ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
https://www.ifatwa.info/1073 নং ফাতাওয়ায় বলেছি যে,
এই অপ্রকাশ্য আ'মলগুলোর শিক্ষা গ্রহণ এবং প্রকাশ্য আ'মলগুলোকে ব্যবহারিক ভাবে নিজের জীবনের সাথে ঘনিষ্টকরণের জন্য যে শিক্ষার প্রয়োজন পড়ে সেটার নামই হল তাসাউফ বা আত্ম-সংশোধন।
এই তাসাউফ বা আত্ম-সংশোধনের জন্য একজন মুসলিহ বা আত্মসংশোধনকারীর প্রয়োজন পড়ে।যার সাথে সার্বক্ষণিক ভাবে উৎপেতে থেকে শিক্ষা অর্জন করতে হয়।কেননা সার্বক্ষণিক সাথে না থাকলে ব্যবহারিক জ্ঞান অর্জন করা সম্ভব হয় না।
মোটকথাঃ
শিক্ষাগ্রহণ-ই তাসাউফ বা সুফীবাদের মূল হাকিকত।মুরিদ করা বা হওয়া মূল উদ্দেশ্য নয়,বরং সংশোধন করা বা হওয়াই মূল উদ্দেশ্য।মুরিদ হওয়াকে প্রাতিষ্টানিক ভর্তির সাথে তুলনা করা যেতে পারে।কেউ প্রাতিষ্টানিক ভর্তির মাধ্যমে জ্ঞানার্জন করে।আবার কেউবা প্রাতিষ্ঠানিক ভর্তি ছাড়াই জ্ঞানার্জন করতে সক্ষম হয়।বিস্তারিত জানতে দেখুন-(আহসানুল ফাতাওয়া-১/৫৪৬)
তাসাউফ বা সুফীবাদের সাথে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিবর্গ তথা বুজুর্গানে কেরামগণ সাধারণত কুরআন-হাদীসের আলোকেই লোকদেরকে শিক্ষা প্রদান করে গেছেন।তবে এর মধ্যেও কারো কাছ থেকে কিছু অতিরঞ্জন শোনা যায়।
সেজন্য এটাই বলা যায় যে,কুরআন-হাদীসের সাথে সাংঘর্ষিক কোনো মতবাদ বা পদ্ধতি গ্রহণযোগ্য হবে না।আল্লাহ-ই ভালো জানেন।(শেষ)
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন!
আপনি যেই সমস্যার কথা বললেন, সেই সমস্যার সহজ সমাধান হল, আপনি কোনো প্রকার প্রশ্ন না করে, বরং তার সব কথা মেনে চলুন। সাথে সাথে দ্বীনদার কোনো সাথীর সাথে বেশ সময় উটাবসা করুন।