আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
181 views
in পরিবার,বিবাহ,তালাক (Family Life,Marriage & Divorce) by (2 points)
edited by

আসসালামু আলাইকুম। ইজাব কবুলের মাধ‍্যমে দুজন সাক্ষীর উপস্থিতিতে প্রাপ্তবয়স্ক ছেলে মেয়ে বিয়ে করলে ছেলে পরবর্তীকালে এই বিয়ে অস্বীকার করে তুচ্ছতাচ্ছিল্য করলে এই বিয়ে বিচ্ছেদের পদ্ধতি কি হবে? যদিও বিয়েতে অভিভাবক এবং মোহরানা ছিল না। ছেলে মেয়ে উভয় পক্ষ থেকে ইজাব কবুল হয়েছে। উত্তর দিবেন দয়া করে। জাযাকাল্লাহ্ 

 

1 Answer

0 votes
by (589,260 points)

ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
পূর্বে অনেক ফাতাওয়াতে আমরা উল্লেখ করেছি যে,মাতাপিতার সম্মতি ব্যতীত কখনো কোনো মুসলমান যুবক যুবতীর জন্য কোর্ট মেরেজ করা সমীচীন হবে না,মঙ্গলজনক হবে না।মাতাপিতাকে না জানিয়ে বালিগ ছেলে মেয়ের বিবাহ নিয়ে উলামাদের মধ্যে মতবিরোধ রয়েছে।উনেক উলামায়ে কেরাম অভিভাবকহীন বিয়েকে বাতিল বলে মনে করেন।হানাফি মাযহাব মতে কু'ফু হিসেবে ছেলেটি মেয়ের সমকক্ষ বা বেশী মর্যাদার অধীকারী হলেই কেবল বিয়ে শুদ্ধ হয়ে যাবে।নতুবা মেয়ের অভিভাবকের অনুমতির উপর বিয়ে মওকুফ থাকবে।জানুন-https://www.ifatwa.info/994, কুফু সম্পর্কে জানতে https://www.ifatwa.info/780
চার মাযহাবের অবস্থান দলীল সহ বিস্তারিত জানুন- https://www.ifatwa.info/1524  (শেষ)

সুপ্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন!
যেহেতু দুইজন সাক্ষীর সামনে ইজাব কবুল হয়েছে, তাই বিয়ে হয়ে গেছে।এখন স্বামী গালী গালাজ বা অস্বীকার করলে, তাকে বলতে হবে, যাতে করে সে তিন তালাক দিয়ে দেয়, যদি সে তিন তালাক দিয়ে দেয়, তাহলেই সংসার ভঙ্গ হয়ে যাবে।এবং ইদ্দত শেষ হওয়ার পর উক্ত মেয়ে অন্যত্র বিয়ে বসতে পারবে। যদি সে তালাক না দেয়, তাহলে মেরেজে সার্টিফিকেট নিয়ে কোর্টে বিবাহ বিচ্ছেদের মামলা করতে পারবেন।কোর্ট তাকে সংসার করতে বা তালাক দিতে বাধ্য করবে।
মোটকথা, প্রশ্নের বিবরণমতে বিয়ে শুদ্ধ হয়ে গেছে।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...