আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
99 views
in পবিত্রতা (Purity) by (36 points)
গতকাল মুরতাদের গোসল নিয়ে প্রশ্ন করেছিলাম।  উত্তর পেয়েছি। কিন্তু এখানের আরেকটি ফাতওয়ায় দেখলাম যে ❝ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করার সময়, যদি সে পাক থাকে তবে গোসল করা মুস্তাহাব। কিন্তু সে যদি নাপাক থাকে, তাহলে গোসল করা ফরজ। (সহিহ ইবনে হিব্বান : ৪/৪২, সুরা : মায়েদা, আয়াত : ৬) ❞    https://ifatwa.info/18506/?show=18506#q18506   আমার উপর গোসল ফরজ হয়েছে হায়েজ শেষ হওয়ার ফলে।

১)  এখন যদি আমি আগে কালেমা শাহাদাত পড়ি, পরে গোসল করি, তাহলে কি হবে?

 ২)নাকি আগে আর পরে দুইবারই ফরজ গোসল করব? বিষয়টি ক্লিয়ার হচ্ছে না
৩) ফরজ গোসলের কোন আরবি নিয়ত নেই তো তাই না? আর বিবস্ত্র হয়ে কি মুসলিম হওয়ার ফরজ গোসলের নিয়ত করা যাবে?!

1 Answer

0 votes
by (678,880 points)
জবাব
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম



হাদীস শরীফে এসেছেঃ 

عَبْدُ اللهِ بْنُ يُوسُفَ قَالَ حَدَّثَنَا اللَّيْثُ قَالَ حَدَّثَنَا سَعِيدُ بْنُ أَبِي سَعِيدٍ سَمِعَ أَبَا هُرَيْرَةَ قَالَ بَعَثَ النَّبِيُّ خَيْلاً قِبَلَ نَجْدٍ فَجَاءَتْ بِرَجُلٍ مِنْ بَنِي حَنِيفَةَ يُقَالُ لَهُ ثُمَامَةُ بْنُ أُثَالٍ فَرَبَطُوهُ بِسَارِيَةٍ مِنْ سَوَارِي الْمَسْجِدِ فَخَرَجَ إِلَيْهِ النَّبِيُّ فَقَالَ أَطْلِقُوا ثُمَامَةَ فَانْطَلَقَ إِلَى نَخْلٍ قَرِيبٍ مِنَ الْمَسْجِدِ فَاغْتَسَلَ ثُمَّ دَخَلَ الْمَسْجِدَ فَقَالَ أَشْهَدُ أَنْ لآ إِلَهَ إِلاَّ اللهُ وَأَنَّ مُحَمَّدًا رَسُولُ اللَّهِ.

আবূ হুরাইরাহ্ (রাযি.) হতে বর্ণিত। নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কয়েকজন অশ্বারোহী মুজাহিদকে নজদের দিকে পাঠালেন। তারা বানূ হানীফা গোত্রের সুমামাহ ইবনু উসাল নামক এক ব্যক্তিকে নিয়ে এসে তাকে মসজিদের খুঁটির সাথে বেঁধে রাখলেন। নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁর নিকট গেলেন এবং বললেনঃ সুমামাকে ছেড়ে দাও। (ছাড়া পেয়ে) তিনি মসজিদে নাবাবীর নিকট এক খেজুর বাগানে গিয়ে সেখানে গোসল করলেন, অতঃপর মসজিদে প্রবেশ করে বললেনঃ ‘‘আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, আল্লাহ ব্যতীত প্রকৃত কোন উপাস্য নেই এবং মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আল্লাহর রাসূল।’’ (বুখারী শরীফ ৪৬২.৪৬৯, ২৪২২, ২৪২৩, ৪৩৭২) (আধুনিক প্রকাশনীঃ ৪৪২, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ৪৪৮)

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بَشَّارٍ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ مَهْدِيٍّ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، عَنِ الأَغَرِّ بْنِ الصَّبَّاحِ، عَنْ خَلِيفَةَ بْنِ حُصَيْنٍ، عَنْ قَيْسِ بْنِ عَاصِمٍ، أَنَّهُ أَسْلَمَ فَأَمَرَهُ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم أَنْ يَغْتَسِلَ بِمَاءٍ وَسِدْرٍ .

মুহাম্মাদ ইবনু বাশশার (রহঃ) ...... কায়স ইবনু আসিম রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত যে, তিনি ইসলাম গ্রহণ করলে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁকে পানি ও বদরী পত্র দিয়ে গোসল করতে নির্দেশ দিয়েছিলেন। - তাখরীজুল মিশকাত ৫৪৩, সহিহ আবু দাউদ ৩৮১, তিরমিজী হাদিস নম্বরঃ ৬০৫ [আল মাদানী প্রকাশনী]

আরো জানুনঃ

প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন, 
(০১)
প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে আপনি ফরজ গোসল করে তারপর কালেমা শাহাদাত পাঠ করবেন।
যদি আগে কালেমা শাহাদাত পড়েন, পরে ফরজ গোসল করেন, তাহলেও চলবে।

তবে আগে ফরজ গোসল করার পরামর্শ থাকবে।

(০২)
আগে আর পরে দুইবারই ফরজ গোসল করতে হবেনা।

(০৩)
এই গোসলের আরবি নিয়ত নেই।
বিবস্ত্র হয়েও মুসলিম হওয়ার ফরজ গোসলের নিয়ত করা যাবে।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (36 points)
edited by
১)এই ফরজ গোসল কালেমা পাঠের পরে করলেও তো সমস্যা হবে না, তাই না?
২) এই গোসলের আগে কি শরীরের নাপাক পরিষ্কার, মলমূত্র ত্যাগ এগুলো কি বাধ্যতামূলক?

৩) এর জন্য ঃ তাহলে বাংলা ভাষায়ও করা লাগবে না মুখে উচ্চারণ করে?
ক) শুধু মনে মনে করলেই হবে?
খ) গোসলখানায়ও মনে মনে বিবস্ত্র অবস্থায় নিয়ত করা যাবে?
গ) যদি ফরজ গোসলের আগে শরীরে এমনেই গোসল করে বা অন্যান্য কাজ যেমন ❝দুয়া করে, ❞ তাহলে কি ফরজ গোসলে কোনো সমস্যা হবে?

৪) হাতের নখের আশেপাশে আর ভিতরে যদি সাদা অংশ থাকে, ক)ঘষে তুল্লে উঠে,
খ)কিছু অংশ চামড়ায় লেগে থাকে,
ক আর খ উভয় ক্ষেত্রে কি ওযু গোসলে কোন সমস্যা হবে?
( সাদা অংশ টা হয়ত সাবান দিয়ে হাত ধুয়ার

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

...