বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
(১)
সুদ নেওয়া বা গ্রহণ করা হারাম ও নাজায়েয। তবে সুদের মাধ্যমে যে টাকা ঋণ হিসেবে গ্রহণ করা হবে, সেই টাকাটা মূলত হারাম নয়। সুতরাং উক্ত টাকা দ্বারা কোনো কিছু করা হলে, বাসা বাড়ি নির্মাণ করা হলে, সেই বাসাবাড়ি হারাম হবে না। এবং যার কাছ থেকে সুদ নেয়া হচ্ছে, তাকে যে সুদ দেয়া হবে,সেই টাকাও হারাম হবে না। হ্যা, যিনি সুদের মাধ্যমে ঋণ দিয়েছিলেন, উনার জন্য মূলধনের অতিরিক্ত টাকা গ্রহণ করা হারাম। ঐ অতিরিক্ত টাকার মালিক মূলত ঋণ গ্রহিতা। সুতরাং তাকেই ফিরিয়ে দিতে হবে,ফিরিয়ে দেয়া অসম্ভব হলে সদকাহ করতে হবে। অন্যথায় ঐ সুদের গোনাহ থেকে মাফ পাওয়ার কোনো সুযোগ থাকবে না।
মোটকথা,
সুদ দেয়ার গোনাহ রয়েছে।এর জন্য শুধুমাত্র তাওবাহ করতে হবে।কিন্তু সুদ গ্রহণের গোনাহর জন্য সুদের মুনাফাকে তার মালিকের নিকট পৌছিয়ে দিতে হবে।এবং সাথে সাথে আল্লাহর কাছে তাওবাহও করতে হবে।
সুপ্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন!
কোন ব্যাংক থেকে সুদের উপর ঋণ নিয়ে সেই টাকা কোন ব্যবসায় খাটানো হলে (যেমন 5 লাখ টাকা ঋণ নিয়ে পাঁচ লাখ 50 হাজার টাকা পরিশোধ করা হল এক বছের) এখানে ঋণের টাকাটা হারাম হচ্ছে না। এমনকি বাড়তি 50000 টাকা যা ব্যাংককে দেয়া হবে,সেটাও হারাম হচ্ছে না।বরং ব্যাংকের জন্য উক্ত ৫০,০০০০টাকা গ্রহণ করা হারাম হচ্ছে।
এবং গ্রাহকের জন্য এভাবে সুদে ঋণ গ্রহণ করার পদ্ধতি হারাম হচ্ছে।
(২)
সুদে ঋণ নেয়ার পর উক্ত ঋণকে হালাল টাকা দ্বারা পরিশোধ করার হলে, ঋণ নিয়ে যে ব্যবসা করা হবে,সেই ব্যবসা হারাম হবে না। হ্যা, ঋণ গ্রহণের পদ্ধতি তথা মুনাফার মাধ্যমে যে ঋণ গ্রহণ করা হচ্ছে, সেটা অবশ্যই হারাম বলে বিবেচিত হবে। অর্থাৎ ঋণ গ্রহণের পদ্ধতির কারণে, এবং সুদ দেয়ার কারণে অবশ্যই গোনাহ হবে।
(৩)
হারাম তো হচ্ছে না।সুতরাং সুদ দাতার জন্য তাওবাহ করা জরুরী।
(৪)
ছেলে ঋণকে সুদে আসলে পরিশোধ করবে।