ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
(১)
সাহরি খাওয়ার পর সময় শেষ, এমন সময় সামান্য ঢেকুরের মতো পানি গলার কাছাকাছি চলে এসে আবার ভিতরে চলে গেলে রোজা ভঙ্গ হবে না।
(২)
রোজাবস্থায় থুথু ফেলার পর ঠোঁটের বাইরে মানে ঠোঁটের শুকনো অংশে সেই থুথুর অবশিষ্ট লেগে থাকে! এই অবশিষ্ট থুথু জিহবার মাধ্যমে বা অন্য কোনো ভাবে মুখের ভিতরে প্রবেশ করলে বা গিলে ফেললে রোজা ভঙ্গ হবে না।
(৩)
রোজাবস্থায় ঠোঁট শুকনো থাকলে ঠোঁট জিহবা দিয়ে ভিজালেও রোজা ভঙ্গ হবে না।
(৪)
নামাজে সিজদাহ্ দিয়ে তাসবীহ পড়ার সময় নামাজের হিজাবের কাপড় মাঝে মাঝে মুখের ভিতরে চলে যায় সামান্য অর্থাৎ কাপড় মুখের ভিতর লেগে যায়।রোজাবস্থায় এমন হলে রোজা ভাঙবেনা।
(৫)
রোজাবস্থায় নিকাব পড়ে বাইরে গেলে নিকাব ঠোঁটের সাথে লেগে থাকায় মাঝে মাঝে নিকাবের কাপড় মুখের ভিতর চলে যেতে পারে! নিকাবের সাথে লেগে থাকা অদৃশ্য ধুলো বালি আর কাপড়ের রস মুখে প্রবেশ করে এতে এবং থুথু গিলে ফেললে তা ভিতরে যায়! এতেও রোজা ভঙ্গ হবে না।
(৬)
রোজা রেখে কফ থুথু ফেলার পর ঠোঁটের শুকনো অংশে যে অবশিষ্ট থুথু লেগে থাকে তা টিস্যু বা কাপড় দিয়ে মুছে ফেললে অতঃপর জিহবা সেই শুকনো অংশে লাগলে, অথবা নিজের ঠোঁট কামড়িয়ে থুথু গিলে ফেললেও রোজা ভঙ্গ হবে না।
(৭)
রোজাবস্থায় কফ থুথু ফেলে ঠোঁটের বাইরে অর্থাৎ ঠোঁটের শুকনো অংশে অবশিষ্ট যে থুথু লেগে থাকে তা টিস্যু দিয়ে মুছে ফেলি সবসময়! এটা জরুরি নয়।
(৮)
উক্ত অবস্থায় ঠোঁটের বাইরে শুকনো অংশের সেই অবশিষ্ট থুথু না মুছে গিলে ফেললে রোজা ভঙ্গ হবে না।
(৯)
রোজাবস্থায় ওজু করার পর ঠোঁটে পানি থেকে যায়! পানি হাত দিয়ে মুছে ফেলার পরও সামান্য থেকে যায়! তখন কিছু তিলাওয়াত করলে ঠোঁটে থাকা পানি মুখের ভিতর প্রবেশের সম্ভাবনা থাকে, এতেও রোযা ফাসিদ হবে না।
(১০)
আলাদা কাপড় রেখে এভাবে মুছার কোনো প্রয়োজনিয়তা নাই।
(১১)
রোজাবস্থায় চেহারায় পাউডার দিলে পাউডার নিশ্বাসের সাথে নাকের ভিতর যেতে পারে, যদি তা অনিচ্ছাকৃত হয়, তাহলে এতেকরে রোযা ফাসিদ হবে না। তবে রোযা অবস্থায় পাউডার না দেয়াই উত্তম।
(১২)
রোজাবস্থায় চেহারায় পাউডার দিয়ে মুছে ফেলার পরও পাউডার নিশ্বাসের সাথে নাকের বা মুখের ভিতরে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে, সুতরাং পাউডার না দেয়াই উত্তম।
(১৩)
রোজাবস্থায় মাথার চুল মুখের ভিতর চলে গেলে চুল সরিয়ে ফেলার পর থুথু গিলে ফেললে রোজা ফাসিদ হবে না। এসময় চুলে যদি তেল দেয়া থাকে অথবা তেল ছাড়া থাকে উভয় ক্ষেত্রেই রোযা ফাসিদ হবে।তবে তেল থাকাবস্থায় উত্তম হল, থুথু বাহিরে ফেলে দেয়া।
(১৪)
ভাংতি রোজা রাখার জন্য এভাবে নিয়তে রাখবেন, আপনার যে সব রোযা এই রমজানে কাযা হয়েছে, সেই সব রোযা থেকে বর্তমানে আপনি প্রথম বা শেষ রোযা রাখছেন।
(১৫)
না, আপনাকে নিয়ত করতেই হবে। ভাংতি রোযার নিয়ত করতে হবে।
(১৬)
পুরো শাওয়াল মাস জুড়েই রাখা যাবে।