আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
279 views
in সালাত(Prayer) by (76 points)
আসসালামু আলাইকুম উস্তাদ,


কোনো ব্যক্তির মাইগ্রেনের মাথা ব্যাথা ! সে সালাতে দাড়িয়েছে, ব্যথার কারণে ভুলে (মনের অজান্তে) মুখ দিয়ে খুব সল্প আওয়াজে ইহ, ইহ দুইবার শব্দ বের হয়ে গেছে, আওয়াজ শুধু সে-ই শুনতে পেয়েছে, তার এখন করণীয় কী?


তার নামাজটা কি হয়ে গেছে?

 নাকি ভেঙে গেছে?
আবার প্রথম থেকে পড়তে হবে?

1 Answer

+1 vote
by (606,750 points)
edited by

ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
https://www.ifatwa.info/431 নং ফাতাওয়ায় বলেছি যে,
নামাযে ক্রন্দনের হুকুম সম্পর্কে
চার মাযহাব সম্বলীত সর্ব বৃহৎ ফেক্বাহী গ্রন্থ
"আল-মাওসু'আতুল ফেক্বহিয়্যায় "বর্ণিত  রয়েছে,
الْبُكَاءُ فِي الصَّلاَةِ:
١٢ - يَرَى الْحَنَفِيَّةُ أَنَّ الْبُكَاءَ فِي الصَّلاَةِ إِنْ كَانَ سَبَبُهُ أَلَمًا أَوْ مُصِيبَةً فَإِنَّهُ يُفْسِدُ الصَّلاَةَ؛ لأَِنَّهُ يُعْتَبَرُ مِنْ كَلاَمِ النَّاسِ، وَإِنْ كَانَ سَبَبُهُ ذِكْرَ الْجَنَّةِ أَوِ النَّارِ فَإِنَّهُ لاَ يُفْسِدُهَا؛ لأَِنَّهُ يَدُل عَلَى زِيَادَةِ الْخُشُوعِ، وَهُوَ الْمَقْصُودُ فِي الصَّلاَةِ، فَكَانَ فِي مَعْنَى التَّسْبِيحِ أَوِ الدُّعَاءِ. وَيَدُل عَلَى هَذَا حَدِيثُ الرَّسُول صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَنَّهُ كَانَ يُصَلِّي بِاللَّيْل وَلَه أَزِيزٌ كَأَزِيزِ الْمِرْجَل مِنَ الْبُكَاءِ.
وَعَنْ أَبِي يُوسُفَ أَنَّ هَذَا التَّفْصِيل فِيمَا إِذَا كَانَ عَلَى أَكْثَرِ مِنْ حَرْفَيْنِ، أَوْ عَلَى حَرْفَيْنِ أَصْلِيَّيْنِ، أَمَّا إِذَا كَانَ عَلَى حَرْفَيْنِ مِنْ حُرُوفِ الزِّيَادَةِ، أَوْ أَحَدُهَا مِنْ حُرُوفِ الزِّيَادَةِ وَالآْخَرُ أَصْلِيٌّ، لاَ تَفْسُدُ فِي الْوَجْهَيْنِ مَعًا، وَحُرُوفُ الزِّيَادَةِ عَشَرَةٌ يَجْمَعُهَا قَوْلُكَ: أَمَانٌ وَتَسْهِيلٌ (٢) .8/171ُ
ভাবার্থঃ-নামাযে ক্রন্দনের সবব বা কারণ যদি শারিরিক কষ্ট বা কোনো বিপদাপদ হয় তাহলে এর দ্বারা নামায ফাসিদ হয়ে যাবে।কেননা তখন সেটাকে মানুষের কথা হিসেবে বিবেচনা করা হবে।
আর যদি ক্রন্দনের সবব জান্নাত-জাহান্নমের আলোচনা হয়, তাহলে এদ্বারা নামায ফাসিদ হবে না। কেননা তা মানুষের কথা হিসেবে বিবেচ্য হবে না বরং তা বেশী তাকওয়া ও ভয়ের উপর প্রমাণ করবে। এবং এটাই নামাযের আসল উদ্দেশ্য। সুতরাং তা তাসবীহাতের অন্তর্ভূত থাকবে। যেমন নবীজী সাঃ থেকে বর্ণিত আছে, তিনি রাত্রে নামায পড়তেন,তখন উনার গলার স্বর ক্রন্দনের ধরুণ চিরুনির আওয়াজ মনে হত। ইমাম আবু ইউসুফ রাহ বলেনঃ যখন ক্রন্দনের আওয়াজ দুই হরফের অধিক অথবা মূল দুই হরফ হবে তখন এই হুকুম প্রযোয্য অর্থ্যাৎ উপরোক্ত ব্যখ্যা অনুযায়ী হুকুম প্রযোয্য। কিন্তু যদি  দু'টিই অতিরিক্ত অক্ষর বা একটি মূল ও অন্যটি অতিরিক্ত হয়,তাহলে উভয় অবস্থায়(কষ্টের কারণে হোক বা জান্নত-জাহান্নামের ভয়ে হোক) নামায ফাসিদ হবে না।হরফে যিয়াদত বা অতিরিক্ত অক্ষরসমূহ মোট দশটি।যেমনঃ- َ:
ء، م، ا، ن، و، ت، س، ه، ي، ل

(আল-মাওসু'আতুল ফেক্বহিয়্যায়,৮/১৭১):


সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন!

ইহ ইহ যেহেতু অতিরিক্ত চার হরফের বাক্য, যেহেতু এই হরফগুলো কষ্টের কারণে উচ্ছারিত হয়েছে, তাই এদ্বারা নামায ফাসিদ হয়ে যাবে।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (76 points)
reshown by
উস্তাদ, তার মানে কি আমার নামাজটা হয়ে গেছে? যেহেতু ইহ উহ শব্দ করেছি
by (76 points)
আচ্ছা উস্তাদ, যদি আমি ব্যাথার কারণে ইচ্ছে করে, আহ, উহ আওয়াজ করতাম, তাহলে নামাজ ফাসিদ হয়ে যেত?
by (606,750 points)
জবাবটি আবার পড়েন।
by (76 points)
উস্তাদ, একজন উস্তাদের মুখে শুনেছিলাম, ব্যাথার কারণে আহ উহ করলে নামাজ ভেঙে যায়!

তাই একটু কনফিউজড আমি!
by (606,750 points)
জবাব সংশোধন করা হয়েছে।
আপনি আবার জবাবটি পড়বেন।

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

0 votes
1 answer 320 views
...