জবাব
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته
بسم الله الرحمن الرحيم
হাদিস শরিফে এসেছে,
عَنْ عَائِشَةَ أُمِّ الْمُؤْمِنِينَ، أَنَّهَا قَالَتْ أُتِيَ رَسُولُ اللَّهِ ﷺ بِصَبِيٍّ، فَبَالَ عَلَى ثَوْبِهِ، فَدَعَا بِمَاءٍ فَأَتْبَعَهُ إِيَّاهُ
উম্মুল মু’মিনীন আয়শা রাযি. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূল ﷺ-এর কাছে একটি শিশুকে আনা হল। শিশুটি তাঁর কাপড়ে পেশাব করে দিল। তিনি পানি আনালেন এবং এর ওপর ঢেলে দিলেন। (সহীহ বুখারী ২২২)
অপর হাদিসে এসেছে,
عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ ـ رضى الله عنهما ـ عَنِ النَّبِيِّ ﷺ أَنَّهُ مَرَّ بِقَبْرَيْنِ يُعَذَّبَانِ فَقَالَ ” إِنَّهُمَا لَيُعَذَّبَانِ وَمَا يُعَذَّبَانِ فِي كَبِيرٍ أَمَّا أَحَدُهُمَا فَكَانَ لاَ يَسْتَتِرُ مِنَ الْبَوْلِ
ইবনু আব্বাস রাযি. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, নবী ﷺ এমন দু’টি কবরের পাশ দিয়ে যাচ্ছিলেন যে কবর দু’টির বাসিন্দাদের আযাব দেওয়া হচ্ছিল। তখন তিনি বললেন, এদের দু’জনকে আযাব দেওয়া হচ্ছে অথচ তাদের এমন গুনাহর জন্য আযাব দেওয়া হচ্ছে না যা থেকে বিরত থাকা দুঃরূহ ছিল। তাদের একজন পেশাবের ব্যাপারে সতর্কতা অবলম্বন করত না আর অপরজন চোগলখুরী করে বেড়াত। (সহীহ বুখারী ১২৭২)
★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
উক্ত শিশুর পেশান নাপাক।
যেখান যেখানে সেই পেশাব করবে,বা যেখানে সেই পেশাব যাবে,সব স্থান নাপাক হবে।
পেশাব লেগে থাকা পায়ে কোনো পাপোশ ইত্যাদিতে সে গেলে পেশাব ভেজা থাকলে (পেশাব শুকিয়ে না গেলে) উক্ত পাপোশ ও নাপাক হয়ে যাবে।
সেক্ষেত্রে সেই পাপোশ ভেজা থাকলে তার উপর পা দিলে পা নাপাক হয়ে যাবে।
তবে সেই পাপোশ শুকয়ে গেলে তার উপর শুকনো পা দিলে কোনো সমস্যা হবেনা।
,
★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
প্রশ্নে উল্লেখিত শিশুর পেশাব লেগে থাকা সব স্থান নাপাক।
এখন আপনি যখন তার উপর দিয়ে চলেছেন,সেই সময় সেই স্থান গুলো শুকিয়ে গিয়ে থাকলে এবং আপনার পা শুকনো থাকলে এতে আপনার শরীর নাপাক হবেনা।
এই শরীরে নামাজ শুদ্ধ হবে।
কিন্তু সেই সময় সেই পেশাব লাগা স্থান ভেজা থাকলে বা আপনার পা ভেজা থাকলে এতে আপনার পা নাপাক হয়ে যাবে।
,
আপনার পা ধুয়ে পাক করতে হবে, পাক না করে নামাজ আদায় করলে নামাজ শুদ্ধ হবেনা।