আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
80 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (32 points)

১/ একজন মন খারাপ করে বলেছিলো যে, "একজনকে আমি  হোমিও পড়াশোনা নিয়ে জিজ্ঞেস করেছিলাম মেসেজে কিন্তু কোনো রিপ্লাই দিল না" এটা কি গীবত হবে? 

যার নামে বলা হয়েছে তার নাম জানি কিন্তু তাকে দেখিনি।

২/ হাইকমোডওয়ালা বাথরুমে কমোডাটার ঢাকনা লাগিয়ে সেই বাথরূম যদি তারপর যিকির করি এতে গুনাহ হবে?

৩/ যদি কেউ অনুপস্থিতিতে বলে, যে বেডি তো হুশে কাজ করে না। এটা গীবত হবে।খাদেমাপু একটা জিনিস আমাদের নষ্ট করে ফেলাতে এটা বলছিলো

1 Answer

0 votes
by (675,600 points)
edited by
জবাবঃ- 
بسم الله الرحمن الرحيم


(০১)
প্রশ্নের বিবরন মতে তাহা গীবত হবেনা।

(০২)
ওজু খানা এবং বাথরুম পৃথক পৃথক হওয়া অধিক উত্তম।কেননা হাদীস শরীফে এসেছে.....

হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে মুগাফ্ফাল রাঃ থেকে বর্ণিত, তিনি বলেনঃ নবীজী সাঃ বলিয়াছেন,
ﻻ ﻳﺒﻮﻟﻦ ﺃﺣﺪﻛﻢ ﻓﻲ ﻣﺴﺘﺤﻤﻪ ﺛﻢ ﻳﻐﺘﺴﻞ ﻓﻴﻪ ﻗﺎﻝ ﺃﺣﻤﺪ ﺛﻢ ﻳﺘﻮﺿﺄ ﻓﻴﻪ ﻓﺈﻥ ﻋﺎﻣﺔ ﺍﻟﻮﺳﻮﺍﺱ ﻣﻨﻪ
তোমরা কেউ বাথরুমে প্রস্রাব করিও না,কেননা কিছুক্ষণ পর সে তথায় ওজু/গোসল করবে,এবং প্রস্রাব করার ধরুণ নাপাকির ওয়াসওয়াসা সেখান থেকেই তার অন্তরে সৃষ্টি হবে।(আবু-দাউদ;২৭)

কেউ বাথরুমে ওজু করলে ওজুর দু'আ পড়তে হবে কি?এমন প্রশ্নের জবাবে আল্লামা ইবনে আবেদীন শামী রাহ বলেনঃ 

ﻭَﻟَﻮْ ﺗَﻮَﺿَّﺄَ ﻓِﻲ اﻟْﺨَﻼَءِ ﻟِﻌُﺬْﺭٍ ﻫَﻞْ ﻳَﺄْﺗِﻲ ﺑِﺎﻟْﺒَﺴْﻤَﻠَﺔِ ﻭَﻧَﺤْﻮِﻫَﺎ ﻣِﻦْ ﺃَﺩْﻋِﻴَﺘِﻪِ ﻣُﺮَاﻋَﺎﺓً ﻟِﺴُﻨَّﺔِ اﻟْﻮُﺿُﻮءِ ﺃَﻭْ ﻳَﺘْﺮُﻛُﻬَﺎ ﻣُﺮَاﻋَﺎﺓً ﻟِﻠْﻤَﺤَﻞِّ؟ ﻭَاَﻟَّﺬِﻱ ﻳَﻈْﻬَﺮُ اﻟﺜَّﺎﻧِﻲ ﻟِﺘَﺼْﺮِﻳﺤِﻬِﻢْ ﺑِﺘَﻘْﺪِﻳﻢِ اﻟﻨَّﻬْﻲِ ﻋَﻠَﻰ اﻷَْﻣْﺮِ ﺗَﺄَﻣَّﻞْ.

যদি কেউ বাইতুল খালা বা বাথরুমে ওজু করে,তাহলে কি সে ওজুর মাসনুন দু'আ পড়বে? না ছেড়ে দিবে?আমার কাছে না পড়াই অগ্রগণ্য।(রদ্দুল মুহতার-১/৩৪৪)
,
আরো জানুনঃ

★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন, 
প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে ঢাকনা লাগিয়ে দিলেও সেটিকে তো ওয়াশরুমই বলে।
বাথরুমই বলে।
 
তাই প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে যিকির করা যাবেনা। গুনাহ হবে।

হ্যাঁ মনে মনে যিকির করতে পারবেন,এতে কোনো সমস্যা নেই।

(০৩)
এটি গীবত হবে। 

তবে এমন কাউকে বলা,যে বিষয়টি সংশোধন করতে পারবে,সেক্ষেত্রে গীবত হবেনা।

ছয়টি কারণে গীবত করা জায়েজ আছে। 

 الأول: التظلم. يجوز للمظلوم أن يتظلم إلى السلطان والقاضي وغيرهما ممن له ولاية أو له قدرة على إنصافه من ظالمه، فيذكر أن فلانا ظلمني وفعل بي كذا وأخذ لي كذا ونحو ذلك. 

(এক) জালিমের জুলুম থেকে বাঁচতে বিচারকের নিকট জালিমের বিরুদ্ধে নালিশ/গিবত করা বৈধ।যেমন মজলুম ব্যক্তি বিচারকের নিকট গিয়ে বলল,অমুক ব্যক্তি আমার উপর জুলুম-নির্যাতন করেছে।এবং আমার সাথে সে এমন এমন ব্যবহার করেছে।আমার অমুক অমুক জিনিষ সে ছিনিয়ে নিয়ে গেছে।

 الثاني: الاستعانة على تغيير المنكر ورد العاصي إلى الصواب. وبيانه أن يقول لمن يرجو قدرته على إزالة المنكر: فلان يعمل كذا فازجره عنه ونحو ذلك، ويكون مقصوده إزالة المنكر، فإن لم يقصد ذلك كان حراما. 

(দুই) মন্দকে পরিবর্তন করতে এবং গোনাহগারকে নেকির দিকে ফিরিয়ে নিয়ে আসতে কারো গীবত করা।যেমন এমন কারো কাছে গিয়ে গিবত করা,যে ব্যক্তি ঐ মন্দকাজ সম্পাদনকারীকে ধমক দিতে পারে, ইত্যাদি ইত্যাদি।শর্ত এই যে, মন্দকে বিদূরিত করার উদ্দেশ্যই থাকতে হবে।উদ্দেশ্য যদি অন্য কিছু হয় তখন কিন্তু গীবত করা জায়েয হবে না বরং হারাম হবে।

বিস্তারিত জানুনঃ   


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by
মুফতি সাহেব একটি জবাব দিয়ে দিলে বড় উপকার হয়,
আমার স্ত্রীকে একজন ফেসবুকে কমেন্টে বলে, "তোমার ফেসবুক নিউজফিডে ভুমিকম্পের নিউজ এসেছে তুমি অবেক ভাগ্যবান,এটা দেখে আমার বউ রিপ্লে করে , "এটার সাথে ভাগ্যের কি সম্পর্ক ভাই!"
তারপর আমি তাকে বলি এটা এডিট করে"এটার সাথে ভাগ্যবতীর কি সম্পর্ক ভাই!"এভাবে লিখে দাও, কারণ আমাদের সব কিছুই তো ভাগ্যের সাথে সম্পর্ক। তখন সে বলে এটাই থাক, পরে তাকে বলি এটা থাকবে কেন, সে আর জবাব দেয় নাই আমিও আর জিগ্যেস করিনাই, তার এই রুপ কথায় কি কুফর হবে?
(উল্লেখ্য,তাকে এর আগে জিগ্যেস করেছিলাম,  "মনে হয় বুঝাইতে চাইছো সে যে বলেছে ভাগ্যবতী, মানে এর মাঝে ভালো ভাগ্যের কি প্রমান বা মিল, এমন তো কিছু  নাই। এটা বুঝাইতে চাইছো,  তখন সে জবাব শুধু বলেছিলো " হ্যা" )
by (675,600 points)
এরুপ কথায় কুফর হবেনা।

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...