আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
115 views
in পরিবার,বিবাহ,তালাক (Family Life,Marriage & Divorce) by (55 points)
edited by

আসসালামু আলাইকুম হুজুর।  একজন ওয়াসওয়াসা রোগীর প্রশ্ন। দয়া করে সামাধান দিবেন আর পরামর্শ দিবেন তার কি করা উচিত।  

১। মেয়েটা একদিন বলতে যায় তার স্বামী যদি এই কাজ করে তাহলে সে  তা**** (অর্থাত মেয়েটা নিজেকে বলেছে) এই কথাটা সে মনে মনে ভেবেছে। 

১ম ঘটনা ঃ কিছুক্ষণ পর সে সন্দেহে পরে সে কথাটা মুখে বলে ফেলেছিল কিনা। তাই সে বলে দেখতে যায় এইভাবে বলেছিল কিনা,,,এজন্য সে মুখে শুধু বলে """তার স্বামী যদি এই কাজ করে ,,,, এইটুকু বলে সে আর কিছু বলে না। 

২য় ঘটনা ঃএর কিছুক্ষণ পর সে মনে মনে বলে তার স্বামী যদি এই কাজ করে,,,এইটুকু বলে সে মুখে বলে ফেলে তাহলে সে তা*** 

২ টি ঘটনার মাঝে কয়েক মিনিট সময় সে হয়তো চুপ ছিল। বা মহিলার মনে ছিল না ১ম ঘটনার সময় সে মুখে ওই কথাটা বলেছে। 

এখন সে ১ম ঘটনায় যে মুখে বলেছিল  তার স্বামী যদি এই কজ করে,,আবার   ২য় বার বলার সময় বললো তাহলে সে তা***,,, এখন এই ২ টা কথা কি একসাথে হয়ে যাবে?? মহিলা তো ১ম ঘটনার কথার সাথে ২য় বারের কথাটা বলতে চায়নি। 

 

২৷ কোন মেয়ে যদি মুখে বলে যে,''' নিজের উপর ***** নেওয়ার মত কিছু বলিনি""" এইটুকু বললে কি তার নিজের দিকে নসিবত করে বলার ফলে তা*** পতিত হয়ে যায়??

 

৩।  হুজুর, মহিলা মনে মনে বলেছে নিজের উপর ***** নেওয়ার কথা বলিনি,,, এইটা বলার পর সে সন্দেহে পরে যায় সে মুখে বলে ফেলেছিল কিনা। ঠিক ওই সময় সে ফিস্ফিস করে কিছু বলছিল। তার কানে শুধু ফিসফিস করার অল্প একটু শব্দ আসে,, কিন্তু স্পষ্ট কিছুই আসে না। 

 

৪৷ যদি ওই মহিলা তা*** নেওয়ার মত কিছু বলেও ফেলত,,, আর তার কানে স্পষ্ট শব্দ না এসে শুধু এক্টু ফিসফিস করার শব্দ আসতো তাহলে কি তার তা*** হয়ে যায়??

৫. সে প্রচন্ড ওয়াসওয়াসার রোগী,,, কয়েক মিনিট আগের ঘটনা নিয়েও তার মনে সন্দেহ তৈরি হয়ে যায়। এক্ষেত্রে কোন বিষয়ে সন্দেহ আসলে সে কিভাবে মনকে শান্ত করবে??

 

৬। তার ওয়াসওয়াসা আসলে সে বেশিরভাগ সময়ঈ প্রবল ধারণা যেদিকে যায় সেটা ধরে নেয়। তাও তার মনে ভয় থেকে যায় প্রবল ধারণা যদি ভুল হয় সে যদি পাপী হয়ে যায়??

প্রবল ধারণা অনুযায়ী আমল করলে বা তার মনকে শান্তনা দিলে কি সে পাপী হবে যদি বাস্তবে সে প্রবল ধারণা ভুল হয়ে থাকে? আল্লাহ কি ক্ষমা করবেন?

1 Answer

0 votes
by (677,120 points)
edited by
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম।
জবাবঃ-


https://ifatwa.info/36539/ ফতোয়াতে উল্লেখ রয়েছেঃ  
তালাক হচ্ছে স্বামীর অধিকার। স্বামী তালাক দিলেই তালাক সংঘটিত হবে। 

হাদীস শরীফে এসেছেঃ 

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ يَحْيَى حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ عَبْدِ اللهِ بْنِ بُكَيْرٍ حَدَّثَنَا ابْنُ لَهِيعَةَ عَنْ مُوسَى بْنِ أَيُّوبَ الْغَافِقِيِّ عَنْ عِكْرِمَةَ عَنْ ابْنِ عَبَّاسٍ قَالَ أَتَى النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم رَجُلٌ فَقَالَ يَا رَسُولَ اللهِ إِنَّ سَيِّدِي زَوَّجَنِي أَمَتَهُ وَهُوَ يُرِيدُ أَنْ يُفَرِّقَ بَيْنِي وَبَيْنَهَا قَالَ فَصَعِدَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم الْمِنْبَرَ فَقَالَ يَا أَيُّهَا النَّاسُ مَا بَالُ أَحَدِكُمْ يُزَوِّجُ عَبْدَهُ أَمَتَهُ ثُمَّ يُرِيدُ أَنْ يُفَرِّقَ بَيْنَهُمَا إِنَّمَا الطَّلَاقُ لِمَنْ أَخَذَ بِالسَّاقِ

ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, এক ব্যক্তি নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম -এর নিকট এসে বললো, হে আল্লাহর রসূল! আমার মনিব তার বাঁদীকে আমার সাথে বিবাহ দিয়েছে। এখন সে আমার ও আমার স্ত্রীর মধ্যে বিবাহ বিচ্ছেদ ঘটাতে চায়। রাবী বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মিম্বারে আরোহণ করলেন, অতঃপর বলেনঃ হে লোকসকল! তোমাদের কারো এরূপ আচরণ কেন যে, সে তার গোলামের সাথে তার বাঁদীর বিবাহ দেয়, অতঃপর তাদের মধ্যে বিবাহ বিচ্ছেদ ঘটাতে চায়? নারীর ঊরু স্পর্শ করা যার জন্য বৈধ, তালাকের অধিকার তার।
(সুনানে ইবনে মাজাহ ২০৮১.বায়হাকী ৯/১৫৭, ইরওয়াহ ২০৪১।)

★শরীয়তের বিধান অনুযায়ী  মহিলা নিজের উপর কেবল তখনি তালাক পতিত করতে পারবে, যদি স্বামী তাকে তালাক দেবার অধিকার দিয়ে থাকে।
এটি নিকাহ নামার ১৮ নং ধারাতে হ্যাঁ লেখার মাধ্যমেই হোক,বা পরবর্তীতে মৌখিক বা লিখিত ভাবেই হোক।
,  
সুতরাং স্বামী যদি স্ত্রীকে তালাকের ক্ষমতা প্রদান করে,আর স্ত্রী স্বামী কর্তৃক তালাকে তাভবিজের ক্ষমতাবলে লিখিত বা মৌখিকভাবে নিজের নফসের উপর তালাক দিয়ে দিলে সেটি পতিত হয়ে যাবে।

আরো জানুনঃ 

ফাতাওয়ায়ে শামীতে আছেঃ
   
قال لھا: طلقي نفسک ولم ینو أو نوی واحدة فطلقت وقعت رجعیة الخ (الدر المختار مع رد المحتار، کتاب الطلاق، باب الأمر بالید، ۴: ۵۷۵، ط: مکتبة زکریا دیوبند)۔
সারমর্মঃ
কেহ যদি তার স্ত্রীকে বলে,তুমি তোমার নিজের নফসকে তালাক দাও,কোনো নিয়ত না করে,অথবা এক তালাকের নিয়ত করে,অতঃপর স্ত্রী তালাক দেয়,তাহলে এক তালাকে রজয়ী পতিত হবে।     

প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
প্রশ্নের বিবরণ মতে কোনো ছুরতেই তালাক হবেনা।
উক্ত মহিলার প্রতি পরামর্শ থাকবেঃ
আপনি নিশ্চিত থাকুন,প্রশ্নে উল্লেখিত কোনো ছুরতেই তালাক হয়নি।

আপনাদের ঘর সংসার সম্পূর্ণভাবে বৈধই রয়েছে,আলহামদুলিল্লাহ। 
আপনি নিশ্চিন্তে থাকুন।      

★তালাক নিয়ে এই জাতীয় কথাবার্তা বলা থেকে সম্পূর্ণভাবে বিরত থাকুন।
ইবাদতে মনোযোগী হোন, বেশি বেশি নামাজ,তিলাওয়াত, যিকির আযকারে লিপ্ত হোন,স্বামীর সংসারে মনোযোগ দিয়ে কাজ করুন।
তালাক,বিবাহ বিচ্ছেদ নিয়ে কোনো ভাবনা মাথাতেই আনবেননা।
এসব ভাবনা আসলেই ইস্তেগফার পাঠ করে বিতাড়িত শয়তান হয়ে আল্লাহর কাছে পানাহ চাইবেন।

তালাক সংক্রান্ত কোনো ফতোয়া পড়বেননা,কোনো প্রশ্ন করবেননা।     

তালাকের বিষয় মাথাতেই আসতে দিবেননা। 
ইনশাআল্লাহ আপনার মন থেকে অহেতুত এসব ভাবনা দূর হবে,ইনশাআল্লাহ। 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...