আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
128 views
in পরিবার,বিবাহ,তালাক (Family Life,Marriage & Divorce) by (48 points)
আসসালামু আলাইকুম হুজুর। বিরক্ত করার জন্য মাফ চেয়ে নিচ্ছি। পয়েন্ট অনুযায়ী উত্তর দিলে ভাল হইত।আমি সংসার করতে পারব কিনা। আশা করি আর প্রশ্ন করতে হবে না।

১.আপনি আমার বিষয় অবগত আছেন। আমি যখন বলসি ছাইড়া দেও বা দিও তখন যদি হাসবেন্ড বলে যদি  তুমার  ইচ্ছে হইলে বা মন চাইলে তুমি ছাইড়া দিও।আপনি বলেছেন যে এই কথা দিয়া সাময়িক স্থায়ী উভয় অধিকার দেওয়ার সম্ভাবনা বুজায়।হাসবেন্ড কে জিজ্ঞেস করতে বলছেন।হাসবেন্ড কে জিজ্ঞেস করাই সে বলসে আমি এই মাসালা জানতাম না।এইভাবে বললে অধিকার দেওয়া বুজাই আমি জানি না।অই সময়  হইত রাগ কইরা এগুলা বলসি।আমি চিন্তা করতাম জাতে আমার দিক থেকে তালাক না আসে।আর জানতাম মেয়েরা বললে কিছু হই না। যেহেতু সে এ মাসালাই জানে না।তাহলে স্থায়ী অধিকার কিভাবে দিবে।তাও জিজ্ঞেস করাই সে বলছে অই সময় এমনেই বলসি জানি ২,৩ দিনের মধ্যে ঠিক হইয়া জাবা।আপনি বলছেন এতে সাময়িক অধিকার দেওয়া বুজাবে। ওলি উল্লাহ হুজুর বলেছিলেন অই কথাই নাকি স্থায়ী অধিকার দেওয়া বুজাবে।এইটা নিয়া আমার শুধু চিন্তা হয়।দিমত আসার কারনে।এখন কোনটা বেশি গ্রহণ যোগ্য। আমি কি আপনার মাসালা অনুসরণ করে সংসার করলে কোনো সমস্যা হবে?
২.হাসবেন্ড কে উক্ত বিষয় জিজ্ঞেস করাই সে বলসে আমি ছারব না দেইখা তুমারে বলসি আমারে ছাইড়া  দিতে।মানে তুমার ইচ্ছা হইলে ছাইরা দিও এইসব কথা দিয়া সে তারে(হাসবেন্ড কে) ছাইড়া দিতে বলসে।সে জানেই  না যে মেয়েদের নিজেকে নিজে ছারতে হবে।তাহলেও কি বউ কে অধিকার দেওয়া বুজাবে। এক হুজুর বলল তাও অধিকার  দেওয়া  বুজাবে। আমার বুজে আসতেছে না যেখানে হাসবেন্ড তারে ছাইড়া দেওয়ার নিয়তে বলসে উক্ত কথা। মানে আমি আমি যেন  তাকে ছাইড়া দেয়।তাহলে কিভাবে বউকে অধিকার দেওয়া বুজাবে। আমি জানি হাসবেন্ড কে বলতে হবে তুমি তুমার নফসকে তালাক দাও বা বউ কে তালাক নিতে বলবে।যখন বলসে আমিও বুুজসি তারে ছাইড়া দিতে বলছে।
৩।তারে কয়েকবার জিজ্ঞেস করাই একবার বলসে অইসব এমনেই বলসি। আবার বলসে বিয়ের আগে বলসি। উল্লেখ্য আমাদের আগে পরিচয় ছিল তারপর বিয়ে হইসে।তখন এগুলা বলত।এখন বিয়ের পর আর আগে সময় গুলিয়া গেছে।এখন তাকে কি আবার জিজ্ঞেস করব নাকি তার কথার উপর ভরসা করব।তারে জিজ্ঞেস করার সাথে সাথে উত্তর দেয়। সময়  নিয়ে চিন্তা করে বলে না।তাই আমার বিশ্বাস হতে চাই  না।আমি ওয়াস ওয়াসার রুগি সারাদিন এগুলা ভাবি।আর জাই ভাবি তাই মনে হই বলসে।

৪।আমার মনে হই বিয়ের পর বলসে কিন্তু কিভাবে বলসে তা কসম করে বলতে পারব না।মানে সাময়িক বা স্থায়ী অধিকার দেওয়ার মত কোন ভাবে বলসে সিওর না।আবার কতবার বলসে তাও জানি না।এই মনে হই একবার বলসে আবার মনে হই কয়েকবার বলছে। তার মধ্যে  সাময়িক অধিকার দেওয়ার মত কয়বার বলছে আবার স্থায়ী অধিকার দেওয়ার মত কতবার বলসে জানি না।হাসবেন্ড বলসে একবার বলছি হইত।এক্ষেত্রে কয়টা ধরে নিব।

৫.অনেক দিন পর যখন বলসি তখন এভাবে হইত বলসি।মাথাই আসত তালাক নিয়া ফেল৷ নিয়া ফেলসি। অর থেকে তা..ক নিলাম। আবার বলসি নিলাম না।আবার বলার পর আস্তাগফিরুল্লাহ পরছি। আবার বলার পর বলছি নিলাম না দিলাম।এখন কয় বার যে মুখে সাউন্ড কইরা বলসি বলতে পারব না।কারন মনে সবসময়  আসত।আবার মনে হই কত টুকু শব্দ কইরা বললে নিজের কানে শুনা  জাই বুজার জন্য  হইত মুখে বলসি।আমি তখন জানতাম আমার অধিকার  নাই।আসলে সে সময় তালাক নেওয়ার নিয়তে এসব বলি নাই।কারন আমি প্রেগন্যান্ট ছিলাম। আমাদের সম্পর্ক অনেক ভালো ছিল।এখন এতে কয় তালাক ধরব।

৬।মাসালা জানার জন্য হুজুর কে এভাবে বইলা যে হুজুর তা..ক নিলাম বইলা  ফেলসি  মাসালা নিলে  কি জিজ্ঞেস  করাই তালাক হবে।

৭।যখন  তালাক হইসে  মনে হবে তখন কি বইলা মন কে শান্তনা দিব হুজুর।খালি পাপের কথা চিন্তা  হই।আবার সংসার ও ভাংতে পারছি না।কারন সিওর না যে কয় তালাক হইসে বা আধো হইসে কিনা।হাসবেন্ড  কে এতবার জিজ্ঞেস করা যাবে না তাইনা হুজুর।সে জা বলে তাই মাইনা নেওয়া উচিত।

1 Answer

0 votes
by (719,040 points)
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
চার মাযহাব সম্ভলিত সর্ববৃহৎ ফেকহি গ্রন্থ "আল-মাওসুআতুল ফেকহিয়্যা"গ্রন্থে লিপিবদ্ধ রয়েছে যে,
نَقَل ابْنُ عَابِدِينَ عَنِ اللَّيْثِ: فِي مَسْأَلَةِ طَلاَقِ الْمُوَسْوَسِ  أَنَّهُ لاَ يَجُوزُ طَلاَقُ  الْمُوَسْوَسِ  ، قَال: يَعْنِي الْمَغْلُوبَ فِي عَقْلِهِ
وَنَقَل ابْنُ الْقَيِّمِ: إِنَّ الْمُطْلِّقَ إِنْ كَانَ زَائِل الْعَقْل بِجُنُونٍ أَوْ إِغْمَاءٍ أَوْ وَسْوَسَةٍ لاَ يَقَعُ طَلاَقُهُ،  قَال: وَهَذَا الْمَخْلَصُ مُجْمَعٌ عَلَيْهِ بَيْنَ عُلَمَ ـ اءِ الأُْمَّةِ

- رِدَّةُ الْمُوَسْوَسِ:  
٢١ - إِنْ تَكَلَّمَ الْمُوَسْوَسُ  بِكَلاَمٍ يَقْتَضِي الرِّدَّةَ لَمْ يَكُنْ فِي حَقِّهِ رِدَّةٌ. صَرَّحَ بِذَلِكَ الْحَنَفِيَّةُ، يَعْنُونَ الْمَغْلُوبَ فِي عَقْلِهِ
ইবনে আবেদিন শামী রাহ বর্ণনা করেন,ওয়াসওয়াসা গ্রস্থ ব্যক্তি -যার বিবেকবুদ্ধি লোপ পেতে বসেছে-তার তালাক গ্রহণযোগ্য নয়।
ইবনুল কাইয়িম রাহ বলেন, যদি তালাক প্রদানকারী ব্যক্তির ওয়াসওয়াসা,বেহুশি বা পাগলামির দরুণ বিবেকবুদ্ধি লোপ পেতে থাকে, তাহলে তার তালাকও গ্রহণযোগ্য হবে না। এর উপর সমস্ত উলামাদের ঐক্যমত রয়েছে।

বিবেক বুদ্ধি লোপ পেতে বসা ওয়াসওয়াসা রোগীর এমন কোনো কথা বার্তা যা মুরতাদ হওয়াকে লাযিম করে দেয়, সেই কথাবার্তার দরুণ উক্ত ওয়াসওয়াসার রোগী মুরতাদ হবে না।(আল-মাওসু'আতুল ফেকহিয়্যাতুল কোয়েতিয়্যাহ-৪৩/১৫৬)

এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন- https://www.ifatwa.info/835


সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
ওয়াসওয়াসার রোগে আক্রান্ত ব্যক্তির কোনো তালাক হয় না। কোনো মহিলা ওয়াসওয়াসা রোগে আক্রান্ত হলে, সেই মহিলার মনে আসা সকল প্রকারের তালাকের জবাব হল যে, তালাক হবে না। এটাই ফিকহের সিদ্ধান্ত।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...