আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
147 views
in পরিবার,বিবাহ,তালাক (Family Life,Marriage & Divorce) by (30 points)
আসসালামু আলাইকুম হুজুর।  দয়া করে উত্তর গুলো দিবেন।

১৷ কোন অবিবাহিত মেয়ে কি নিজেকে তা*** শর্ত দিতে পারবে বা মু*ল্লাক  তা** দিতে পারবে? অর্থাত সে যদি বলে যে,, সে যত বিয়েই বসবে সব জায়গা থেকে সে **** হয়ে যাবে। এতে কি তার বিয়ে হলেই তা** হয়ে যাবে??


২। ১ম দিনঃ কোন একজন স্বামী একদিন একটি শর্তমূলক কেনায়া বাক্য বললো। তারপর স্ত্রী জিজ্ঞেস করলে বলে তার নিয়ত ছিল না তা** দেওয়ার।
২য় দিনঃ স্বামী আরেকটা শর্তমূলক কেনায়া বাক্য বললে স্ত্রী বলে এইভাবে কথা বললে তা*** হয়ে যায়। স্বামী এই কথা বিশ্বাস করতে চায়নি।  স্বামী বলে তাহলে তো ১ম দিনেও তা** হবে/হয়েছে। কারন সে ১ম দিনেও এরকম বাক্য বলেছিল।
এইভাবে কথাটা বলার কারনে কি ১ম দিনের বলা শর্ত পতিত হয়ে যাবে স্ত্রীর উপর??

1 Answer

0 votes
by (589,680 points)
edited by

ওয়া আলাইকুম আসসালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহ।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
https://www.ifatwa.info/4506 নং ফাতাওয়ায় বলেছি যে,
তালাক প্রদান করা সম্পূর্ণ স্বামীর অধীকার।হ্যা শরীয়ত কিছু কিছু ক্ষেত্রে স্ত্রীকে নিজের উপর তালাক প্রদানের অনুমোদন দিয়েছে।যেমন,স্বামী কর্তৃক স্ত্রীকে তালাক প্রদানের অনুমতি প্রদান করলে,স্ত্রী নিজেকে তালাক দিতে পারবে।তাছাড়া স্বামী খোরপোষ না দিলে,স্ত্রী কাযী সাহেবের নিকট অভিযোগ দায়ের করতে পারবে।কিংবা স্বামী নিখোঁজ হলে বা ধ্বজভঙ্গ হলে কোর্ট বিবাহ ভঙ্গের রায় দিতে পারবে।

স্বামীর খোঁজখবর না থাকলে স্ত্রী চার বছর পর্যন্ত অপেক্ষা করবে।চার বছর অপেক্ষার পরও যদি স্বামীর কোনো খোঁজখবর না মিলে,কোর্ট স্বামীর পক্ষ্য থেকে বিবাহ ভঙ্গ করে দিবে।স্ত্রী তালাক দিতে পারবে না।তালাক দেয়ার অধীকার স্ত্রীর নেই।

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
(১)
কোন অবিবাহিত মেয়ে নিজেকে তা*** শর্ত দিতে পারবে বা মু*ল্লাক  তা** দিতে পারবেনা।অর্থাৎ সে যদি বলে যে,, সে যত বিয়েই বসবে সব জায়গা থেকে সে **** হয়ে যাবে। এতেকরে তার বিয়ে হলে তা** হয়ে যাবে না।

(২)
১ম দিনঃ কোন একজন স্বামী একদিন একটি শর্তমূলক কেনায়া বাক্য বললো। তারপর স্ত্রী জিজ্ঞেস করলে বলে তার নিয়ত ছিল না তা** দেওয়ার।
২য় দিনঃ স্বামী আরেকটা শর্তমূলক কেনায়া বাক্য বললে স্ত্রী বলে এইভাবে কথা বললে তা*** হয়ে যায়। স্বামী এই কথা বিশ্বাস করতে চায়নি।  স্বামী বলে তাহলে তো ১ম দিনেও তা** হবে/হয়েছে। কারন সে ১ম দিনেও এরকম বাক্য বলেছিল।
এইভাবে কথাটা বলার কারনে কি ১ম দিনের বলা শর্ত পতিত হয়ে যাবে স্ত্রীর উপর?

এখানে স্বামীর বক্তব্য যা আপনি উল্লেখ করেছেন,
'স্বামী এই কথা বিশ্বাস করতে চায়নি। '
এই কথা দ্বারা বুঝা যাচ্ছে যে, স্বামীর তালাকের নিয়ত ছিলইনা।
সুতরাং স্বামী ২ য় দিনের তালাকের নিয়তকে অস্বীকার করছে এবং সাথে সাথে প্রথম দিনের তালাকের নিয়তকেও অস্বীকার করছে।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (589,680 points)
সংযোজন ও সংশোধন করা হয়েছে।

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...