জবাব
بسم الله الرحمن الرحيم
পবিত্রতা (অযু/গোসল) ব্যতীত নামাজ কবুল হবে নাঃ
عَنْ اَبِى الْمَلِيْحِ عَنْ اَبِيْهِ قَالَ قَالَ رَسُوْلُ اللهِ صَلَّي اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّم: لَا يَقْبَلُ اللهُ صَلَاةً بِغَيْرِ طُهُوْرٍ وَلَا صَدَقَةً مِنْ غُلُوْلٍ
– অর্থঃ হযরত আবূ মালিহ তাঁর পিতা (উসামা রাযি.) থেকে বর্ণনা করেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন:- আল্লাহ্ তা’আলা পবিত্রতা ব্যতীত নামাজ কবুল করবেন না এবং অবৈধ সম্পদের সাদকাও কবুল করবেন না। (সুনানে নাসাঈ হাদীস নং-০৬)
অজুর ক্ষেত্রে অজুর অঙ্গগুলো এবং ফরজ গোসলের ক্ষেত্রে পুরো শরীর পরিপূর্ণভাবে পানি দ্বারা ভেজানো আবশ্যক।
যদি কোনো অংশ না ভিজে,তাহলে অযু,গোসল হবেনা।
হাদিসে বর্ণিত আছে- আবদুল্লাহ ইবনে আমর (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, কোনো এক সফরে আল্লাহর রাসুল (সা.) আমাদের পেছনে পড়ে গেলেন। পরে তিনি আমাদের কাছে পৌঁছলেন। এদিকে আমরা (আসরের) নামাজ আদায় করতে বিলম্ব করে ফেলেছিলাম। তাই (তা আদায় করার জন্য) আমরা অজু করা শুরু করলাম। এ সময় আমরা আমাদের পা কোনোমতে পানি দ্বারা ভিজিয়ে নিচ্ছিলাম। তখন তিনি উচ্চৈঃস্বরে বলেন, ‘সর্বনাশ! গোড়ালির নিম্নাংশগুলোর জন্য জাহান্নামের আগুন রয়েছে।’ তিনি দুই বা তিনবার এ কথা বললেন। (বুখারি, হাদিস : ৯৬, মুসলিম, হাদিস : ২৪১)
শরীয়তের বিধান হলো যদি হাতের ভিতর কোনো এমন জিনিস লেগে যায়,যেটা চামড়া পর্যন্ত পানি পৌছার ক্ষেত্রে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে,তার কারনে যদি আসলেই শরীরে পানি না পৌছে,এমনটি হয়ে থাকলে অযু, গোসল হবেনা, সেই অযু বা গোসল দিয়ে নামাজ আদায় করে থাকলে ঐ নামায গুলো আবার পড়ে নিতে হবে।
আরো জানুনঃ
★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
(০১)
যেহেতু আলতা ওয়াটার প্রুফ, যা অজুর অঙ্গ সমূহে পানি পৌছতে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে, তাই আলতা দেওয়া জায়েয হবে না।
(০২)
রং তাহা অন্য যেকোনো কালারের হোক,যদি তাহা অজুর অঙ্গ সমূহে পানি পৌছতে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে,সেটির ব্যবহার জায়েজ হবেনা।
(০৩)
পুরুষগন চুল ও দাঁড়িতে ব্যবহার করতে পারবে। চিকিৎসার প্রয়োজনে যেকোনো স্থানে মেহেদী ব্যবহার করা জায়েজ আছে।
★তবে সাজ-সজ্জার উদ্যেশ্যে পুরুষরা হাতে-পায়ে মেহেদী লাগাতে পারবে না।
কারণ এটা এক ধরনের রঙ। আর পুরুষদের জন্য রঙ ব্যবহার করা নিষিদ্ধ।
হাদিস শরিফে এসেছে, আবূ হুরাইরাহ রাযি. হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেছেন,
إنَّ طيبَ الرِّجالِ ما ظَهرَ ريحُهُ وخفِيَ لونُهُ وطيبَ النِّساءِ ما ظَهرَ لونُهُ وخفيَ ريحُهُ
পুরুষের সুগন্ধি এমন হবে যার সুগন্ধ প্রকাশ পায় কিন্তু রঙ গোপন থাকে এবং নারীর সুগন্ধি এমন হবে যার রঙ প্রকাশ পায় কিন্তু সুগন্ধ গোপন থাকে। ( তিরমিযী ২৭৮৭)
(০৪)
ছেলেদের জন্য একমুষ্টি পরিমান দাড়ি রাখা চার মাযহাব মতে ওয়াজিব।
হযরত ইবনে উমর রাঃ থেকে বর্ণিত,
ﻋﻦ ﻋﺒﺪ ﺍﻟﻠﻪ ﺑﻦ ﻋﻤﺮ - ﺭﺿﻲ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻨﻬﻤﺎ – ﻗﺎﻝ : ﻗﺎﻝ ﺭﺳﻮﻝ ﺍﻟﻠﻪ ﺻَﻠَّﻰ ﺍﻟﻠَّﻪُ ﻋَﻠَﻴْﻪِ ﻭَﺳَﻠَّﻢَ : " ﺃﻧﻬﻜﻮﺍ ﺍﻟﺸﻮﺍﺭﺏ ﻭﺃﻋﻔﻮﺍ ﺍﻟﻠﺤﻰ "
তরজমাঃ- নবী কারীম সাঃ বলেন,তোমরা গোঁফকে ছাটাই করো ,এবং দাড়িকে বাড়ার জন্য ছেড়ে দাও।
(সহীহ বুখারী-৫৪৪৩,সহীহ মুসলিম-৬০০)
আরো জানুনঃ