আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
204 views
in পরিবার,বিবাহ,তালাক (Family Life,Marriage & Divorce) by (30 points)
edited by
আসসালামু আলাইকুম হুজুর। একজন বোনকে সাহায্য করুন। সে মারাত্মক ওয়াস ওয়াসায় ভোগে।

১। সে সন্দেহের বশে বলে দেখতে যায় আগে এভাবে কথা বলেছিল কিনা,,, সে ওয়াসওয়াসার জন্য একদিন বলে ফিসফিস করে "" নিজের উপর,,,,  এইটুকু বলার পর সে,, তা**** শব্দটা শুধু জিহবা নাড়িয়ে বলে শব্দ না করে। এতে তার ঠোঁট জিহবা নড়ে থাকতে পারে কিন্তু তা*** এর স্পষ্ট শব্দটা তার কানে আসেনি। এতে কি তার উপর *** পতিত হয়ে যাবে??

দয়া করে তার প্রতি পরামর্শ দিন। সে এই অশান্তি থেকে বাচতে চায়।


২৷  তালাকের  বিষয়ে সন্দেহ থেকে গেলে অর্থাত সে শব্দ করে বলেছিল কিনা ভেবে যদি তার প্রবল ধারণা যেদিকে যায় সেটা কে সত্যি ধরে নেয় তাহলে কি সমস্যা আছে?? ওয়াসওয়াসা থেকে মুক্তির জন্য যদি সে প্রবল ধারণা অনুযায়ী মনকে শান্ত করে,,,, কিন্তু যদি তার প্রবল ধারণা ভুল হয়ে থাকে তাহলে কি আল্লাহ মাফ করবেন??

1 Answer

0 votes
by (583,410 points)

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
https://www.ifatwa.info/1379 নং ফাতাওয়ায় বলেছি যে,
তালাকের ওয়াসওয়াসা আসলে মাথা নাড়ালে তালাক পতিত হবে না।
হযরত আবু হুরায়রা রাযি থেকে বর্ণিত,তিনি বলেন,
ﻋَﻦْ ﺃَﺑِﻲ ﻫُﺮَﻳْﺮَﺓَ ﺭَﺿِﻲَ ﺍﻟﻠَّﻪُ ﻋَﻨْﻪُ ﻗَﺎﻝَ : ﻗَﺎﻝَ ﺍﻟﻨَّﺒِﻲُّ ﺻَﻠَّﻰ ﺍﻟﻠَّﻪُ ﻋَﻠَﻴْﻪِ ﻭَﺳَﻠَّﻢ : َ ( ﺇِﻥَّ ﺍﻟﻠَّﻪَ ﺗَﺠَﺎﻭَﺯَ ﻟِﻲ ﻋَﻦْ ﺃُﻣَّﺘِﻲ ﻣَﺎ ﻭَﺳْﻮَﺳَﺖْ ﺑِﻪِ ﺻُﺪُﻭﺭُﻫَﺎ ﻣَﺎ ﻟَﻢْ ﺗَﻌْﻤَﻞْ ﺃَﻭْ ﺗَﻜَﻠَّﻢ
রাসূলুল্লাহ সাঃ বলেছেন,নিশ্চয় আল্লাহ তা'আলা আমার খাতিরে আমার উম্মতের অন্তরে চলে আসা ওয়াসওয়াসা(শয়তানি প্ররোচনা) বিষয়ে কোনো প্রকার হস্তক্ষেপ/শাস্তি প্রদাণ করবেন না।যতক্ষণ না সে কথা বা কাজের মাধ্যমে সেটাকে বাস্তব রূপ দিচ্ছে। (সহীহ বোখারী-২৩৯১,সহীহ মুসলিম-১২৭)

সুপ্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন!
(১)
আপনার সম্পূর্ণ প্রশ্নকে আমি তিনবার পড়েছি।অত্যান্ত মনযোগ সহকারে পড়েছি।আপনার প্রশ্নের আলোকে আমাদের সিদ্ধান্ত হল,তালাক হবে না।

(২)
এরকম সন্দেহর কোনো ধর্তব্য নেই।আপনি কখনো একা থাকবেন না।লোকজনের সাথে হাসিখুশী থাকবেন।ইবাদত পরবর্তী সময় গল্পগুজব করে সময় কাটাবেন বা কিতাব পড়ে পড়ে সময় অতিবাহিত করবেন। কখনো নিজেকে আড়াল করবেন না। সর্বদা নেক লোকদের সংস্পর্শ গ্রহণের চেষ্টায় থাকবেন।

বিঃদ্র
আপনি ইতিপূর্বে আরো অনেকবার এরকম একই প্রশ্ন করেছেন।আমরা বারংবার আপনার একই প্রশ্নের জবাব দিতে দিতে ক্লান্ত। আল্লাহ আমাদের সবাইকে রহম করুক।আমীন।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...