আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
95 views
in পরিবার,বিবাহ,তালাক (Family Life,Marriage & Divorce) by (1 point)
আমার একজন আত্নীয়, আপু
উনার বিয়ে হওয়ার ৩ মাসের মাথায়, হাসবেন্ড পরকিয়ে সংক্রান্ত কারনে এবং অন্যান্য কারনে আপুর সাথে যোগাযোগ বন্ধ করে দেয়। আপু তার নিজের বাসায় চলে আসে। এরপর বাসার সবাই মিলে,আপুর হাসবেন্ড কে অনেক ফোন দেয়। কিন্তু সে রিসিভ করে না। আপুর বড় ভাই, আপুর হাসবেন্ড এর বাসায় অনেক বার গিয়েছে।কথা বলার জন্য।কিন্তু আপুর বাসা থেকে কেউ আপুর শশুবাড়ি  যাওয়ার আগেই, আপুর হাসবেন্ড কোথায় যেনো চলে যেত।
আপুর বড় ভাই, আপুর হাসবেন্ড এর মা,ভাই কে, সে কোথায় জিজ্ঞেস করলে বলত জানে না তারা।
আপুর হাসবেন্ড আবার পুলিশ ছিল।

মাঝে অনেক চেষ্টা করা হয়।যোগাযোগ করার,আলোচনা করার,বা ডিভোর্স দিলে, যেন দিয়ে দেয়।কিন্তু আপুর হাসবেন্ড ইচ্ছা করেই কোন সাড়া শব্দ করেনি।ইচ্ছা করেই যোগাযোগ করে নি। সিনিয়র পুলিশ অফিসার দিয়ে তাকে ডাকানো হয়েছিল।তাও সে আসে নি। (আপুর হাসবেন্ড একটা ঝামেলা করার কারনে বরখাস্ত হয়েছিল কয়েক বছরের জন্য)

আপুর হাসবেন্ড এর এরকম আচরণ করার কারন ছিল,আপু একটু কালো।

এভাবে প্রায় দেড় বছর কেটে যায়। অজস্র ফোন করা হয় রিসিভ না করে,ব্লক করে দেয় আপুর ফেমিলির নাম্বার। এবং অনেক যোগাযোগ এর চেষ্টা করলেও,দেখা করেনি।বলেছে সংসার করবে না।..

এখন কথা হচ্ছে, প্রায় দুই বছর পর, আপুর হাসবেন্ড, তার বড় ভাইয়ের কাছে ডিভোর্স পেপার এ  সাইন করে পাঠিয়ে দেয়।আপুর সাথে বা কারো সাথে দেখা করেনি।
ডিভোর্স পেপার সাইন করার, ২ মাস পরে আপুর বিয়ে হয়ে যায়।

আপুর প্রশ্ন, এই বিয়েও কি সঠিক হয় নি?

যেহেতু প্রায় ২ বছর কোন যোগাযোগ নেই।

1 Answer

0 votes
by (584,040 points)
edited by

ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
(১.২)
https://www.ifatwa.info/104 নং ফাতাওয়ায় আমরা বলেছি যে,
ইদ্দত কাকে বলে? সে সম্পর্কে ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়ায় বর্ণিত রয়েছে..
هي انتظار مدة معلومة يلزم المرأة بعد زوال النكاح حقيقة أو شبهة المتأكد بالدخول أو الموت كذا في شرح النقاية للبرجندي.
ইদ্দত হল,স্বাভাবিক বিবাহ বিচ্ছেদ বা খালওয়াতে সহীহা(তথা স্বামী-স্ত্রী সহবাসের নিকটবর্তী আচরণ বা নির্জনে বসবাস) বা স্বামীর মৃত্যুর পর মহিলা কর্তৃক শরীয়ত নির্ধারিত কিছুটা সময় অপেক্ষা করা।(অন্য কোথাও বিয়ে না বসা)

https://www.ifatwa.info/16207 নং ফাতাওয়ায় আমরা বলেছি যে,
ইদ্দত দুই প্রকার
(১)তালাকের ইদ্দত
(২)স্বামী মৃত্যুর ইদ্দত

(১)তালাকের ইদ্দত সাধারণত তিন হায়েয বা তিন মাসিক।ছোট বালিকা যার হায়েয এখনো আসেনি বা বৃদ্ধা মহিলা যার হায়েয বন্ধ হয়ে গেছে,তার ইদ্দত হল তিন মাস।আর স্ত্রী গর্ভবতী হলে উক্ত স্ত্রীর ইদ্দত হল সন্তান ভূমিষ্ঠ হওয়া।
(২)স্বামী মৃত্যুবরণ করলে তখন স্ত্রীর ইদ্দত হল চার মাস দশদিন।স্ত্রী সন্তানসম্ভাবনা হলে স্ত্রীর ইদ্দত হল এক্ষেত্রে সন্তান ভূমিষ্ঠ হওয়া। ইদ্দত পালন কালে স্বামীর উপর স্ত্রীর ভরণপোষণ ওয়াজিব।

ইদ্দত পালনকারিণীর অবস্থানঃ
عَلَى الْمُعْتَدَّةِ أَنْ تَعْتَدَّ فِي الْمَنْزِلِ الَّذِي يُضَافُ إلَيْهَا بِالسُّكْنَى حَالَ وُقُوعِ الْفُرْقَةِ وَالْمَوْتِ كَذَا فِي الْكَافِي.
ইদ্দত পালনকারীণী ঐ ঘরে ইদ্দত পালন করবে যেখানে সে বিবাহ বিচ্ছেদন সময়ে বা স্বামীর মৃত্যুকালীন সময়ে অবস্থান করে আসছিলো।(ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়া-১/৫৩৫)

الْمُتَوَفَّى عَنْهَا زَوْجُهَا تَخْرُجُ نَهَارًا وَبَعْضَ اللَّيْلِ وَلَا تَبِيتُ فِي غَيْرِ مَنْزِلِهَا كَذَا فِي الْهِدَايَةِ.
স্বামী মৃত্যুর ইদ্দত হলে স্ত্রী স্বামীর বাড়ীতেই অবস্থান করবে।বিশেষ প্রয়োজন হলে দিনে ও রাত্রের পাথমিক অংশে বাহিরে যেতে পারবে।(ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়া;১/৫৩৪)

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন!
যেহেতু বিয়ের দুই মাস পর ঐ আপুর দ্বিতীয় বিয়ে হয়েছে, তাই এ বিয়ে শুদ্ধ হবে না। তালাকের নোটিশের পর তিন হায়েয বা ততিন মাস অতিক্রান্ত হওয়ার পর এখন আবার ঐ বিয়েকে দোহড়াতে হবে।জাযাকুমুল্লাহ।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (584,040 points)
সংযোজন ও সংশোধন করা হয়েছে।

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...