আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
272 views
in সালাত(Prayer) by (1 point)

নামাজে ভুল হলে পুনরায় নামাজ বা দোহরারানো নামাজ পড়া সম্পর্কিত হাদিস যদি জানা থাকে তাহলে দয়াকরে বললে কৃতজ্ঞ হবো...নামাজে ভুল হলে পুনরায় নামাজ বা দোহরারানো নামাজ পড়া সম্পর্কিত হাদিস যদি জানা থাকে তাহলে দয়াকরে বললে কৃতজ্ঞ হবো...নামাজে ভুল হলে পুনরায় নামাজ বা দোহরারানো নামাজ পড়া সম্পর্কিত হাদিস যদি জানা থাকে তাহলে দয়াকরে বললে কৃতজ্ঞ হবো...

1 Answer

0 votes
by (574,050 points)
জবাব
بسم الله الرحمن الرحيم 


(০১)
নামাজে কোনো ফরজ ছুটে গেলে পুনরায় যদি সেই নামাজে তাহা আদায় না করা হয়,তাহলে উক্ত নামাজ পুনরায় আদায় করতে হবে।

(০২)
নামাজের মধ্যে অযু ভেঙ্গে গেলে সাথে সাথে অযু করে এসে কোনো কথাবার্তা, নামাজ বিরোধী কাজ না করে বাকি নামাজ আদায় করবে।
যদি মাঝে  কোনো কথাবার্তা, নামাজ বিরোধী কাজ না করে, তাহলে উক্ত নামাজ পুনরায় আদায় করতে হবে।

(০৩)
আর কিছু ভুলের ক্ষেত্রে নামাজে সেজদায়ে সাহু আবশ্যক হয়। 

নামাযে যেকোনো ভুলের কারণে সেজদা সাহু ওয়াজিব হয়ে যায় না। বরং ভুলে নামাযের কোনো ওয়াজিব ছুটে গেলে কিংবা কোনো ফরয বা ওয়াজিব বিলম্বিত হলে ওয়াজিব হয়। আর যদি ভুলে কোনো ফরয ছুটে যায়, তবে সেজদা সাহু করা যথেষ্ট নয়, বরং পুনরায় নামায আদায় করতে হবে। আর কোনো সুন্নত বা মুস্তাহাব ছুটে গেলে সেজদা সাহু করার বিধান নেই। 
 
★প্রত্যেকটি বিষয়ের উপর ক্রমানুসারে হাদীসঃ   

(০১)
হাদীস শরীফে উল্লেখ রয়েছেঃ

حَدَّثَنِي الْقَعْنَبِيُّ، حَدَّثَنَا أَنَسٌ يَعْنِي ابْنَ عِيَاضٍ، ح وَحَدَّثَنَا ابْنُ الْمُثَنَّى، حَدَّثَنِي يَحْيَى بْنُ سَعِيدٍ، عَنْ عُبَيْدِ اللهِ، - وَهَذَا لَفْظُ ابْنِ الْمُثَنَّى - حَدَّثَنِي سَعِيدُ بْنُ أَبِي سَعِيدٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، أَنَّ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم دَخَلَ الْمَسْجِدَ فَدَخَلَ رَجُلٌ فَصَلَّى ثُمَّ جَاءَ فَسَلَّمَ عَلَى رَسُولِ اللهِ صلي الله عليه وسلم فَرَدَّ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم عَلَيْهِ السَّلَامَ وَقَالَ " ارْجِعْ فَصَلِّ فَإِنَّكَ لَمْ تُصَلِّ " . فَرَجَعَ الرَّجُلُ فَصَلَّى كَمَا كَانَ صَلَّى ثُمَّ جَاءَ إِلَى النَّبِيِّ صلي الله عليه وسلم فَسَلَّمَ عَلَيْهِ فَقَالَ لَهُ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم " وَعَلَيْكَ السَّلَامُ " . ثُمَّ قَالَ " ارْجِعْ فَصَلِّ فَإِنَّكَ لَمْ تُصَلِّ " . حَتَّى فَعَلَ ذَلِكَ ثَلَاثَ مِرَارٍ فَقَالَ الرَّجُلُ وَالَّذِي بَعَثَكَ بِالْحَقِّ مَا أُحْسِنُ غَيْرَ هَذَا فَعَلِّمْنِي . قَالَ " إِذَا قُمْتَ إِلَى الصَّلَاةِ فَكَبِّرْ ثُمَّ اقْرَأْ مَا تَيَسَّرَ مَعَكَ مِنَ الْقُرْآنِ ثُمَّ ارْكَعْ حَتَّى تَطْمَئِنَّ رَاكِعًا ثُمَّ ارْفَعْ حَتَّى تَعْتَدِلَ قَائِمًا ثُمَّ اسْجُدْ حَتَّى تَطْمَئِنَّ سَاجِدًا ثُمَّ اجْلِسْ حَتَّى تَطْمَئِنَّ جَالِسًا ثُمَّ افْعَلْ ذَلِكَ فِي صَلَاتِكَ كُلِّهَا " . قَالَ أَبُو دَاوُدَ قَالَ الْقَعْنَبِيُّ عَنْ سَعِيدِ بْنِ أَبِي سَعِيدٍ الْمَقْبُرِيِّ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ وَقَالَ فِي آخِرِهِ " فَإِذَا فَعَلْتَ هَذَا فَقَدْ تَمَّتْ صَلَاتُكَ وَمَا انْتَقَصْتَ مِنْ هَذَا شَيْئًا فَإِنَّمَا انْتَقَصْتَهُ مِنْ صَلَاتِكَ " . وَقَالَ فِيهِ " إِذَا قُمْتَ إِلَى الصَّلَاةِ فَأَسْبِغِ الْوُضُوءَ " - صحيح

আবূ হুরাইরাহ (রাঃ) সূত্রে বর্ণিত। একদা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মাসজিদে প্রবেশ করলেন। এমন সময় এক ব্যক্তি মাসজিদে প্রবেশ করে সলাত আদায় করলো এবং এসে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে সালাম করলো। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁর সালামের জবাব দিয়ে বলেনঃ তুমি ফিরে যাও এবং আবার সলাত আদায় করো, তুমি সলাত আদায় করোনি। লোকটি ফিরে গিয়ে আগের মত সলাত আদায় করে এসে নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে পুনরায় সালাম দিলো। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁর সালামের জবাব দিয়ে বলেনঃ তুমি গিয়ে আবার সলাত আদায় করো, কারণ তুমি তো সলাত আদায় করোনি। এভাবে লোকটি তিনবার সলাত আদায় করলো। অতঃপর লোকটি বললো, ঐ আল্লাহর শপথ! যিনি আপনাকে সত্যসহ প্রেরণ করেছেন, আমি এর চাইতে উত্তমরূপে সলাত আদায় করতে পারি না। কাজেই আমাকে সলাতের পদ্ধতি শিখিয়ে দিন। তখন নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেনঃ তুমি সলাতে দাঁড়ানোর সময় সর্বপ্রথম তাকবীরে তাহরীমা বলবে। তারপর তোমার সুবিধানুযায়ী কুরআনের আয়াত পাঠ করবে, অতঃপর শান্তি ও স্থিরতার সাথে রুকূ‘ করবে, অতঃপর রুকূ‘ হতে উঠে সোজা হয়ে দাঁড়াবে। অতঃপর ধীরস্থিরভাবে সাজদাহ্ করবে। এরপর প্রশান্তির সাথে বসবে। এভাবেই তোমার পুরো সলাত আদায় করবে।

অন্য বর্ণনায় রয়েছেঃ নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সর্বশেষে তাকে বললেনঃ তুমি এভাবে সলাত আদায় করলে তোমার সলাত পরিপূর্ণভাবে আদায় হবে। আর এর কোন অংশ আদায়ে ত্রুটি করলে তোমার সলাতও ত্রুটিপূর্ণ হবে। এতে আরো রয়েছে, নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাকে বলেনঃ তুমি সলাত আদায় করতে চাইলে প্রথমে উত্তমরূপে অযু করে নিবে।

বুখারী (অধ্যায় : আযান, অনুঃ সলাতসমূহে ইমাম ও মুক্তাদীর কুরআন পাঠ ওয়াজিব হওয়া সম্পর্কে, হাঃ ৭৫৭), মুসলিম (অধ্যায় : সলাত, অনুঃ প্রত্যেক রাক‘আতে সূরাহ ফাতিহা পাঠ ওয়াজিব), তিরমিযী (অধ্যায় : সলাত, অনুঃ সলাতের বৈশিষ্ট্য, হাঃ ৩০৩, ইমাম তিরমিযী বলেন, এ হাদীসটি হাসান ও সহীহ), নাসায়ী (অধ্যায় : সলাত আরম্ভ করা, অনুঃ প্রথম তাকবীর ফার্য, হাঃ ৮৮৩) সকলে ইয়াহইয়া ইবনু সাঈদ হতে।

(০২)
হাদীস শরীফে এসেছেঃ 

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ يَحْيَى، حَدَّثَنَا الْهَيْثَمُ بْنُ خَارِجَةَ، حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ بْنُ عَيَّاشٍ، عَنِ ابْنِ جُرَيْجٍ، عَنِ ابْنِ أَبِي مُلَيْكَةَ، عَنْ عَائِشَةَ، قَالَتْ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ " مَنْ أَصَابَهُ قَىْءٌ أَوْ رُعَافٌ أَوْ قَلَسٌ أَوْ مَذْىٌ فَلْيَنْصَرِفْ فَلْيَتَوَضَّأْ ثُمَّ لْيَبْنِ عَلَى صَلاَتِهِ وَهُوَ فِي ذَلِكَ لاَ يَتَكَلَّمُ " .

আয়িশাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ সালাত (নামায/নামাজ)রত অবস্থায় কারো বমি হলে, নাক দিয়ে রক্ত বের হলে, খাদ্য বা পানীয় পেট থেকে মুখে চলে এলে অথবা বীর্যরস নির্গত হলে, সে যেন বাইরে এসে উযূ (ওজু/অজু/অযু) করে, অতঃপর পূর্বোক্ত সালাতের অবশিষ্টাংশ পূর্ণ করে, উক্ত অবস্থায় যদি সে কথা না বলে থাকে।
(সুনানে ইবনে মাজাহ ১২২১)
তার মানে কোনো কথাবার্তা বললে উক্ত নামাজ পুনরায় নতুন করে আদায় করতে হবে।  

(০৩)
হাদীস শরীফে এসেছেঃ 

حدثنا عبد الله بن يوسف، أخبرنا مالك بن أنس، عن ابن شهاب، عن عبد الرحمن الأعرج، عن عبد الله بن بحينة رضي الله عنه، أنه قال: صلى لنا رسول الله صلى الله عليه وسلم ركعتين من بعض الصلوات، ثم قام فلم يجلس، فقام الناس معه، فلما قضى صلاته ونظرنا تسليمه كبر قبل التسليم، فسجد سجدتين وهو جالس، ثم سلم.

আবদুল্লাহ ইবনে বুহায়না রা. থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এক নামায আমাদের দুই রাকাত পড়ান। তারপর না বসে দাঁড়িয়ে যান। মুকতাদীরাও তাঁর সাথে দাঁড়িয়ে যায়। যখন তিনি নামায পূর্ণ করলেন এবং আমরা তাঁর সালাম ফিরানোর অপেক্ষা করছিলাম তখন সালাম ফিরানোর আগে তাকবীর দিলেন এবং বসা অবস্থায় দুটি সেজদা করলেন। তারপর সালাম ফিরালেন। 

(সহীহ বুখারী, হাদীস ১২২৪ সহীহ মুসলিম, হাদীস ৫৭০)


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by
Best Best Best Best Best Best Best

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

0 votes
1 answer 141 views
...