আমার একজন আত্নীয়, আপু
উনার বিয়ে হওয়ার ৩ মাসের মাথায়, হাসবেন্ড পরকিয়ে সংক্রান্ত কারনে এবং অন্যান্য কারনে আপুর সাথে যোগাযোগ বন্ধ করে দেয়। আপু তার নিজের বাসায় চলে আসে। এরপর বাসার সবাই মিলে,আপুর হাসবেন্ড কে অনেক ফোন দেয়। কিন্তু সে রিসিভ করে না। আপুর বড় ভাই, আপুর হাসবেন্ড এর বাসায় অনেক বার গিয়েছে।কথা বলার জন্য।কিন্তু আপুর বাসা থেকে কেউ আপুর শশুবাড়ি যাওয়ার আগেই, আপুর হাসবেন্ড কোথায় যেনো চলে যেত।
আপুর বড় ভাই, আপুর হাসবেন্ড এর মা,ভাই কে, সে কোথায় জিজ্ঞেস করলে বলত জানে না তারা।
আপুর হাসবেন্ড আবার পুলিশ ছিল।
মাঝে অনেক চেষ্টা করা হয়।যোগাযোগ করার,আলোচনা করার,বা ডিভোর্স দিলে, যেন দিয়ে দেয়।কিন্তু আপুর হাসবেন্ড ইচ্ছা করেই কোন সাড়া শব্দ করেনি।ইচ্ছা করেই যোগাযোগ করে নি। সিনিয়র পুলিশ অফিসার দিয়ে তাকে ডাকানো হয়েছিল।তাও সে আসে নি। (আপুর হাসবেন্ড একটা ঝামেলা করার কারনে বরখাস্ত হয়েছিল কয়েক বছরের জন্য)
আপুর হাসবেন্ড এর এরকম আচরণ করার কারন ছিল,আপু একটু কালো।
এভাবে প্রায় দেড় বছর কেটে যায়। অজস্র ফোন করা হয় রিসিভ না করে,ব্লক করে দেয় আপুর ফেমিলির নাম্বার। এবং অনেক যোগাযোগ এর চেষ্টা করলেও,দেখা করেনি।বলেছে সংসার করবে না।..
এখন কথা হচ্ছে, প্রায় দুই বছর পর, আপুর হাসবেন্ড, তার বড় ভাইয়ের কাছে ডিভোর্স পেপার এ সাইন করে পাঠিয়ে দেয়।আপুর সাথে বা কারো সাথে দেখা করেনি।
ডিভোর্স পেপার সাইন করার, ২ মাস পরে আপুর বিয়ে হয়ে যায়।
আপুর প্রশ্ন, এই বিয়েও কি সঠিক হয় নি?
যেহেতু প্রায় ২ বছর কোন যোগাযোগ নেই।