আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
316 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (38 points)
খুব জরুরি।
আসসালামু 'আলাইকুম।
১)যাদের গীবত করা হয়েছে,যদি ক্ষমা চাইতে যাওয়া হয় তা ব্যক্ত করে যে গীবত করেছি আপনার,তবে সম্পর্ক নষ্ট হতে পারে।যেহেতু,গীবত যার নামে করা হয়েছে,তিনি ক্ষমা না করলে মাফ হয়না।এখন কী করণীয়??

২)যদি কোনো মুসলিম বোন তার শাশুড়ির নামে গীবত করে,তবে সেই গীবত থেকে মাফ কীভাবে পাওয়া যাবে?সে অনুতপ্ত। কিন্তু,যদি শাশুড়ির কাছে এটা ব্যক্ত করে মাফ চাওয়া হয়,সম্পর্কে সমস্যা হতে পারে অনেক।এখন কী তাকে বলা উচিত,বলে মাফ চাওয়া দরকার?
৩)গীবতের গুনাহ শবে কদরেও নাকি ক্ষমা হয়না।আর গীবতকারীর কদরের ইবাদাত কবুল হয়না?
by
গীবত হয়েগেছে এটা বুঝতে পেরে সেই ব্যাক্তির নিকট যদি ক্ষমা চাওয়ার পরও কেউ মাফ না করে মন থেকে তাহলেও আমি গোনাহগার থাকবো?

1 Answer

0 votes
by (588,600 points)

ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
গীবত করলে বান্দার হক্ব নষ্ট হয়।আর কেউ বান্দার হক্ব নষ্ট করলে আল্লাহ তা'আলা ততক্ষণ পর্যন্ত ক্ষমা করবেন না যতক্ষণ না  উক্ত বান্দা ক্ষমা করে দিচ্ছে।
কিন্তু যদি হক্ব নষ্ট কারী  ঐ বান্দা পরবর্তীতে খালিছ নিয়তে তাওবাহ করে ফেলে।এবং আল্লাহর দয়া হয়ে যায়।তাহলে আল্লাহ তা'আলা সে বান্দা কে খুশী করে দিবেন যার হক্ব দুনিয়াতে নষ্ট হয়েছিলো।
এবং আল্লাহ তা'আলা উক্ত বান্দাকে সেই হক্ব নষ্টের গোনাহ থেকে ক্ষমা করে দিবেন।তখন আর সেই বান্দা আল্লাহ কাছে বিচার দায়ের করবে না।

এখন কথা হলো খালিছ নিয়তে বিশুদ্ধ তাওবাহ করার পদ্ধতি বা সূরত কি?

তাওবাহ কবুল হওয়ার শর্ত হলো,আল্লাহর হক্ব সম্ভলিত বিষয় হলে আল্লাহর নিকট অনুনয় বিনয় করে আহাজারি করা, মিনতি করা।
আর বান্দার হক্ব হলে, সেই হক্ব কে আদায় করে দেয়া বা তার কাছ থেকে ক্ষমা চেয়ে নেয়া।সেজন্য এর পিছনে সাধ্যমত আপ্রাণ চেষ্টা করা।যদি নিজ সাধ্যমত আপ্রাণ চেষ্টা করার পরও উক্ত বান্দার হক্বকে আদায় করা সম্ভব না হয়,বা ক্ষমা না পাওয়া যায়,তাবে আল্লাহর নিকট নিজ সেই চেষ্টার কথা তুলে ধরে সমাধান চাওয়া।এবং ভবিষ্যতে কোনো বান্দার হক্ব নষ্ট না করার দৃঢ় প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হওয়া।
নিয়ত বিশুদ্ধ থাকলে অবশ্যই আল্লাহ তাওবাহকে কবুল করে নেবেন এবং উক্ত গোনাহ থেকে ক্ষমা করে দিবেন।

গীবতের মাধ্যমে কারো হক্ব নষ্ট করলে এভাবেও তার নিকটে গিয়ে ক্ষমা চাইতে পারেন যে,
শরয়ী দিবস যেমন ঈদ, আশুরা,ইত্যাদিতে তার নিকট গিয়ে বলা।

ভাই/বোন!
আমরা এক সাথে চলাফেরা করেছি।ইসলাম সম্পর্কে পুরোপুরি জ্ঞান না থাকায় আমাদের চলাফেরায় একজন অন্যজনের কত হক্বই না নষ্ট করেছি।আপনি না করলেও আমি অবশ্যই করেছি।দয়া করে আজকের এই পবিত্র দিনে আমাকে যাবতীয় হক্ব নষ্ট করার গোনাহ থেকে ক্ষমা করে দিন।

এভাবে ক্ষমা করিয়ে নিবেন।হ্যা ভবিষ্যতে আর এরকম কাজ কখনো করবেন না।তবেই আল্লাহ ক্ষমা করে দিবেন। এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন-https://www.ifatwa.info/641

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন!
(১)যাদের গীবত করা হয়েছে,যদি ক্ষমা চাইতে যাওয়া হয় তা ব্যক্ত করে যে গীবত করেছি আপনার,তবে সম্পর্ক নষ্ট হতে পারে। তাই সরাসরি গীবতের কথা না বলে বরং শুধু ক্ষমা চাইতে হবে।

(২)যদি কোনো মুসলিম বোন তার শাশুড়ির নামে গীবত করে, তাহলেও সরাসরি না বলে, শুধুই ক্ষমা চাইবে।

(৩)গীবতের গুনাহ শবে কদরেও নাকি ক্ষমা হয়না। তবে গীবতকারীর কদরের ইবাদত যে কবুল হবে না, সেটা নিশ্চিত কোনো বিষয় নয়। আল্লাহর ইচ্ছা হলে কবুল করবেন,নতুবা করবেন না।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...