আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
486 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (3 points)
আসসালামু আলাইকুম
কষ্ট হলেও এই বিপদগ্রস্ত ভাইয়ের কথা গুলো পড়িয়েন।
আসলে আমি ওয়াসওয়াসায় মারাত্মক লেভেলের আক্রান্ত! আমার কাছে মনে হয় আমি যেন শাতিমে রাসূল। আমার মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হবে ইসলামী শরিয়া অনুযায়ী! আরো জঘন্য কথা আসলে আমি ব্যাখা দিতে যাই আর দুশ্চিন্তায় পতিত হই। দ্বীনে ঢোকার পর আমার এই অবস্থা! যদিও আমার নিয়ত শুদ্ধ থাকে।আমি যখন মানুষকে দেখি মসজিদে নববী তে গিয়েছে কাবা শরীফে গেছে তখন হৃদয় দুমড়ে মুচড়ে যায়(এই ভেবে আমি কি চিন্তা করি তারা নবীলে কত ভালোবাসে)।আমি মুসলমান থাকতে চাই,আর আমি কুরআন সুন্নাহর চুল পরিমাণ অস্বীকার করি নাহ,দাড়ি রাখছি নবীকে ভালোবাসার জন্য(খোলাসা করার জন্য বলছি) আমি নবী সঃ উনার সাহাবী সালাফে সালেহীন উলামায়ে কেরাম, ইসলামের ইঞ্চি টু ইঞ্চি বিশ্বাস করি,শরীয়াহ আরো যা আছে । কোনো আলেমের কাছে ভয়ে যাই না তারা যদি ভুল বুঝে অথবা আমাকে বকাঝকা করে, অথচ আমি ইসলামের প্রত্যেক্টা বিষয় স্বীকার করি,সমস্যা একটাই জ্ঞানহীন ব্যাখা।বলেন আমি নববী তে আর আপনি চিন্তা করতছেন আপনি হয়তো শাতীমে রাসুল/আম্মাজানদের নামে অপবাদ রটনাকারী তাহলে কেমন লাগবে?(আমার অবস্থা বুঝানোর জন্য বলেন)।আমার জীবনটা সংকুচিত হয়ে আসছে।আল্লাহর অশেষ শুকরিয়া আল্লাহ এইগুলো থেকে মুক্ত করেছিলেন)কিন্তু আমি আবার চিন্তা করতে গিয়েছিলাম আমি কই করছি না করছি তখনই আবার পতিত হই) নিজের উপর বিশ্বাস নাই। এইগুলা একমাত্র আল্লাহই বুঝে, কাউকে খুলে বলতে গেলে সে নেগেটিভ নেই কিনা তাই বলতে পারি নাহ।কিন্তু জানেন আমার নবী সঃ এর দরুদ অনেকে পড়তে পারে না আর আমি বিভিন্ন দরুদ পারি,জুম্মা আসলেই আমি দরুদ পড়ি,সন্ধ্যার থেকে আমার খুশীর ধুম লেগে যেত। বারবার সুরা আহযাবের দরুদ সংক্রান্ত আয়াত পড়তাম আর দরুদ পড়তাম এখনো কমবেশ পড়ি।কুরআনের আয়াত,হাদিস এগুলো পড়লে বা দেখলে চোখে পানি আসে। বলুন না আমি কি আসলেই তেমন খারাপ যেমন আমার মনে হয়, আজ ৮ মাস যাবত সমস্যায় আছি। আমি সারাদিন যাই করি না কেন তার মধ্যে নামায বা বারবার কুরআনের এই আয়াত,ওই আয়াত মুখে মুখে রাখি। আমি কীভাবে বুঝায় উনারা ব্যতীত আমার আদর্শ নেই, উম্মুল মু'মীনীনদের খুব ভালোবাসি কিন্তু মনে হয় তা বুলি আওরানোর মতো।আমি উনাদের/মারয়াম,পবিত্র নারী যারা আছে তাদের ব্যতীত অন্য কাহারও মতো আদর্শ বানাইনি নারীদের জন্য।উনাদের চরিত্রের স্ত্রী চাই এই যে এখনো উনাদের নিয়ে বাজে টা আসতেছে।স্বাভাবিক চিন্তা করতে পারি নাহ।আপনাদের মতো যদি স্বাভাবিক চিন্তা করতে পারতাম।দুয়া করবেন আমার জন্য।আর অনেক বিষয় আছে কিভাবে বলি তা। আর আমি যদি ধৈর্য ধরে থাকি আল্লাহ তোহ নিশ্চয়ই আমাকে মুক্ত করবেন যেমন ইউনুস আঃ কে মুক্ত করেছিলেন?

1 Answer

0 votes
by (573,870 points)
edited by
জবাব
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم 


হাদীস শরীফে এসেছেঃ 

عَنْ عَائِشَةَ أَنَّ النَّبِىَّ ﷺ تَزَوَّجَهَا وَهِىَ بِنْتُ سَبْعِ سِنِينَ وَزُفَّتْ إِلَيْهِ وَهِىَ بِنْتُ تِسْعِ سِنِينَ وَلُعَبُهَا مَعَهَا وَمَاتَ عَنْهَا وَهِىَ بِنْتُ ثَمَانِىَ عَشْرَةَ.

‘আয়িশাহ্ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁকে ৭ বছর বয়সে বিয়ে করেন, যখন তাঁকে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর ঘরে দেয়া হয় তখন তার বয়স ছিল নয় বছর, তাঁর সাথে খেলনা ছিল। আর তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) যখন ইন্তেকাল করেন, তখন তাঁর বয়স ১৮ বছর।
(সহীহ : মুসলিম ১৪২২,মিশকাতুল মাসাবিহ ৩১২৯)

حَدَّثَنَا مُوسَى بْنُ إِسْمَاعِيلَ، حَدَّثَنَا حَمَّادٌ، أَخْبَرَنَا هِشَامُ بْنُ عُرْوَةَ، عَنْ عُرْوَةَ، عَنْ عَائِشَةَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهَا، قَالَتْ: فَلَمَّا قَدِمْنَا الْمَدِينَةَ جَاءَنِي نِسْوَةٌ وَأَنَا أَلْعَبُ عَلَى أُرْجُوحَةٍ، وَأَنَا مُجَمَّمَةٌ فَذَهَبْنَ بِي، فَهَيَّأْنَنِي وَصَنَعْنَنِي، ثُمَّ أَتَيْنَ بِي رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَبَنَى بِي وَأَنَا ابْنَةُ تِسْعِ سِنِينَ

আয়িশাহ (রাঃ) সূত্রে বর্ণিত। তিনি বলেন, যখন আমরা মদীনায় আসলাম তখন মহিলারা আমার নিকট এলো, এ সময় আমি দোলনায় খেলছিলাম। আমার মাথায় ঘন কালো ও লম্বা চুল ছিলো। তারা আমাকে নিয়ে গিয়ে সাজিয়ে প্রস্তুত করে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর নিকট এলো। তিনি আমার সঙ্গে বাসর যাপন করলেন। তখন আমার বয়স ছিলো নয় বছর।
(আবু দাউদ ৪৯৩৫)

★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই,
বিবাহের উদ্দেশ্য শুধুমাত্র যৌন চাহিদা পূরনই নয়,সাংসারিক কাজ শামাল দেয়া,স্বামীর খেদমত করা, স্বামীর যোগ্য একজন সঙ্গি হওয়া,সহ আরো অনেক কাজ। 

আম্মাজান হযরত আয়েশা সিদ্দিকা রাঃ এর মাধ্যমে পারিবারিক জীবনের ইসলামের অনেক খেদমত হবে,অনেক হাদীস রেওয়ায়াত করে জাতীর খেদমত হবে,সেই ভিত্তিতে অনেকটা ছোট বয়সেই তার বিবাহ রাসুলুল্লাহ সাঃ এর সাথে হয়েছিলো।  

তার দ্বারা হাদীস,ফিকহের জগতে ইসলামে অকল্পনীয় খেদমত আঞ্জাম হয়েছে। 

কখনোই রাসুলুল্লাহ সাঃ এর মূল ও একমাত্র উদ্দেশ্য যৌন চাহিদা পূরন ছিলোনা।   
তবে মানুষ হিসেবে রাসুলুল্লাহ সাঃ এরও যৌন চাহিদা ছিলো।
এটি কোনো দোষণীয় বিষয় নয়।  

তাই সবদিক বিবেচনা করে ততকালীম আরব এলাকায় মেয়েদের প্রাপ্ত বয়স্ক হওয়ার সময়েই আয়েশা রাঃ কে তুলে দেয়া হয়েছিলো।
যাতে উপরে উল্লেখিত যাবতীয় কাজ আঞ্জাম দিতে পারেন।   

★★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই,
ইসলাম নিয়ে এহেন যেকোনো প্রশ্ন মনে আসলে আল্লাহর কাছে বিতাড়িত শয়তান থেকে পানাহ চাইবেন।
মনে রাখবেন এসব প্রশ্নকে অন্তরে জায়গা দেয়া শুরু করলে একটির পর একটি প্রশ্ন আসতেই থাকবে।
সবকটি প্রশ্নের জবাব অবশ্যই রয়েছে,তবে সেগুলো আপনার পর্যন্ত পৌছার আগেই আপনার ঈমান হারা হওয়ার শংকা থাকতে পারে।
,
পরামর্শ থাকবে এহেন প্রশ্নের পিছনে না পড়ে আমলের দিলে মনোযোগী হওয়ার।
নেককার বান্দা দের সাথে বেশি উঠাবসা করুন।
দাওয়াত ও তাবলিগের মেহনতের সাথে যুক্ত হতে পারেন।            


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...