বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম।
জবাবঃ-
(০১)
আপনার সেই জীবন বীমায় মোট কত টাকা সূদ এসেছে,আসবে,সব হিসেব করে আপনি এখন থেকেই তাহা ছওয়াবের নিয়ত ছাড়া গরিব মিসকিনকে দান করতে পারবেন।
এতে জীবন বীমার সেই সুদের টাকা দানের নিয়ত করলে সেটি আদায় হবে।
তবে নিয়ত না করে এমনিতেই দান করলে তাহা আদায় হবেনা।
মেয়াদপূর্তি হবার পর যদি হিসেব করে অতিরিক্ত আরো কিছু টাকা সূদ হওয়ায় দান করতে হয় তাহলে তাহা দান করবেন।
বেশি দান করা হলে সমস্যা নেই,তবে কম দান করা যাবেনা।
উক্ত টাকা গরিব মিসকিনকে ছওয়াবের নিয়ত ছাড়া দান করতে হবে।
(০২)
আপনার শশুর যদি নেসাব পরিমান সম্পদের মালিক না হয়,সে যদি যাকাত গ্রহনের উপযুক্ত হয়,তাহলে তাকে আপনি এই টাকা দিতে পারবেন।
মাসিক খরচের নাম দিয়েও দিতে পারবেন,তবে আপনার মনে সূদের টাকা দানের নিয়ত থাকতে হবে।
(০৩)
আল্লাহ তাআলা বলেন-
خُذْ مِنْ اَمْوَالِهِمْ صَدَقَةً تُطَهِّرُهُمْ وَ تُزَكِّیْهِمْ بِهَا وَصَلِّ عَلَیْهِمْ ؕ اِنَّ صَلٰوتَكَ سَكَنٌ لَّهُمْ ؕ وَ اللّٰهُ سَمِیْعٌ عَلِیْمٌ۱۰۳
‘তাদের সম্পদ থেকে সদকা গ্রহণ করুন, যার দ্বারা আপনি তাদেরকে পবিত্র করবেন এবং পরিশোধিত করবেন এবং আপনি তাদের জন্য দুআ করবেন। আপনার দুআ তো তাদের জন্য চিত্ত স্বস্তিকর। আল্লাহ সর্বশ্রোতা, সর্বজ্ঞ।’-সূরা তাওবা : ১০৩
★যাকাত মূলত আদায় করতে হয়, বছর শেষে হাতে থাকা সম্পদের উপর ভিত্তি করে। যত সম্পদ থাকবে, তার চল্লিশ ভাগের এক ভাগ যাকাত দিতে হয়।
★তবে যাকাত আবশ্যক হবার পর, অগ্রীম দুই এক বছরের যাকাতের টাকা যাকাতের নিয়তের সাথে আদায় করলেও তা আদায় হবে। তবে আগামী বছর আসলে হিসেবে করে দেখতে হবে, কত টাকা যাকাত এসেছিল?
আর কত অগ্রীম আদায় করা হয়েছে? যদি দেখা যায়, যাকাত বাবদ আরো টাকা দিতে হবে, তাহলে আরো যাকাত আদায় করতে হবে। আর যদি দেখা যায়, অতিরিক্ত আদায় করেছে, তাহলে তা পরবর্তী বছরের যাকাতের সাথে এ্যাড করে নিতে পারবে।
বিস্তারিত জানুনঃ
★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
জাকাতের টাকা রমজান আসার আগে থেকে হিসাব করে অল্প কিছু পরিমান করে পরিশোধ করা যাবে।
তবে যদি যাকাত ফরজ হওয়ার দিনে এসে হিসেব করে দেখা যায় যে আরো যাকাত দিতে হবে,তাহলে আরো দিবেন।