আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
354 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (59 points)
এক ভাই ব্যভিচারের শাস্তি নিয়ে লিখতে গিয়ে বলেন যে "ইসলামী শরীয়া প্রয়োগ না হলে তাদের তাওবা হয় না।" এরকম কি বলা যাবে?
by (59 points)
মূল লেখা- 
ভ্যবিচারীদের পোস্টে ধর্ষণের প্রতিবাদ মানায় নাহ।
ভ্যবিচার আর ধর্ষন একই। এক জাগায় প্রয়োগ করা হয় শক্তি আরেক জায়গায় প্রয়োগ করা হয় বুদ্ধি।
তবে ভ্যবিচারীরা উভয়েই অপরাধী।
ইসলামী শরীয়া প্রয়োগ না হলে তাদের তাওবা হয় না।শরীয়ার আইণ অনুযায়ী অবিবাহিত ছেলে মেয়েদের মধ্যে এই জগন্য পাপ সংঘটিত হলে  ৮০টি দোররা কিংবা বেত্রাঘাত প্রয়োগ করাই হবে তাদের তাওবা পাশাপাশি এই ছেলে মেয়েদের সাথে মুসলিম পবিত্র ছেলে মেয়েদের বিবাহ হারাম।
দ্বিতীয় বার কোন নারীর ধর্ষন মামলা ইসলামে গ্রহন যোগ্য নয়। যদি সে নারী স্বাধীন ও গৃহবন্ধী না হয়। অর্থাৎ ধর্ষকের ঘরে আটকা না থাকে।
জন সমক্ষে ১০০টি দোররা মারার পর যাতে লোক লজ্জা ও সমাজ তার পাপ ভূলে যায় সে জন্য এক বছরের জন্য ইসলামী আদালত তাদের পরিশুদ্ধ করনে কারা দন্ড প্রয়োগ করবে।
যদি বিবাহিত নারী পুরুষ এই কাজ করে তবে তাদের জন্য রজম ওয়াযিব হয়ে যায়।অর্ধাংগ মাটিতে পুতে পাথড় নিক্ষেপ করে তাদের মৃত্যু নিশ্চিত করতে হবে।
যদি প্রমাণিত যে কোন একজন জোড় পূর্বক শক্তি প্রয়োগ করে এই কাজে বাধ্য করেছে তবে শক্তি প্রয়োগ কারীর উপর দন্ড বর্তাবে অপর জন রাষ্ট্রের নিরাপত্তায় রাষ্ট্রের জিম্মাদারিতে থাকবে।
কোন নারী পরকিয়া করতে পারবে নাহ।যদি তার স্বামী পৌরষত্বে অক্ষম হয় সে ইসলামী আদালতে স্বামীর কাছে থেকে তালাক্ব নেয়ার আবেদন জানাতে পারবে।
কাজেই পুরুষত্ব নেই এই অযুহাতেও যিনায় লিপ্ত হইতে পারবে নাহ।
ইসলামী শরীয়ার এই কঠিন আইণ ছাড়া ধর্ষন ও ভ্যবিচার বন্ধ করা সম্ভব নয়।ইসলামী শরীয়ার আইন ছাড়া কোন পাপের তাওবাও সম্ভব নয়।
তাওবা শুধু মাত্র আল্লাহর এবাদত বন্দেগী তে নিজের অনুপস্থিতির জন্য। অন্যের হক্ব নষ্ট হলে কোন তাওবা গ্রহন হবে নাহ।
আজিজ ফয়সাল

1 Answer

0 votes
by (599,820 points)

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ- 
যদি কারো নিকট বান্দার হক তাহলে এক্ষেত্রে তাওবাহ কবুল হওয়ার শর্ত হল,বান্দার হককে ফিরিয়ে দেয়া।আর আল্লাহ হক হয়,তাহলে তাওবাহ কবুল হওয়ার শর্ত হল,অতীতের কাজের উপর লজ্জিত হওয়া,বর্তমানে পরিত্যাগ করা এবং ভবিষ্যতে না করার দূঢ় প্রতিজ্ঞা করা।

হদ তথা শরয়ী দন্ডবিধি কার্যকরী করা,তাওবাহ কবুল হওয়ার কোনো শর্ত নয়।গোনাহকে লুকিয়ে রাখাই মুস্তাহাব।খালিছ নিয়তে তাওবাহ করা হদ কায়েমের জন্য গোনাহর স্বীকার করার চেয়ে উত্তম।

খালিছ নিয়তে তাওবাহ করলে অাল্লাহ তা'আলা অতীতের সকল প্রকার গোনাহ সমূহকেও নেকি দ্বারা পরিবর্তন করে দেন।

অাল্লাহ তা'আলা বলেন,
وَالَّذِينَ لَا يَدْعُونَ مَعَ اللَّهِ إِلَهًا آخَرَ وَلَا يَقْتُلُونَ النَّفْسَ الَّتِي حَرَّمَ اللَّهُ إِلَّا بِالْحَقِّ وَلَا يَزْنُونَ وَمَن يَفْعَلْ ذَلِكَ يَلْقَ أَثَامًا*يُضَاعَفْ لَهُ الْعَذَابُ يَوْمَ الْقِيَامَةِ وَيَخْلُدْ فِيهِ مُهَانًا*
إِلَّا مَن تَابَ وَآمَنَ وَعَمِلَ عَمَلًا صَالِحًا فَأُوْلَئِكَ يُبَدِّلُ اللَّهُ سَيِّئَاتِهِمْ حَسَنَاتٍ وَكَانَ اللَّهُ غَفُورًا رَّحِيمًا *وَمَن تَابَ وَعَمِلَ صَالِحًا فَإِنَّهُ يَتُوبُ إِلَى اللَّهِ مَتَابًا
এবং যারা আল্লাহর সাথে অন্য উপাস্যের এবাদত করে না, আল্লাহ যার হত্যা অবৈধ করেছেন, সঙ্গত কারণ ব্যতীত তাকে হত্যা করে না এবং ব্যভিচার করে না। যারা একাজ করে, তারা শাস্তির সম্মুখীন হবে।কেয়ামতের দিন তাদের শাস্তি দ্বিগুন হবে এবং তথায় লাঞ্ছিত অবস্থায় চিরকাল বসবাস করবে।
কিন্তু যারা তওবা করে বিশ্বাস স্থাপন করে এবং সৎকর্ম করে, আল্লাহ তাদের গোনাহকে পুন্য দ্বারা পরিবর্তত করে এবং দেবেন। আল্লাহ ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু।যে তওবা করে ও সৎকর্ম করে, সে ফিরে আসার স্থান আল্লাহর দিকে ফিরে আসে।
(সূরা ফুরকান-৬৮--৭১)

হদ তথা দন্ডনীয় অপরাধ সরকার বা কাযী সাহেবের নিকট পৌছলে,তখন হদ বাস্তবায়ন করা সরকারের উপর ওয়াজিব।আর যাদের ব্যাপারে সরকারের কাছে সংবাদ পৌছেনি,তাদের উপর হদ কায়েম করা 

যখন বান্দা রব্বে তারীমের নিকট তাওবাহ করে নেবে,আল্লাহ তা'আলা তখন তার সেই তাওবাকে কবুল করবেন বলে ওয়াদা করেন।এজন্য কুরআনে তাওবাহ কারীর তাওবাহ বলে ঘোষণা দিয়েছে।এবং ভবিষ্যতে নেকী দিবেন বলে বদান্যতা দেখিয়েছেন। যেমন সূরা ফুরক্বানের ৬৮--৭১  এ বর্ণিত রয়েছে।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...