আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
141 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (3 points)
১.আমার একটা জীবন বিমা আছে,সেটা মেয়াদপূর্তি হতে কিছু বছর বাকি,আমার নিয়ত ছিল সুদের টাকা পরে পরিশোধ করে দিব,কিন্তু এখন আমার ভয় হয় তার আগে আমার মরন আসলে,আমি চাচ্ছিলাম সুদের টাকা আগে থেকেই পরিশোধ করে দিতে,এটা কি হবে? যদি হয় তাহলে পরে মেয়াদপূর্তির পর আমি সুদের টাকা পরিশোধ করে দিলে তা কি আমি গ্রহণ করতে পারব?
২।এই সুদের টাকা কি আমি মাসিক কিছু খরচ বাবদ আমার শশুরকে দিতে পারব,তাদের চলতে কস্ট হয় আমারও একসাথে পরিশোধ করার খমতা নেই টাই মাসিক বাবদ সবাইকে দিতে চাচ্ছিলাম,এটা কি হবে?

৩.জাকাতের টাকা কি রমজান আসার আগে থেকে হিসাব করে অল্প কিছু পরিমান করে পরিশোধ করা যাবে? আমার আয় কম তাই রমজানে সব খরচ মিলিয়ে  জাকাত দেয়া কস্ট হয়ে যায়,

1 Answer

0 votes
by (574,050 points)
edited by
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম।
জবাবঃ-


(০১)
আপনার সেই জীবন বীমায় মোট কত টাকা সূদ এসেছে,আসবে,সব হিসেব করে আপনি এখন থেকেই তাহা ছওয়াবের নিয়ত ছাড়া গরিব মিসকিনকে দান করতে পারবেন।
এতে জীবন বীমার সেই সুদের টাকা দানের নিয়ত করলে সেটি আদায় হবে।

তবে নিয়ত না করে এমনিতেই দান করলে তাহা আদায় হবেনা।

মেয়াদপূর্তি হবার পর যদি হিসেব করে অতিরিক্ত আরো কিছু টাকা সূদ হওয়ায় দান করতে হয় তাহলে তাহা দান করবেন।
বেশি দান করা হলে সমস্যা নেই,তবে কম দান করা যাবেনা।

উক্ত টাকা গরিব মিসকিনকে ছওয়াবের নিয়ত ছাড়া দান করতে হবে।     

(০২)
আপনার শশুর যদি নেসাব পরিমান সম্পদের মালিক না হয়,সে যদি যাকাত গ্রহনের উপযুক্ত হয়,তাহলে তাকে আপনি এই টাকা দিতে পারবেন।
মাসিক খরচের নাম দিয়েও দিতে পারবেন,তবে আপনার মনে সূদের টাকা দানের নিয়ত থাকতে হবে।

(০৩)
আল্লাহ তাআলা বলেন-

خُذْ مِنْ اَمْوَالِهِمْ صَدَقَةً تُطَهِّرُهُمْ وَ تُزَكِّیْهِمْ بِهَا وَصَلِّ عَلَیْهِمْ ؕ اِنَّ صَلٰوتَكَ سَكَنٌ لَّهُمْ ؕ وَ اللّٰهُ سَمِیْعٌ عَلِیْمٌ۱۰۳

‘তাদের সম্পদ থেকে সদকা গ্রহণ করুন, যার দ্বারা আপনি তাদেরকে পবিত্র করবেন এবং পরিশোধিত করবেন এবং আপনি তাদের জন্য দুআ করবেন। আপনার দুআ তো তাদের জন্য চিত্ত স্বস্তিকর। আল্লাহ সর্বশ্রোতা, সর্বজ্ঞ।’-সূরা তাওবা : ১০৩

★যাকাত মূলত আদায় করতে হয়, বছর শেষে  হাতে থাকা সম্পদের উপর ভিত্তি করে। যত সম্পদ থাকবে, তার চল্লিশ ভাগের এক ভাগ যাকাত দিতে হয়।

★তবে যাকাত আবশ্যক হবার পর, অগ্রীম দুই এক বছরের যাকাতের টাকা যাকাতের নিয়তের সাথে আদায় করলেও তা আদায় হবে। তবে আগামী বছর আসলে হিসেবে করে দেখতে হবে, কত টাকা যাকাত এসেছিল?
আর কত অগ্রীম আদায় করা হয়েছে? যদি দেখা যায়, যাকাত বাবদ আরো টাকা দিতে হবে, তাহলে আরো যাকাত আদায় করতে হবে। আর যদি দেখা যায়, অতিরিক্ত আদায় করেছে, তাহলে তা পরবর্তী বছরের যাকাতের সাথে এ্যাড করে নিতে পারবে।

বিস্তারিত জানুনঃ   

★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
জাকাতের টাকা রমজান আসার আগে থেকে হিসাব করে অল্প কিছু পরিমান করে পরিশোধ করা যাবে।
তবে যদি যাকাত ফরজ হওয়ার দিনে এসে হিসেব করে দেখা যায় যে আরো যাকাত দিতে হবে,তাহলে আরো দিবেন।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...