আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
199 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (8 points)
edited by
আসসালামু আলাইকুম ওয়ারাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতাহু

১ / বর্তমান সেকুলার/জেনারেল শিক্ষা গ্রহণ করা মানে তো তাগুতকে সমর্থন করা , কারণ ওরাই তো এগুলার প্রচলণ করেছে । এখন এধরনের কাজ কিভাবে একজন মুমিনের জন্য জায়েজ হয় ? বিস্তারিত দলিল চাই

২/জায়নামাজে কাবার ছবি থাকলে তাতে নামাজ পড়া কি জায়েজ ?

৩/কোনো ব্যক্তি যাকাত আদায় না করলে তার হালাল উপার্জন থেকে টাকা দিলে তা নেয়া কি জায়েজ হবে ?

৪/তাগুতকে বর্জন না করলে কি ইমান পূর্ণতা পায় ?

৫/এখন অনেক দেশে স্কলারশিপ দেয় এখন বাংলাদেশী শিক্ষার্থীদের পড়াশোনা করার জন্য তাদের দেশে । এখন কারো যদি সমর্থ্য না থাকে সে কি সেই স্কলারশিপ নিতে পারবে ?( এক্ষেত্রে টাকাটা অমুসলিম দেশের সরকার দিবে , তা হালাল না হারামভাবে প্রাপ্ত জানার উপায় নেই )

৬/কম্বাইন্ড ক্লাসে পাশের সারিতে বা সামনের সারিতে মেয়েরা বসলে অনেক সময় স্যারের দিকে তাকালে বা বোর্ডের দিকে তাকাতে গেলে পরোক্ষভাবে চোখের কোনায় মেয়েদেরও দেখা যায় । এটা কি অনিচ্ছাকৃত দৃস্টির পর্যায়ে পড়বে ? এরুপ পরিস্থিতিতে গোনাহ হবে কি ? বিস্তারিত জানতে চাই

৭/নামাজে যদি মনস্থির না থাকে , মানে তিলাওয়াত বাকি রকন ঠিক আছে কিন্তু দুনিয়াবি চিন্তায় মগ্ন থাকলে গুনাহ হবে কি ? আর সালাত কি হয়ে যাবে... যেহেতু বাকি রকন গুলো ঠি-ক আছে..

৮/ফুল পেটে খাবার খাওয়া কি জায়েজ ? দলিল চাই

৯/রাতে একটুও ইচ্ছাকৃত না ঘুমালে কি গুনাহ হবে ?

১০/হিন্দুদের মন্দির / খ্রিস্টান চার্চ কি ভ্রমণ করে দেখা যাবে ?(ইবাদতের নিয়তে না) শুধু অভিজ্ঞতা অর্জনের জন্য ! আল্লাহ তো তার পৃথিবী বিচরণ করে দেখতে বলেছেন

১১/দাওয়ার উদ্দেশ্যে কি গাইরে-মাহরামের দিকে তাকানো যাবে ?

১২/ইস্পাহানি মির্জাপুরের টি ব্যাগের চা খাওয়া যাবে কি?(হালাল সার্টিফিকেট লেখা নাই তো প্যাকেটে)

১৩/ নকল জিনিস ব্যবহার করা যাবে কিনা ? যেমন : টাইটান একটা ঘড়ির ব্যান্ড , তাদের ঘড়ির দাম অনেক বেশি ও ভালো মানের । অনেকেরই এই ঘড়ি কেনার সার্মথ্য থাকে না তাই বাজারে কম দামের টাইটান লেখা হুবহু ওই ঘড়ির মতো নকল ঘড়ি পাওয়া যায় ( নিম্ন মানের ) এসকল কিনে ব্যবহার করা কি জায়েজ হবে ?

1 Answer

0 votes
by (566,790 points)
edited by
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম।
জবাবঃ-


(১.৪))
আবূ হারূন আল-আবদী (রহঃ) থেকে বর্ণিত।
عَنْ أَبِي هَارُونَ الْعَبْدِيِّ، قَالَ كُنَّا إِذَا أَتَيْنَا أَبَا سَعِيدٍ الْخُدْرِيَّ قَالَ مَرْحَبًا بِوَصِيَّةِ رَسُولِ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ . إِنَّ رَسُولَ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ قَالَ لَنَا " إِنَّ النَّاسَ لَكُمْ تَبَعٌ وَإِنَّهُمْ سَيَأْتُونَكُمْ مِنْ أَقْطَارِ الأَرْضِ يَتَفَقَّهُونَ فِي الدِّينِ فَإِذَا جَاءُوكُمْ فَاسْتَوْصُوا بِهِمْ خَيْرًا "

 তিনি বলেন, আমরা আবূ সাঈদ আল খুদরী (রাঃ) -এর কাছে এলেই তিনি বলতেনঃ তোমাদের জন্য রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর ওসিয়ত অনুযায়ী স্বাগতম। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাদের বলতেনঃ লোকেরা অবশ্যই তোমাদের অনুগামী। অচিরেই পৃথিবীর দিকদিগন্ত থেকে লোকেরা তোমাদের নিকট দ্বীনি ইলম অর্জনের জন্য আসবে। তারা যখন তোমাদের নিকট আসবে,তখন তোমরা তাদেরকে ভালো ও উত্তম উপদেশ দিবে।(সুনানু তিরমিযি-২৪৯,তিরমিযী ২৬৫০-৫১, মুওয়াত্ত্বা মালিক ২৪৭।)

সু-প্রিয় পাঠকবর্গ ও প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
অতীব জরুরী ও সাধারণ মাস'আলা মাসাঈল আয়ত্বে না থাকার কারণে দৈনন্দিন জীবনে দ্বীন-ইসলাম পালন করতে, যে সমস্ত দ্বীনি ভাই-বোন থমকে দাড়ান,এবং যাদের দ্বীনি ইলম অর্জনের কাছাকাছি কোনো নির্ভরযোগ্য মাধ্যম নেই, মূলত তাদেরকে দিকনির্দেশনা দিতেই আমাদের এ ক্ষুদ্র প্রয়াস .....

মুহতারাম/মুহতারামাহ!
দ্বীনের পরিধি অনেক ব্যাপক, সকল বিষয়ে আলোচনা করা বা দিকনির্দেশনা দেওয়া স্বল্প পরিসরের এই ভার্চুয়ালি মাধ্যম দ্বারা আমাদের পক্ষে সম্ভব নাও হতে পারে। চেষ্টা করলেও প্রশ্নকারীর পিপাসা মিটানো সম্ভব হবে না। প্রত্যেক বিষয়ে আমরা শুধুমাত্র সামান্য আলোকপাত করে থাকি।

উপরোক্ত প্রশ্নটির ব্যাপারে উলামায় কেরামের মধ্যে মতবিরোধ রয়েছে। মতবিরোধপূর্ন প্রশ্নগুলো উত্তর দেওয়ার জন্য স্থান, কাল, পাত্র অনেক কিছুই জানার প্রয়োজন হয়। যেটা অনলাইনে জানা সম্ভব হয় না। 
তাই এই প্রশ্নগুলোর উত্তরের জন্য আপনার এলাকার সংশ্লিষ্ট উলামায় কেরামের সাথে সরাসরি যোগাযোগ করা আপনার জন্য কল্যাণকর হবে বলেই আমাদের ধারণা।

তাছাড়া ইলম অর্জনের জন্য সফর করা অত্যান্ত  জরুরী। এবং কষ্ট করে ইলম অর্জন করাই আমাদের  আকাবির আসলাফদের রীতি ও নীতি। এদিকেই কুরআনের এই আয়াত ইঙ্গিত দিচ্ছে,
 ۚفَلَوْلَا نَفَرَ مِن كُلِّ فِرْقَةٍ مِّنْهُمْ طَائِفَةٌ لِّيَتَفَقَّهُوا فِي الدِّينِ وَلِيُنذِرُوا قَوْمَهُمْ إِذَا رَجَعُوا إِلَيْهِمْ لَعَلَّهُمْ يَحْذَرُونَ

তাদের প্রত্যেক দলের একটি অংশ কেন বের হলো না, যাতে দ্বীনের জ্ঞান লাভ করে এবং সংবাদ দান করে স্ব-জাতিকে, যখন তারা তাদের কাছে প্রত্যাবর্তন করবে, যেন তারা বাঁচতে পারে।(সূরা তাওবাহ-১২২)

সুতরাং আপনাকে বলবো, আপনি বিস্তারিত জানতে স্ব-শরীরে কোনো দারুল ইফতায় যোগাযোগ করবেন।
প্রশ্ন করার জন্য আপনাকে অশেষ ধন্যবাদ।আল্লাহ তা'আলা আপনার ইলম অর্জনের স্পৃহাকে আরোও বাড়িয়ে দিক, আমীন!!

প্রত্যেকটা বিষয়ের সাথে নিম্নের হাদীসকে লক্ষ্য রাখবেন।
হাসান ইবনে আলী রাযি থেকে বর্ণিত রয়েছে।
ﻭﻋﻦ ﺍﻟﺤَﺴَﻦِ ﺑﻦ ﻋَﻠﻲٍّ ﺭﺿﻲَ ﺍﻟﻠَّﻪُ ﻋﻨﻬﻤﺎ ﻗَﺎﻝَ : ﺣَﻔِﻈْﺖُ ﻣِﻦْ ﺭَﺳُﻮﻝ ﺍﻟﻠَّﻪِ ﷺ : « ﺩَﻉْ ﻣَﺎ ﻳَﺮِﻳﺒُﻚَ ﺇِﻟﻰ ﻣَﺎ ﻻ ﻳﺮِﻳﺒُﻚ » ﺭﻭﺍﻩُ ﺍﻟﺘﺮﻣﺬﻱ ﻭﻗﺎﻝ : ﺣﺪﻳﺚٌ ﺣﺴﻦٌ ﺻﺤﻴﺢٌ 
তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ সাঃ কে বলতে শুনেছি।তিনি বলেন,সন্দেহ যুক্ত জিনিষকে পরিহার করে সন্দেহমুক্ত জিনিষকে গ্রহণ করো।(সুনানু তিরমিযি-২৪৪২)

(০২)
হ্যাঁ তাতে নামাজ পড়া যাবে।

(০৩)
হ্যাঁ জায়েজ হবে 

(০৫)
কারো যদি সমর্থ্য না থাকলে সে সেই স্কলারশিপ নিতে পারবে।

কেননা হারাম টাকা হলেও যে ব্যাক্তি সাহেবে নেসাব নন,তার সেই টাকা গ্রহন জায়েজ।

(০৬)
হ্যাঁ এটি অনিচ্ছাকৃত দৃস্টির পর্যায়ে পড়বে।
এরুপ পরিস্থিতিতে একবার হলে গোনাহ হবেনা।

তবে বারবার হলে গুনাহ হবে।

এরুপ পরিস্থিতিতে দৃষ্টি নত রাখতে হবে।

(০৭)
এতে সালাত শুদ্ধ হয়ে যাবে।
গুনাহ হবেনা।

তবে মনোযোগ ধরে রাখার চেষ্টা চালিয়ে যেতে হবে।

(০৮)
এ সংক্রান্ত বিস্তারিত জানুনঃ

(০৯)
না,গুনাহ হবেনা।

(১০)
মূর্তি,প্রতিমা নজরে পড়বে।
বিধায় এটির অনুমোদন নেই।

(১১)
না,জায়েজ নেই।
তবে  অনিচ্ছাকৃত ভাবে নজর গেলে সমস্যা হবেনা।
তবে ইচ্ছাকৃতভাবে নজর দেয়া যাবেনা।

(১২)
যেহেতু এতে হারামের মিশ্রণ আছে বলে কেউ দাবি করেনি,তাই এটি খাওয়া যাবে।

(১৩)
এগুলো ক্রয় করে ব্যবহার করা জায়েজ আছে। 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...