জবাবঃ-
بسم الله الرحمن الرحيم
মহিলাদের হায়েজ অবস্থায় কুরআন শরিফ স্পর্শ করা, তেলাওয়াত করা জায়েজ নেই।
,
হায়েজ,নেফাস,গোসল ফরজ থাকা অবস্থায় কুরআনে কারীম পড়া হারাম।
عن ابن عمر : عن النبي صلى الله عليه و سلم قال لا تقرأ الحائض ولا الجنب شيئا من القرآن (سنن الترمذى، ابواب الطهارات، باب ما جاء في الجنب والحائض : أنهما لا يقرأن القرآن، رقم الحديث-131
অনুবাদ-হযরত আব্দুল্লাহ বিন ওমর রাঃ থেকে বর্ণিত। রাসূল সাঃ ইরশাদ করেছেন-ঋতুবতী মহিলা এবং গোসল ফরজ হওয়া ব্যক্তি কোরআন পড়বে না।
(সুনানে তিরমিযী, হাদীস নং-১৩১,
সুনানে দারেমী, হাদীস নং-৯৯১,
মুসনাদুর রাবী, হাদীস নং-১১,
মুসান্নাফে ইবনে আবী শাইবা, হাদীস নং-১০৯০,
মুসন্নাফে আব্দুর রাজ্জাক, হাদীস নং-৩৮২৩)
হাদীস শরীফে হায়েজাহ মহিলার ক্ষেত্রে যেই নিষেধাজ্ঞা এসেছে,সেটা পড়া, তেলাওয়াত করা নিয়ে,এবং যেহেতু পড়ার সম্পর্ক যবানের সাথে সম্পৃক্ত, তাই কেহ যদি এমতাবস্থায় মনে মনে কুরআন তেলাওয়াত করে,তাহলে তাকে তেলাওয়াত বলা যাবেনা।
সুতরাং কোনো মহিলা যদি মাসিকের ভিতর মনে মনে কুরআন শরিফ পড়ে,তাহলে তা জায়েজ আছে।
,
ফুকাহায়ে কেরামগন কঠিন প্রয়োজনের দিক লক্ষ্য করে জায়েযের এই ছুরত বলেছেন যে প্রত্যেক শব্দ ভেঙ্গে ভেঙ্গে পড়বে।
যেভাবে শিক্ষক শিখানোর সময় ভেঙ্গে ভেঙ্গে শিখায়।
(নাজমুল ফাতওয়া ২/৯৮)
যেমন الحمد কয়েক বার পড়বে, لله কয়েকবার পড়বে।
رب কয়েকবার পড়বে। العالمين কয়েকবার পড়বে।
এক বারে একসাথে মিলিয়ে পড়বেনা।
,
ফাতাওয়ায়ে শামীতে এসেছেঃ
وفی الدر المختار (۱۷۲/۱): (و)یحرم بہ (تلاوۃ القرآن) ولو دون آیۃ علی المختار (بقصدہ) فلو قصد الدعاء أو الثناء أو افتتاح أمر او التعلیم ولقن کلمۃ کلمۃ حل فی الأصح۔
وفی الشامیۃ تحتہ: (قولہ او التعلیم) فرق بعضھم بین الحائض والجنب بأن الحائض مضطرۃ لأنھا لا تقدر علی رفع حدثھا بخلاف الجنب والمختار انہ لا فرق (قولہ ولقن کلمۃ کلمۃ) ھو المراد بقول المنیۃ حرفا حرفا کما فسرہ بہ فی شرحھا، والمراد مع القطع بین کل کلمتین۔
যার সারমর্ম হলো হায়েজ অবস্থায় কুরআনের একটি একটি শব্দ বলে শিক্ষা দেওয়া জায়েয আছে।
,
জুনুবী (যার উপর গোসল ফরজ) তার ক্ষেত্রেও একই বিধান।
,
★অন্যত্রে এসেছেঃ
হায়েজ অবস্থায় কুরআন শরিফ পড়া সম্পুর্ন ভাবে নিষেধ।
তাই হেফজ করতে চাইলেও সেই সময়ে কুরআন শরিফ পড়া যাবেনা।
এটাই শরীয়তের হুকুম।
সেক্ষেত্রে সময়ের ক্ষতির ফিকির করবেনা।
ক্ষতি হয় হোক,তারপরেও সেইকদিন বিরতি দিবে।
(কিতাবুন নাওয়াজেল ৩/১০৮)
.
★★সুতরাং প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে সতর্কতামূলক কুরআন না পড়াই উচিত।
মনে মনে বা আয়াত ভেঙ্গে ভেঙ্গে পড়া যদিও জায়েজ বুঝা যায়,তবে এক্ষেত্রে পুরো আয়াত বা অধিকাংশ আয়াত অনেক সময় হয়তোবা মুখে উচ্চারিত হতেও পারে,তাই সতর্কতামূলক মাসিক চলাকালীন হেফজ বন্ধ রাখাই উচিত।