আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
223 views
in পরিবার,বিবাহ,তালাক (Family Life,Marriage & Divorce) by (41 points)
edited by
আসসামুআলাইকুম ওরাহমাতুল্লা।

১।কোন ব্যাক্তি স্বপ্নে দেখল সে স্ত্রীকে তালাক দিয়েছে।ঘুম থেকে উঠার পর বা আরো পর  কথাটা স্ত্রীকে বললে কি স্ত্রী তালাক হবে? মানে লোকটা যদি বলে " স্বপ্নে দেখেছি তুমাকে তালাক  দিয়েছি"।এতে কি তালাক হবে?

২।ধরেন কোন স্বামী স্ত্রী জানে না কেনায়া তালাকের ব্যপারে। কোনদিন শুনেও নি।ধরেন স্ত্রী তালাক চাওয়ার পর স্বামী কেনায়া বাক্য বলেছে। যেমনঃ যাওগা বা চলে যাও,মা বাবার পছন্দমত বিয়ে কর গা। পরে স্ত্রী কেনায়া তালাকের ব্যপারে জানার পর স্বামীকে জিগ্যেস করেছে।এতে স্বামি যদি  শপথ করে বলে এসব কথা তালাকের নিয়তে বলে নি,তারা জানেও না এতে তালাক হয়।এতে কি তালাক হবে?স্ত্রী ধরেন তালাকের সংখ্যা উল্ল্যেখ করে নি,আর ধরেন স্ত্রী ৩ তালাক চায় কিন্তুু বলে নি স্বামিকে কয় তালাক চায়।হলেও কয় তালাক হবে? স্বামী জানেও না এতে তালাক হয়। হলেও কয় তালাক হবে? জানার জন্য জিগ্গেস করেছি।আমার বিষয় নয়।

৩।আমি শুনেছি কেনায়া এক তালাক হওয়ার পর আবার বিয়ে না করা পর্যান্ত কোন তালাক দিলেও পতিত হয় না।তহ ধরেন কেউ আজ কেনায়া  এক তালাক দিল।এর পরপর বা পরদিন আবার কেনায়া তালাক দিলে সেটা কি পতিত হবে? বা স্পষ্ট তালাক দিলেও কি পতিত হবে? এটাও জানার জন্য প্রশ্ন করলাম।

৪।ধরেন স্ত্রী স্বামীকে ভালবাসে।স্বামীও বাসে খুব।কিন্তুু মাঝে মাঝে স্ত্রী কস্ট পেয়ে বলে মুক্তি দাও তুমার থেকে মানে এসব কস্ট থেকে। ধরেন স্ত্রী আর স্বামী কেউ জানে না এসব কথা দ্বারা তালাক হয়।তহ স্বামী যদি তালাকের নিয়ত ছাড়া বলে এত ক্স্ট হলে থাকিও না /বা কস্ট  হলে থাকিও না চলে যাও/ বা যদি বলে মুক্তি দিলাম তাহলে কি তালাক হবে? নিয়ত ছাড়া বললে কি তালাক হয়? আসলে জানার জন্য জিগ্গেস করলাম।আমার বিষয় নয়।
by (583,410 points)
আপনি প্রথমে একটা প্রশ্ন করেছিলেন, তাই এই মুহূর্তে আমরা একটি প্রশ্নের জবাব দিয়েছি।
পরবর্তীতে বাকীগুলোর জবাব দেয়া হবে।
by (41 points)
ঠিক আছে শায়েখ।ধন্যবাদ। 

1 Answer

0 votes
by (583,410 points)
edited by

ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
(১)
https://www.ifatwa.info/19017 নং ফাতাওয়ায় বলেছি যে,
আলী (রাঃ) সূত্রে বর্ণিত।
আয়িশাহ (রাঃ) সূত্রে বর্ণিত।
وعن عائشة رضي الله عنها عن النبي صلى الله عليه وسلم أنه قال: ((رفع القلم عن ثلاث: عن النائم حتى يستيقظ، وعن الصغير حتى يكبر، وعن المجنون حتى يعقل أو يفيق
أخرجه أبو داود (4398)،
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেনঃ তিন ধরণের লোকের উপর থেকে কলম উঠিয়ে নেয়া হয়েছেঃ (১) নিদ্রিত ব্যক্তি, যতক্ষণ না জাগ্রত হয়, (২) অসুস্থ (পাগল) ব্যক্তি, যতক্ষণ না আরোগ্য লাভ করে এবং (৩) অপ্রাপ্ত বয়স্ক বালক, যতক্ষণ না বালেগ হয়। (সুনানে আবি-দাউদ-৪৩৯৮)

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
ঘুমন্ত অবস্থার কোনো কিছুই গ্রহণযোগ্য নয়। সুতরাং ঘুমন্ত অবস্থার তালাক গ্রহণযোগ্য হবে না।

(২)
ধরেন এমন, ধরেন তেমন, এভাবে তালাকের মাস'আলায় কিছুই বলা যাবে না। বরং বাস্তবিক ঘটনার আলোকেই তালাক নিয়ে ফাতাওয়া দেওয়া হয়ে থাকে।
সুতরাং এরকম কাল্পনিক প্রশ্ন করা থেকে বিরত থাকার অনুরোধ।

(৩)
একবার কেনায়া তালাক দেয়ার পর বিয়েকে না দোহড়ালে সর্বদাই যিনা ব্যভিচারের গোনাহ হতেই থাকবে। এবং কেনায়া তালাক হওয়ার পর যেহেতু বিয়ে সম্পূর্ণরূপে বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়, তাই পরবর্তী বিয়ে দোহড়ানোর পূর্ব পর্যন্ত আর কোনো তালাক হবে না।

(৪)
"এত ক্স্ট হলে থাকিও না /বা কস্ট  হলে থাকিও না চলে যাও" এসব কথা দ্বারা তালাক হবে না।তবে তালাক চাওয়ার পর স্বামী যদি বলে, "মুক্তি দিলাম " তাহলে এদ্বারা কেনায়া তালাক পতিত হয়ে যাবে।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (583,410 points)
সংযোজন ও সংশোধন করা হয়েছে।

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...