আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
156 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (2 points)
আসসালামু আলাইকুম

আমার স্বামী সৎভাবেই জীবনযাপন করে আলহামদুলিল্লাহ। কিন্তু একেবারে পরিপূর্ণ ইসলাম পালন করেনা,যেমন ফেসবুকে ফানি ভিডিও দেখে,ইসলামিক শাসনএর তুর্কি সিরিজগুলা দেখে।এছাড়া দাড়ি ক্লিন শেভ না করলেও এক মুষ্ঠি পরিমান রাখেনা,টাখনুর উপর পোশাক পরেনা।অর্থাৎ নামাজ কালাম পড়ে,রোজা রাখে,সৎভাবে রোজগার করে।আর কোন বদ নেশাও নেই।

কিন্তু আমি চাই আমরা একদম পরিপূর্ণ ইসলামিক চলাফেরা করবো।তাই আমার স্বামীকে এসবের জন্য নিষেধ করলে ও সৎকাজের আদেশ দিলে আমাদের মধ্যে তর্কাতর্কি হতে হতে এক পর্যায়ে ঝগড়া বেধে যায়।আমি অনেক সময় অনেক ভাবে বুঝিয়েও কাজ হয়না,সে বলে আমি তো ভালোভাবেই চলি,অর্থাৎ নিজের গুনাহ গুলোকে গুনাহ ভাবতে চায়না।এখন এমন অবস্থা হয়ে গেছে যে আমি তাকে এসবের আদেশ ও নিষেধ করলেই ঝগড়া বেধে যায়,তাই আমি চুপ করে থাকি।কিন্তু আমার খুব ঘৃণা হয় তার উপর।এভাবে ভালোবাসা টা কমে যাচ্ছে।একইসাথে তাকে এসবের কারনে নিষেধ করতে না পারা ও অন্যদিকে তাকে মন থেকে ভালোবাসা আমার জন্য কষ্টকর লাগে।

এখন আমি কি করবো?আমার কি করা উচিত?

1 Answer

0 votes
by (573,240 points)
edited by
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম।
জবাবঃ-


আল্লাহ তায়ালা বলেন-

كُنتُمْ خَيْرَ أُمَّةٍ أُخْرِجَتْ لِلنَّاسِ تَأْمُرُونَ بِالْمَعْرُوفِ وَتَنْهَوْنَ عَنِ الْمُنكَرِ وَتُؤْمِنُونَ بِاللَّهِ ۗ وَلَوْ آمَنَ أَهْلُ الْكِتَابِ لَكَانَ خَيْرًا لَّهُم ۚ مِّنْهُمُ الْمُؤْمِنُونَ وَأَكْثَرُهُمُ الْفَاسِقُونَ

তোমরাই হলে সর্বোত্তম উম্মতমানবজাতির কল্যানের জন্যেই তোমাদের উদ্ভব ঘটানো হয়েছে। তোমরা সৎকাজের নির্দেশ দান করবে ও অন্যায় কাজে বাধা দেবে এবং আল্লাহর প্রতি ঈমান আনবে। আর আহলে-কিতাবরা যদি ঈমান আনতোতাহলে তা তাদের জন্য মঙ্গলকর হতো। তাদের মধ্যে কিছু তো রয়েছে ঈমানদার আর অধিকাংশই হলো পাপাচারী। সূরা আলে ইমরানআয়াত নং-১১০

 

মন্দ কাজ থেকে নিষেধ করা ঈমানের অঙ্গ। ভাল কাজের আদেশ ও মন্দ কাজের নিষেধ করা ওয়াজিব

হাদীস শরীফে এসেছে-

عَنْ طَارِقِ بْنِ شِهَابٍ، - وَهَذَا حَدِيثُ أَبِي بَكْرٍ - قَالَ أَوَّلُ مَنْ بَدَأَ بِالْخُطْبَةِ يَوْمَ الْعِيدِ قَبْلَ الصَّلاَةِ مَرْوَانُ فَقَامَ إِلَيْهِ رَجُلٌ فَقَالَ الصَّلاَةُ قَبْلَ الْخُطْبَةِ . فَقَالَ قَدْ تُرِكَ مَا هُنَالِكَ . فَقَالَ أَبُو سَعِيدٍ أَمَّا هَذَا فَقَدْ قَضَى مَا عَلَيْهِ سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ " مَنْ رَأَى مِنْكُمْ مُنْكَرًا فَلْيُغَيِّرْهُ بِيَدِهِ فَإِنْ لَمْ يَسْتَطِعْ فَبِلِسَانِهِ فَإِنْ لَمْ يَسْتَطِعْ فَبِقَلْبِهِ وَذَلِكَ أَضْعَفُ الإِيمَانِ " .

তারিক ইবনু শিহাব (রাঃ) থেকে বর্ণনা করেন। তিনি বলেনঈদের সালাতের পুর্বে মারওয়ান ইবনু হাকাম সর্বপ্রথম খুতবা প্রদান আরম্ভ করেন। তখন এক ব্যাক্তি দাঁড়িয়ে বললেনখুতবার আগে হবে সালাত (নামায/নামাজ)। মারওয়ান বললেনএ নিয়ম রহিত করা হয়েছে। এতে আবূ সাঈদ (রাঃ) বললেন, ‘এ ব্যাক্তি তো কর্তব্য পালন করেছে। আমি রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম -কে বলতে শুনেছিতোমাদের কেউ যদি অন্যায় কাজ দেখেতাহলে সে যেন হাত দ্বারা এর সংশোধন করে দেয়। যদি এর ক্ষমতা না থাকেতাহলে মুখের দ্বারাযদি তাও সম্ভব না হয়তাহলে অন্তর দ্বারা (উক্ত কাজকে ঘূণা করবে)আর এটাই ঈমানের নিম্নতম স্তর। সহীহ মুসলিম, হাদীস নং-৮৩


আরো জানুনঃ  

★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন,
আপনি যেহেতু অনেক ভাবে তাকে বুঝিয়েছেন,সুতরাং আপনার দায়িত্ব পালন হয়েছে। এর জন্য আর আপনি দায়ী নন।
প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে পরামর্শ থাকবে আপনার স্বামীকে বুঝিয়ে দাওয়াত ও তাবলিগের মেহনতে পাঠানোর।
তাহলেই ইনশাআল্লাহ সমাধান মিলবে।           


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...