আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
147 views
in যাকাত ও সদকাহ (Zakat and Charity) by (3 points)
আসসালামু আলাইকুম,
১)কিছুদিন আগে আমি আমার এক আত্নীয় থেকে সোনার গহনা উপহার হিসেবে পাই,উনি গ্রামীনব্যাংকে চাকরি করেন।আমি তাকে গহনা ফেরত দিতে পারছি না,তাই উক্ত গহনা নিজের কাছে সদকাহ এর নিয়তে রেখেছি (যেহেতু গহনা ব্যাংকের হারাম টাকায় কেনা)যা এখনই দান করা সম্ভব হচ্ছে না।এখন ওই গহনার উপর কি আমার জন্য যাকাত ফরজ যদি তা অন্য সম্পদের সাথে মিলে নিসাব পরিমান হয়?
২)যাকাতের ক্ষেত্রে রূপার নিসাব আর সোনার নিসাব এর মধ্যে অনেক ব্যবধান।যদি কারো কাছে টাকা ও সোনা মিলিয়ে ৫০/৬০ হাজার সমমূল্য সম্পদ থাকে তার নিসাব রূপার নিসাব অতিক্রম করে এবং তার উপর যাকাত ফরজ ,কিন্তু যার কাছে শুধু ৬ভরি সোনা আছে(যার মূল্য ৩.৫/৪ লাখ টাকা)  কিন্তু কোন নগদ টাকা নাই,তার সোনার নিসাব পূর্ণ না হওয়ায় তার উপর যাকাত ফরজ নয়।এই অসামঞ্জস্য একটু বুঝিয়ে বলবেন অনুগ্রহ করে।শুধু বোঝার উদ্দেশ্যই প্রশ্নটি করা।

৩)ওই আত্নীয়(১নং প্রশ্নের) থেকে জামা কাপড় নিলে (যা হারাম টাকায় কেনা,যেহেতু উনি ব্যাংকে চাকরি করেন)এবং তা পরিধান করে নামাজ পড়লে কি নামাজ কবুল না  হওয়ার সম্ভাবনা আছে?

1 Answer

0 votes
by (590,550 points)
edited by

ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
(১)
https://www.ifatwa.info/1900 নং ফাতাওয়ায় বলেছি যে,
হারাম টাকার বিধান হল, তা প্রাথমিকভাবে মূল মালিকের কাছে ফেরত দেয়া।নতুবা সওয়াবের নিয়ত ছাড়া গরীবদের মাঝে সদকা করে দেয়া।
من ملك بملك خبيث ولم يمكنه الرد الى المالك فسبيله التصدق على الفقراء
যদি কারো নিকট কোনো হারাম মাল থাকে,তাহলে সে ঐ মালকে তার মালিকের নিকট ফিরিয়ে দেবে।যদি ফিরিয়ে দেয়া সম্ভব না হয়,তাহলে গরীবদেরকে সদকাহ করে দেবে।(মা'রিফুস-সুনান১/৩৪)

সুপ্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন!
হারাম টাকা মিলিক কেউ হয়না।বরং হারাম টাকাকে তাৎক্ষণাৎ সদকাহ করা ওয়াজিব।সুতরাং হারাম মালে সদকাহ ওয়াজিব হবে না।

(২)
এটাই কিতাবে বর্ণিত রয়েছে। এই অসামঞ্জস্যতা মূলত এজন্যই হয়েছে যে, পূর্বযুগে ৫২.৫ ভড়ি রোপার মূল্য আর ৭.৫ ভড়ির সোনার মূল্য প্রায় সমান সমান ছিলো। বর্তমান সময়ের মত আকাশ পাতাল ব্যবধান ছিল না।

(৩)
হারাম কাপড় পরিধান করাও নাজায়েয ও হারাম।তবে এই কাপড় পরিধান করে নামায পড়লে সেই নামায মাকবুল হবে না, এমনটা বলা যাবে না।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (590,550 points)
সংযোজন ও সংশোধন করা হয়েছে।

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...