভাবনা থাকে, এতেও রোযা ফাসিদ হবে না।

(১০)
আলাদা কাপড় রেখে এভাবে মুছার কোনো প্রয়োজনিয়তা নাই।

(১১)
রোজাবস্থায় চেহারায় পাউডার দিলে পাউডার নিশ্বাসের সাথে নাকের ভিতর যেতে পারে, যদি তা অনিচ্ছাকৃত হয়, তাহলে এতেকরে রোযা ফাসিদ হবে না। তবে রোযা অবস্থায় পাউডার না দেয়াই উত্তম।

(১২)
রোজাবস্থায় চেহারায় পাউডার দিয়ে মুছে ফেলার পরও পাউডার নিশ্বাসের সাথে নাকের বা মুখের ভিতরে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে, সুতরাং পাউডার না দেয়াই উত্তম।

(১৩)
রোজাবস্থায় মাথার চুল মুখের ভিতর চলে গেলে চুল সরিয়ে ফেলার পর থুথু গিলে ফেললে রোজা ফাসিদ হবে না। এসময় চুলে যদি তেল দেয়া থাকে অথবা তেল ছাড়া থাকে উভয় ক্ষেত্রেই রোযা ফাসিদ হবে।তবে তেল থাকাবস্থায় উত্তম হল, থুথু বাহিরে ফেলে দেয়া।

(১৪)
ভাংতি রোজা রাখার জন্য এভাবে নিয়তে রাখবেন, আপনার যে সব রোযা এই রমজানে কাযা হয়েছে, সেই সব রোযা থেকে বর্তমানে আপনি প্রথম বা শেষ রোযা রাখছেন।

(১৫)
না, আপনাকে নিয়ত করতেই হবে। ভাংতি রোযার নিয়ত করতে হবে। 

(১৬)
পুরো শাওয়াল মাস জুড়েই রাখা যাবে।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

0 votes
1 answer 161 views
0 votes
1 answer 249 views
0 votes
1 answer 128 views
...