ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
(১)
https://www.ifatwa.info/19017 নং ফাতাওয়ায় বলেছি যে,
আলী (রাঃ) সূত্রে বর্ণিত।
আয়িশাহ (রাঃ) সূত্রে বর্ণিত।
وعن عائشة رضي الله عنها عن النبي صلى الله عليه وسلم أنه قال: ((رفع القلم عن ثلاث: عن النائم حتى يستيقظ، وعن الصغير حتى يكبر، وعن المجنون حتى يعقل أو يفيق
أخرجه أبو داود (4398)،
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেনঃ তিন ধরণের লোকের উপর থেকে কলম উঠিয়ে নেয়া হয়েছেঃ (১) নিদ্রিত ব্যক্তি, যতক্ষণ না জাগ্রত হয়, (২) অসুস্থ (পাগল) ব্যক্তি, যতক্ষণ না আরোগ্য লাভ করে এবং (৩) অপ্রাপ্ত বয়স্ক বালক, যতক্ষণ না বালেগ হয়। (সুনানে আবি-দাউদ-৪৩৯৮)
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
ঘুমন্ত অবস্থার কোনো কিছুই গ্রহণযোগ্য নয়। সুতরাং ঘুমন্ত অবস্থার তালাক গ্রহণযোগ্য হবে না।
(২)
ধরেন এমন, ধরেন তেমন, এভাবে তালাকের মাস'আলায় কিছুই বলা যাবে না। বরং বাস্তবিক ঘটনার আলোকেই তালাক নিয়ে ফাতাওয়া দেওয়া হয়ে থাকে।
সুতরাং এরকম কাল্পনিক প্রশ্ন করা থেকে বিরত থাকার অনুরোধ।
(৩)
একবার কেনায়া তালাক দেয়ার পর বিয়েকে না দোহড়ালে সর্বদাই যিনা ব্যভিচারের গোনাহ হতেই থাকবে। এবং কেনায়া তালাক হওয়ার পর যেহেতু বিয়ে সম্পূর্ণরূপে বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়, তাই পরবর্তী বিয়ে দোহড়ানোর পূর্ব পর্যন্ত আর কোনো তালাক হবে না।
(৪)
"এত ক্স্ট হলে থাকিও না /বা কস্ট হলে থাকিও না চলে যাও" এসব কথা দ্বারা তালাক হবে না।তবে তালাক চাওয়ার পর স্বামী যদি বলে, "মুক্তি দিলাম " তাহলে এদ্বারা কেনায়া তালাক পতিত হয়ে যাবে।