বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
যদি কারো নিকট বান্দার হক তাহলে এক্ষেত্রে তাওবাহ কবুল হওয়ার শর্ত হল,বান্দার হককে ফিরিয়ে দেয়া।আর আল্লাহ হক হয়,তাহলে তাওবাহ কবুল হওয়ার শর্ত হল,অতীতের কাজের উপর লজ্জিত হওয়া,বর্তমানে পরিত্যাগ করা এবং ভবিষ্যতে না করার দূঢ় প্রতিজ্ঞা করা।
হদ তথা শরয়ী দন্ডবিধি কার্যকরী করা,তাওবাহ কবুল হওয়ার কোনো শর্ত নয়।গোনাহকে লুকিয়ে রাখাই মুস্তাহাব।খালিছ নিয়তে তাওবাহ করা হদ কায়েমের জন্য গোনাহর স্বীকার করার চেয়ে উত্তম।
খালিছ নিয়তে তাওবাহ করলে অাল্লাহ তা'আলা অতীতের সকল প্রকার গোনাহ সমূহকেও নেকি দ্বারা পরিবর্তন করে দেন।
অাল্লাহ তা'আলা বলেন,
وَالَّذِينَ لَا يَدْعُونَ مَعَ اللَّهِ إِلَهًا آخَرَ وَلَا يَقْتُلُونَ النَّفْسَ الَّتِي حَرَّمَ اللَّهُ إِلَّا بِالْحَقِّ وَلَا يَزْنُونَ وَمَن يَفْعَلْ ذَلِكَ يَلْقَ أَثَامًا*يُضَاعَفْ لَهُ الْعَذَابُ يَوْمَ الْقِيَامَةِ وَيَخْلُدْ فِيهِ مُهَانًا*
إِلَّا مَن تَابَ وَآمَنَ وَعَمِلَ عَمَلًا صَالِحًا فَأُوْلَئِكَ يُبَدِّلُ اللَّهُ سَيِّئَاتِهِمْ حَسَنَاتٍ وَكَانَ اللَّهُ غَفُورًا رَّحِيمًا *وَمَن تَابَ وَعَمِلَ صَالِحًا فَإِنَّهُ يَتُوبُ إِلَى اللَّهِ مَتَابًا
এবং যারা আল্লাহর সাথে অন্য উপাস্যের এবাদত করে না, আল্লাহ যার হত্যা অবৈধ করেছেন, সঙ্গত কারণ ব্যতীত তাকে হত্যা করে না এবং ব্যভিচার করে না। যারা একাজ করে, তারা শাস্তির সম্মুখীন হবে।কেয়ামতের দিন তাদের শাস্তি দ্বিগুন হবে এবং তথায় লাঞ্ছিত অবস্থায় চিরকাল বসবাস করবে।
কিন্তু যারা তওবা করে বিশ্বাস স্থাপন করে এবং সৎকর্ম করে, আল্লাহ তাদের গোনাহকে পুন্য দ্বারা পরিবর্তত করে এবং দেবেন। আল্লাহ ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু।যে তওবা করে ও সৎকর্ম করে, সে ফিরে আসার স্থান আল্লাহর দিকে ফিরে আসে।
(সূরা ফুরকান-৬৮--৭১)
হদ তথা দন্ডনীয় অপরাধ সরকার বা কাযী সাহেবের নিকট পৌছলে,তখন হদ বাস্তবায়ন করা সরকারের উপর ওয়াজিব।আর যাদের ব্যাপারে সরকারের কাছে সংবাদ পৌছেনি,তাদের উপর হদ কায়েম করা
যখন বান্দা রব্বে তারীমের নিকট তাওবাহ করে নেবে,আল্লাহ তা'আলা তখন তার সেই তাওবাকে কবুল করবেন বলে ওয়াদা করেন।এজন্য কুরআনে তাওবাহ কারীর তাওবাহ বলে ঘোষণা দিয়েছে।এবং ভবিষ্যতে নেকী দিবেন বলে বদান্যতা দেখিয়েছেন। যেমন সূরা ফুরক্বানের ৬৮--৭১ এ বর্ণিত রয়েছে।