বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম।
জবাবঃ-
(০১)
এভাবে দোয়া করতে পারবেন,তবে এতে কোনো লাভ নেই।
যদি আসলেই সেই জিনিস গুলো ধোয়া না হয়,তাহলে এই দোয়ার ফলে তো সেগুলো পাক হবেনা।
দোয়ার ফলে কোনো অপবিত্র জিনিস পাক হয়ে যায়না।
সেটিকে শরয়ী নিয়ম মেনেই পাক করতে হয়।
★উল্লেখ্য যে পরিবারের সদস্য গন যেহেতু দাবী করেছে যে তারা সবই ধুয়ে নেয়, তারা যেহেতু পাক করার দাবী করছে,সুতরাং সেটি মিথ্যা প্রমাণিত না হলে উক্ত বস্তুগুলোকে নাপাক বলার কোনো যুক্তি নেই।
(০২)
সুস্বাস্থ্যের জন্য রাসূলুল্লাহ ﷺ উম্মতকে নিম্নোক্ত দোয়াটি শিক্ষা দিয়েছেন। তিনি নিজেও সকাল-সন্ধ্যা দোয়াটি করতেন।
اللَّهُمَّ عَافِنِى فِى بَدَنِى اللَّهُمَّ عَافِنِى فِى سَمْعِى اللَّهُمَّ عَافِنِى فِى بَصَرِى لاَ إِلَهَ إِلاَّ أَنْتَ اللَّهُمَّ إِنِّى أَعُوذُ بِكَ مِنَ الْكُفْرِ وَالْفَقْرِ اللَّهُمَّ إِنِّى أَعُوذُ بِكَ مِنْ عَذَابِ الْقَبْرِ لاَ إِلَهَ إِلاَّ أَنْتَ
অর্থ: ‘হে আল্লাহ! আপনি আমাকে শারীরিক সুস্থতা দান করুন। হে আল্লাহ! আপনি আমার কানের সুস্থতা দান করুন। হে আল্লাহ! আপনি আমার চোখের সুস্থতা দান করুন। আপনি ছাড়া আর কোন হক্ব মা‘বূদ নেই। হে আল্লাহ! কুফরী এবং দারিদ্র্য থেকে আমি আপনার নিকট আশ্রয় প্রার্থনা করছি। হে আল্লাহ! কবরের আযাব থেকে আমি আপনার নিকট আশ্রয় প্রার্থনা করছি। আপনি ব্যতীত আর কোন হক্ব মা‘বূদ নেই’। (আবূ দাঊদ ৫০৯০, আবূ বাকরাহ রাযি. হতে বর্ণিত)
আব্দুল্লাহ ইবনে আমর রাযি. বলেন, রাসূলুল্লাহ ﷺ এই বলে দোয়া করতেন যে,
اللَّهُمَّ إِنِّي أَسْأَلُكَ الصِّحَّةَ ، وَالْعِفَّةَ ، وَالأَمَانَةَ ، وَحُسْنَ الْخُلُقِ ، وَالرِّضَا بِالْقَدَرِ
‘হে আল্লাহ! আমি আপনার কাছে সুস্থতা, পবিত্রতা, আমানতদারিতা, চরিত্রমাধুর্য এবং তাকদীরের প্রতি সন্তুষ্টি কামনা করি।’ (কানযুল উম্মাল ২/৩৬৫০)
★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
উপরের যে জিনিসগুলো ইলুমিনাতি বা অন্য কোন এমন সংস্থার কিছু নেই।
সবই আপনার মনের স্রেফ ভাবনা।
তাহা ছাড়া কিছুই নয়।
আপনি উপরোক্ত সমস্ত ছুরতেই সুস্থতার দোয়া করতে পারবেন।
১ আর ২ আর ৪ এর ক্ষেত্রটিও হারাম হবে না।
প্রশ্নে উল্লেখিত সমস্ত ছুরতে উপরোক্ত আসবাব/জিনিস ব্যবহার করে গুনাহের করার জন্য গুনাহ হবে,ছওয়াব মূলক কাজের জন্য ছওয়াব হবে।
একই জিনিসকে উভয় খাতে ব্যবহারের দরুন আলাদা কোনো গুনাহ/সমস্যা হবেনা।