আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
207 views
in হালাল ও হারাম (Halal & Haram) by (19 points)
১/আমার চাচা পূর্বে ব্যাংকের চেয়ারম্যান ছিলেন। বর্তমানে নেই। আবার আমার চাচিকে বলতে শুনেছি তিনি তাদের ব্যাংকে জমানো টাকার সুদ গ্রহণ করেন না তা মানুষকে দান করে দেন। আমার চাচাতো ভাইদের ফ্যাক্টরি আছে।এমন অবস্থায় তারা যদি আমাকে কোনো হাদিয়া বা অর্থ  দেয় তা কি আমার জন্য গ্রহণ জায়েজ হবে?
২/অনেক সময় তারা বেশ দামি দামি উপহার দেয় যা কাকে দিয়ে দেব বুঝতে পারি না, আবার কাউকে দিলেও একটা সম্ভাবনা থেকে যায় যে তারা জেনে যাবে আর জানলে মনঃক্ষুণ্ন হতে পারে। এমন পরিস্থিতিতে কি করা উচিৎ, আমি কি শুধুমাত্র তাদের সামনে ব্যবহারের নিয়তে ওই জিনিসটা রাখতে পারি?

৩/আরেকটা প্রশ্ন হলো কেউ যদি হারাম উৎস বা সন্দেহজনক উৎস থেকে হাদিয়া দেয় তাহলে আমি কি সেই হাদিয়ার সমমূল্য বা তার বেশি অর্থ কোনো মানুষকে দান করে তা ব্যবহার করতে পারবো?

৪/সুদ বা হারাম উপার্জনের অর্থ বা অন্য কোনো কিছু যাকে দান করবো তাকে কি বলে দিতে হবে যে এটা সুদের টাকা বা হারাম উৎস থেকে আসা নাকি শুধু সওয়াবের নিয়ত না করলেই যথেষ্ট হবে?

1 Answer

0 votes
by (595,410 points)
edited by

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহাম।
জবাবঃ-
https://www.ifatwa.info/1900 নং ফাতাওয়ায় আমরা বলেছি যে,
অবৈধ ও হারাম সম্পত্তির মালিকের নিকট থেকে হাদিয়া গ্রহণ সম্পর্কে কিছুটা ব্যাখ্যা রয়েছে।
(১)লোকটির সম্পূর্ণ সম্পত্তিই হারাম।এবং সে তার ঐ সম্পত্তি থেকেই কাউকে হাদিয়া দিতে চাচ্ছে।
(২)লোকটির সম্পত্তিতে হালাল-হারামের সংমিশ্রণ রয়েছে।কোন গুলো হারাম আর কোনো গুলো হালাল,তার পরিচয় লাভের কোনো সুযোগ নেই।
তবে হারামের অাধিক্যর সম্ভাবনাই বেশী।উক্ত ব্যক্তিটি তার ঐ মিশ্রিত সম্পদ থেকে হাদিয়া দিতে চাচ্ছে।
(৩)দ্বিতীয় প্রকারের উল্টো তথা-লোকটির সম্পত্তিতে হালাল-হারামের সংমিশ্রণ রয়েছে।কোন গুলো হারাম আর কোনো গুলো হালাল,তার পরিচয় লাভের কোনো সুযোগ নেই।
তবে হালালের অাধিক্যর সম্ভাবনাই বেশী।উক্ত ব্যক্তিটি তার ঐ মিশ্রিত সম্পদ থেকে হাদিয়া দিতে চাচ্ছে।
(৪)হারাম সম্পত্তির মালিক তার হারাম টাকা থেকে হাদিয়া দিচ্ছে না।বরং কারো থেকে হালাল টাকা ধার করে বা কারো কাছ থেকে অর্থ নিয়ে হাদিয়্যা দিচ্ছে।(শেষ)

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন!
(১)
১ম নং এবং ২য়নং সূরতে উক্ত ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান থেকে হাদিয়া গ্রহণ জায়েজ হবে না। আর ৩য় সুরতে জায়েয হলেও, গ্রহণ না করাই উত্তম।
এবং ৪র্থ সুরতে হাদিয়া গ্রহণ জায়েজ।

(২)
জ্বী, রাখতে পারেন। এবং সেই পরিমাণ টাকা সদকাহ করে দিবেন। অথবা দূরের কাউকে দিয়ে দিতে পারেন।

(৩)
জ্বী, পারবেন।

(৪)
যাকে হারাম অর্থ দেয়া হবে, তাকে বলে দিতে হবে না।বরং কোনো এক ভাবে দিলেই হবে। মূল উদ্দেশ্য হল, গরীব মিসকিনের নিকট পৌছা।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (595,410 points)
সংযোজন ও সংশোধন করা হয়েছে।

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...