আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
136 views
in পরিবার,বিবাহ,তালাক (Family Life,Marriage & Divorce) by (55 points)
edited by
আসসালামু আলাইকুম হুজুর।  আপনি আগের ফতোয়ায় বলেছেন,
"স্বামী স্পষ্ট বাক্যে তালাকের অধিকার দিলে আর স্ত্রী
স্পষ্ট বাক্যে তালাক গ্রহন করলে রজয়ী তালাক হবে"

১। স্বামী যদি এইভাবে অধিকার না দেয়,  যদি বলে থাকে ভালো না লাগলে চলে যেও৷ তোমাকে অধিকার দিয়েই দিয়েছি।  তাহলে কি স্ত্রী স্পষ্ট বাক্য বলে নিজেকে তা*** দিতে পারবে বা সেটা রজয়ী হবে নাকি বায়ে*??

২। স্বামী যদি বলে থাকে,, তালা* এর কথা বললা না?  তা** আমি দিলেও হবে তুমি দিলেও হবে,,, তুমি পেপার সিগ্নেচার করে পাঠিয়ে দিও। আমিও সিগ্নেচার করে দিব নে। এইভাবে বললে কি স্ত্রী অধিকার পাবে? আর পেলে কোন ধরনের অধিকার পাবে??

৩। উপরের ২ ধরনের কথার জন্য স্ত্রী কয় তালা** মালিক হবে?

৪। স্ত্রী নিজের উপর তা*** দিতে পারে সেটা স্বামী জানে না।  সে স্ত্রীকে তার নিজের উপর *** নেওয়ার কথা কখনো বলেওনি। তাহলে মৌখিক ভাবে যদি স্বামি বলে ভালো না লাগলে চলে যেতে বা এই ধরনের কথা,,,, তাহলে কোন ধরনের অধিকার পাবে স্ত্রী??
৫।স্বামী তার স্ত্রীকে কখনোই বলেনি তুমি নিজের উপর *** দেও। বলেছে স্ত্রী যাতে তা*** দিয়ে চলে যায়, বা ভালো না লাগলে সংসার না করে৷ এতে স্ত্রী কোন ধরনের অধিকার পাবে?

৬।স্বামী যদি বলতো যখন ইচ্ছা চলে যেও তোমাকে বাধা দিব না তাহলে স্ত্রী কয় তা*** মালিক হয়?

৭। কাবিন নামার ১৮ নাম্নার কলামে কোন বিষয়গুলোর শর্তে অধিকার দেওয়া আছে তা না জেনে যদি স্ত্রী ওয়াসওয়াসার কারনে মুখে নিজেকে **** দেওয়ার মত কথা বলে ফেলে তাহলে কি পতিত হয়ে যায়??

৮। কোন মহিলা যদি শুধু এইটুকু লিখে " নিজের উপর,,, এইটুকু লিখে যদি((( তা***,,)) এইভাবে স্টার দিয়ে লিখে তাহলে সমস্যা হবে বা মিথ্যা স্বীকারোক্তি হবে??

৯। কোন মহিলা যদি বলে তার স্বামীকে তার মার সাথে বা গার্জিয়ানের সাথে কথা বলতে তাহলে কি সেটা কেনায়া বাক্য হয়ে যায়?

1 Answer

0 votes
by (684,200 points)
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম।
জবাবঃ-


https://ifatwa.info/36539/ ফতোয়াতে উল্লেখ রয়েছেঃ  
তালাক হচ্ছে স্বামীর অধিকার। স্বামী তালাক দিলেই তালাক সংঘটিত হবে। 

হাদীস শরীফে এসেছেঃ 

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ يَحْيَى حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ عَبْدِ اللهِ بْنِ بُكَيْرٍ حَدَّثَنَا ابْنُ لَهِيعَةَ عَنْ مُوسَى بْنِ أَيُّوبَ الْغَافِقِيِّ عَنْ عِكْرِمَةَ عَنْ ابْنِ عَبَّاسٍ قَالَ أَتَى النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم رَجُلٌ فَقَالَ يَا رَسُولَ اللهِ إِنَّ سَيِّدِي زَوَّجَنِي أَمَتَهُ وَهُوَ يُرِيدُ أَنْ يُفَرِّقَ بَيْنِي وَبَيْنَهَا قَالَ فَصَعِدَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم الْمِنْبَرَ فَقَالَ يَا أَيُّهَا النَّاسُ مَا بَالُ أَحَدِكُمْ يُزَوِّجُ عَبْدَهُ أَمَتَهُ ثُمَّ يُرِيدُ أَنْ يُفَرِّقَ بَيْنَهُمَا إِنَّمَا الطَّلَاقُ لِمَنْ أَخَذَ بِالسَّاقِ

ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, এক ব্যক্তি নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম -এর নিকট এসে বললো, হে আল্লাহর রসূল! আমার মনিব তার বাঁদীকে আমার সাথে বিবাহ দিয়েছে। এখন সে আমার ও আমার স্ত্রীর মধ্যে বিবাহ বিচ্ছেদ ঘটাতে চায়। রাবী বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মিম্বারে আরোহণ করলেন, অতঃপর বলেনঃ হে লোকসকল! তোমাদের কারো এরূপ আচরণ কেন যে, সে তার গোলামের সাথে তার বাঁদীর বিবাহ দেয়, অতঃপর তাদের মধ্যে বিবাহ বিচ্ছেদ ঘটাতে চায়? নারীর ঊরু স্পর্শ করা যার জন্য বৈধ, তালাকের অধিকার তার।
(সুনানে ইবনে মাজাহ ২০৮১.বায়হাকী ৯/১৫৭, ইরওয়াহ ২০৪১।)

★শরীয়তের বিধান অনুযায়ী  মহিলা নিজের উপর কেবল তখনি তালাক পতিত করতে পারবে, যদি স্বামী তাকে তালাক দেবার অধিকার দিয়ে থাকে।
এটি নিকাহ নামার ১৮ নং ধারাতে হ্যাঁ লেখার মাধ্যমেই হোক,বা পরবর্তীতে মৌখিক বা লিখিত ভাবেই হোক।
,  
সুতরাং স্বামী যদি স্ত্রীকে তালাকের ক্ষমতা প্রদান করে,আর স্ত্রী স্বামী কর্তৃক তালাকে তাভবিজের ক্ষমতাবলে লিখিত বা মৌখিকভাবে নিজের নফসের উপর তালাক দিয়ে দিলে সেটি পতিত হয়ে যাবে।

আরো জানুনঃ 

ফাতাওয়ায়ে শামীতে আছেঃ
   
قال لھا: طلقي نفسک ولم ینو أو نوی واحدة فطلقت وقعت رجعیة الخ (الدر المختار مع رد المحتار، کتاب الطلاق، باب الأمر بالید، ۴: ۵۷۵، ط: مکتبة زکریا دیوبند)۔
সারমর্মঃ
কেহ যদি তার স্ত্রীকে বলে,তুমি তোমার নিজের নফসকে তালাক দাও,কোনো নিয়ত না করে,অথবা এক তালাকের নিয়ত করে,অতঃপর স্ত্রী তালাক দেয়,তাহলে এক তালাকে রজয়ী পতিত হবে।     

প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
(০১)
উল্লেখিত স্বামী যদি ইতিপূর্বে লিখিত বা মৌখিক বা নিকাহ নামার ১৮ নং ধারায় স্ত্রীকে তালাক প্রদানের ক্ষমতা, অধিকার না দিয়ে থাকে,তাহলে শুধুমাত্র প্রশ্নে উল্লেখিত বাক্য বলার কারনে স্ত্রী নিজেকে নিজে তালাক প্রদানের ক্ষমতা পাবেনা।
তাই এভাবে নিজেকে তালাক দিলে তালাকও হবেনা।

হ্যাঁ যদি এখানে স্বামী তালাকের অধিকার দেয়া উদ্দেশ্য নেয়,তাহলে এক্ষেত্রে তালাকের ক্ষমতা পাবে।
স্ত্রী স্পষ্ট বাক্যে নিজেকে নিজে তালাক দিলে রজয়ী তালাক হবে। 

(০২)
উল্লেখিত স্বামী যদি ইতিপূর্বে লিখিত বা মৌখিক বা নিকাহ নামার ১৮ নং ধারায় স্ত্রীকে তালাক প্রদানের ক্ষমতা, অধিকার না দিয়ে থাকে,তাহলে শুধুমাত্র প্রশ্নে উল্লেখিত বাক্য বলার কারনে স্ত্রী নিজেকে নিজে তালাক প্রদানের ক্ষমতা পাবেনা।

(০৩)
তালাকের ক্ষমতা পেলে ১ তালাকের পাবে।
আর ক্ষমতা না পেলে এক তালাকেরও পাবেনা।

(০৪)
না,পাবেনা।

(০৫)
শুধু এ কথা বলাতে স্ত্রী তালাকের অধিকার পাবেনা।

(০৬)
এখানে স্বামী স্ত্রীকে তালাকের অধিকার দেয়া উদ্দেশ্য না নিলে স্ত্রী তালাকের অধিকার পাবেনা। 

(০৭)
যদি কোনো শর্ত না থাকে,আর স্বামীও বিষয়টি জেনে শুনেই নিকাহ নামায় সাইন করে,তাহলে উল্লেখিত ছুরতে স্ত্রী মুখ দিয়ে উচ্চারণ করে  নিজেকে নিজে তালাক দিলে তালাক হবে।

আর নিকাহ নামার ১৮ নং ধারায় যদি শর্ত  থাকে,সে শর্ত যদি না পাওয়া যায়,অথবা স্বামী বিষয়টি না জেনে শুনেই যদি নিকাহ নামায় সাইন করে,তাহলে স্ত্রীর এহেন কথা উচ্চারণ করে বললেও তালাক হবেনা।

(০৮)
এতে তালাক হবেনা।

(০৯)
স্ত্রীর এহেন কথা বলায় এতে কোনো সমস্যা হবেনা।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...