ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
(১)
শয়তান কাফিরদের মনের মধ্যে আপত্তি তো নিয়েই আসবে।সুতরাং তাদের সাথে তর্কে না জড়ানোর কথা কুরআনে বলা হয়েছে।
(২)
বিজ্ঞ আলেমগণ যখন মুনাসিব মনে করবেন, তখনই তাদের সাথে তর্কে জড়ানো হবে। নতুবা তর্কে জড়ানো জায়েয হবে না।
(৩)
বিজ্ঞ আলেমের সামনে বিষয়টা উত্তাপন করলে তিনি বলে দিবেন, কখনো তর্কে জড়াতে হবে আর কখন না।
(৪)
অমুসলিমের সাথে বন্ধুত্ব সম্পর্ককে আল্লাহ তা'আলা বলেন,
لاَّ يَتَّخِذِ الْمُؤْمِنُونَ الْكَافِرِينَ أَوْلِيَاء مِن دُوْنِ الْمُؤْمِنِينَ وَمَن يَفْعَلْ ذَلِكَ فَلَيْسَ مِنَ اللّهِ فِي شَيْءٍ إِلاَّ أَن تَتَّقُواْ مِنْهُمْ تُقَاةً وَيُحَذِّرُكُمُ اللّهُ نَفْسَهُ وَإِلَى اللّهِ الْمَصِيرُ
মুমিনগন যেন অন্য মুমিনকে ছেড়ে কেন কাফেরকে বন্ধুরূপে গ্রহণ না করে। যারা এরূপ করবে আল্লাহর সাথে তাদের কেন সম্পর্ক থাকবে না। তবে যদি তোমরা তাদের পক্ষ থেকে কোন অনিষ্টের আশঙ্কা কর, তবে তাদের সাথে সাবধানতার সাথে থাকবে আল্লাহ তা’আলা তাঁর সম্পর্কে তোমাদের সতর্ক করেছেন। এবং সবাই কে তাঁর কাছে ফিরে যেতে হবে।(সূরা আলে ইমরান-২৮)
কোনো অমুসলিমকে ইসলামের দিকে দীক্ষিত করতে,বা কোনো প্রভাবশালী অমুসলিমের ক্ষতি থেকে নিজেকে হেফাজত করতে তার সাথে বাহ্যিক বন্ধুত্ব রাখা যায়, তবে আন্তরিক বন্ধুত্ব স্থাপন কখনো জায়েয হবে না।
(৫)
তাদের বুঝাতে গিয়ে সময় নষ্ট করবেন না।এরচেয়ে নিজেকে নফল ইবাদতে ব্যস্ত রাখবেন।
(৬)
কে বলল সব সময় মৃত্যুদণ্ড নয়।বরং সর্বদাই মৃত্যুদণ্ড দেয়া হবে।
(৭)
সামর্থ্যানুযায়ী তার বক্তব্যর বিরোধিতা করতে হবে।
(৮)
কারো সাথে তর্কে জড়ানো যাবে না।
(৯)
প্রতিবাদ করা মুসলমানদের দায়িত্ব ও কর্তব্য।
(১০)
নামাযে যার জন্য যতটুকু সহজ হয়, সে ততটুকুই পড়বে।
(১১)
জ্বী, জায়েয।