ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম।
জবাবঃ-
(০১)
হ্যাঁ এটি স্পষ্ট জুলুম।
এহেন জুলুমের জন্য কিয়ামতে কঠিন শাস্তির সম্মুখীন হতে হবে।
মাজলুম ব্যাক্তি মাফ না করা পর্যন্ত কোনো মাফ হবেনা।
(০২)
সমস্ত উলামায়ে কেরাম একমত যে, আছরের নামাযের পর সূর্যাস্তের পূর্ব পর্যন্ত নফল নামায মাকরুহ।এবং ফজরের নামাযের পর সূর্যোদয় পর্যন্ত নফল নামায মাকরুহ।
আবু সাইদ খুদরী রাযি থেকে বর্ণিত
عن أبي سَعِيدٍ الخُدْرِيّ رضي الله عنه قال : سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُولُ : ( لاَ صَلاَةَ بَعْدَ الصُّبْحِ حَتَّى تَرْتَفِعَ الشَّمْسُ ، وَلاَ صَلاَةَ بَعْدَ العَصْرِ حَتَّى تَغِيبَ الشَّمْسُ )
রাসূলুল্লাহ সাঃ বলেন,ফজরের নামাযের পর সূর্যোদয় পর্যন্ত নফল নামায মাকরুহ।এবং আছরের নামাযের পর সূর্যাস্ত পর্যন্ত নফল নামায মাকরুহ।(সহীহ বোখারী-৫৮৮ সহীহ মুসলিম-৮২৭)
যে তিন সময় নামায পড়াকে হারাম বা মাকরুহে তাহরিমী বলা হয়েছে,সে সময় সকল প্রকার নামায পড়াই মাকরুহে তাহরিমী।
হ্যা ফজর এবং আছরের নামাযের পর কাযা নামায পড়া যাবে।তবে নফল পড়া যাবে না বরং মাকরুহ হবে।(ফাতাওয়ায়ে দারুল উলূম দেওবন্দ-৪/২৪৪)
★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে তাহিয়াতুল মসজিদ আদায় করা যাবেনা।
(০৩)
হ্যাঁ আপনি উক্ত সময়ে তাহিয়াতুল উযু আদায় করতে পারবেন।
বিতরকে সর্বশেষ নামাজ করতে বলা হয়েছে,তবে এর পরে নামাজ আদায় করলে তাহা শুদ্ধ হবেনা,কবুল হবেনা,এমনটি কেহউ বলেনি।
সুতরাং উল্লেখিত ছুরতে আপনি তাহিয়াতুল উযু আদায় করতে পারবেন।
(০৪)
হ্যাঁ জায়েজ হবে।
(০৫)
ছেলেদের বাংলাদেশ আর্মিতে জয়েন করা জায়েয আছে।
এখানে কোনো গুনাহমূলক কাজে জড়িয়ে পড়লে সেই গুনাহ করার গুনাহ হবে।
চাকুরীর ক্ষেত্রে সমস্যা হবেনা।
আরো জানুনঃ
(০৬)
তাদের এমন নিয়ম ভেঙে রোজা রাখলে পাপ হবেনা।
আপনি যদি মিথ্যা না বলে কাজা রোযা রাখতে না পারেন,তাহলে সেখানে উল্লেখিত পদ্ধতিতে কথা বলতে পারেন।
(০৭)
উত্তম আখলাকের মূল চাবিকাঠি হচ্ছে ‘তাওয়াযূ’ বা বিনয়ঃ
যার মধ্যে তাওয়াযূ আছে সে কখনো বদ আখলাক ও দুর্ব্যবহারকারী হতে পারে না। এ কারণে আখলাক বিরোধী কোনো আচরণ প্রকাশ পাওয়ার অর্থই হচ্ছে তার মধ্যে তাকাববুর এসেছে। তাওয়াযূ অর্থ অন্যকে নিজের থেকে বড় মনে করা এবং নিজেকে ছোট মনে করা।
অন্তরে যেন নিজের বড়ত্বের চিন্তা না থাকে। বরং ভাবুন, আমার যা কিছু আছে সব আল্লাহর দান। যখন ইচ্ছা করেন তিনি তা ছিনিয়েও নিতে পারেন। আমার নিজস্ব কোনো গুণ নেই। আল্লাহ তাআলা অন্যদেরকে অনেক গুণ ও বৈশিষ্ট্য দান করেছেন। তাই তাদের অনেক কামাল ও যোগ্যতা রয়েছে। এভাবে নিজেকে বড় মনে না করার নামই তাওয়াযূ বা বিনয়।
হাদীস শরীফে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন-
من تواضع لله رفعه الله
অর্থাৎ যে আল্লাহর (সন্তুষ্টির) জন্য নিজেকে নীচু করে আল্লাহ তাকে উঁচু করে দেন।-মুসনাদে আহমদ, হাদীস : ১১২৯৯
আরো জানুনঃ