ওয়া আলাইকুমুস সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি
ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ
হাদীস শরীফে এসেছে-
عَنْ سَلَمَةَ بْنِ
الأَكْوَعِ ـ رضى الله عنه ـ أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم بَعَثَ رَجُلاً
يُنَادِي فِي النَّاسِ، يَوْمَ عَاشُورَاءَ " أَنْ مَنْ أَكَلَ فَلْيُتِمَّ
أَوْ فَلْيَصُمْ، وَمَنْ لَمْ يَأْكُلْ فَلاَ يَأْكُلْ ".
সালমা ইবনু আকওয়া (রাঃ) থেকে বর্ণিত যে, ‘আশূরা (আশুরা/আসুরা/আসূরা)র দিন নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এক
ব্যক্তিকে এ বলে লোকদের মধ্যে ঘোষণা দেওয়ার জন্য পাঠালেন, যে ব্যক্তি খেয়ে ফেলেছে সে যেন পূর্ণ করে নেয়
অথবা বলেছেন, সে যেন সাওম
(রোযা/রোজা/সিয়াম/ছিয়াম) আদায় করে নেয় আর যে এখনো খায়নি সে যেন আর না খায়। সহীহ
বুখারী, ১৮০২
,
এই হাদীস দ্বারা বুঝে আসে যে,
যাদের রোজা রাখার নিয়তই ছিলো না বরং সারা দিন স্বাভাবিক ভাবে খাওয়ার নিয়ত
করেছিল বা ছিলো। কিন্তু যেহেতু এখনো খায়নি তাই ঐ দিন রোজা রেখে দেওয়ার জন্য
রাসূল সা. নির্দেশ
প্রদান করেন। সুতরাং এর দ্বারা বুঝে আসে যে, কোনো কিছু
খাওয়া বা পান করার দ্বারাই রোজা ভঙ্গ হয়,
খাওয়া বা পান করার নিয়ত করার দ্বারা নয়।
,
অন্য এক হাদীসে আছে-
إنما الإفطار مما دخل، وليس مما خرج
কিছু প্রবেশ করলে সওম ছেড়ে দিতে হবে, কিছু বের হলে ছাড়তে হবে না। মাজমাউয যাওয়াঈদ, ৩/১৭০
,
এই হাদীসে রোজা ভঙ্গের কারণ রোজা ভঙ্গের গ্রহণযোগ্য রাস্তায়
কোনো কিছু প্রবেশ করার কথা বলা হয়েছে।
রোজায় কখন থেকে নিয়ত করতে হবে বিস্তারিত জানুন- https://ifatwa.info/22627/