জবাব
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته
بسم الله الرحمن الرحيم
হাদীস শরীফে এসেছেঃ
عَنْ عَائِشَةَ أَنَّ النَّبِىَّ ﷺ تَزَوَّجَهَا وَهِىَ بِنْتُ سَبْعِ سِنِينَ وَزُفَّتْ إِلَيْهِ وَهِىَ بِنْتُ تِسْعِ سِنِينَ وَلُعَبُهَا مَعَهَا وَمَاتَ عَنْهَا وَهِىَ بِنْتُ ثَمَانِىَ عَشْرَةَ.
‘আয়িশাহ্ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁকে ৭ বছর বয়সে বিয়ে করেন, যখন তাঁকে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর ঘরে দেয়া হয় তখন তার বয়স ছিল নয় বছর, তাঁর সাথে খেলনা ছিল। আর তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) যখন ইন্তেকাল করেন, তখন তাঁর বয়স ১৮ বছর।
(সহীহ : মুসলিম ১৪২২,মিশকাতুল মাসাবিহ ৩১২৯)
حَدَّثَنَا مُوسَى بْنُ إِسْمَاعِيلَ، حَدَّثَنَا حَمَّادٌ، أَخْبَرَنَا هِشَامُ بْنُ عُرْوَةَ، عَنْ عُرْوَةَ، عَنْ عَائِشَةَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهَا، قَالَتْ: فَلَمَّا قَدِمْنَا الْمَدِينَةَ جَاءَنِي نِسْوَةٌ وَأَنَا أَلْعَبُ عَلَى أُرْجُوحَةٍ، وَأَنَا مُجَمَّمَةٌ فَذَهَبْنَ بِي، فَهَيَّأْنَنِي وَصَنَعْنَنِي، ثُمَّ أَتَيْنَ بِي رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَبَنَى بِي وَأَنَا ابْنَةُ تِسْعِ سِنِينَ
আয়িশাহ (রাঃ) সূত্রে বর্ণিত। তিনি বলেন, যখন আমরা মদীনায় আসলাম তখন মহিলারা আমার নিকট এলো, এ সময় আমি দোলনায় খেলছিলাম। আমার মাথায় ঘন কালো ও লম্বা চুল ছিলো। তারা আমাকে নিয়ে গিয়ে সাজিয়ে প্রস্তুত করে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর নিকট এলো। তিনি আমার সঙ্গে বাসর যাপন করলেন। তখন আমার বয়স ছিলো নয় বছর।
(আবু দাউদ ৪৯৩৫)
★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই,
বিবাহের উদ্দেশ্য শুধুমাত্র যৌন চাহিদা পূরনই নয়,সাংসারিক কাজ শামাল দেয়া,স্বামীর খেদমত করা, স্বামীর যোগ্য একজন সঙ্গি হওয়া,সহ আরো অনেক কাজ।
আম্মাজান হযরত আয়েশা সিদ্দিকা রাঃ এর মাধ্যমে পারিবারিক জীবনের ইসলামের অনেক খেদমত হবে,অনেক হাদীস রেওয়ায়াত করে জাতীর খেদমত হবে,সেই ভিত্তিতে অনেকটা ছোট বয়সেই তার বিবাহ রাসুলুল্লাহ সাঃ এর সাথে হয়েছিলো।
তার দ্বারা হাদীস,ফিকহের জগতে ইসলামে অকল্পনীয় খেদমত আঞ্জাম হয়েছে।
কখনোই রাসুলুল্লাহ সাঃ এর মূল ও একমাত্র উদ্দেশ্য যৌন চাহিদা পূরন ছিলোনা।
তবে মানুষ হিসেবে রাসুলুল্লাহ সাঃ এরও যৌন চাহিদা ছিলো।
এটি কোনো দোষণীয় বিষয় নয়।
তাই সবদিক বিবেচনা করে ততকালীম আরব এলাকায় মেয়েদের প্রাপ্ত বয়স্ক হওয়ার সময়েই আয়েশা রাঃ কে তুলে দেয়া হয়েছিলো।
যাতে উপরে উল্লেখিত যাবতীয় কাজ আঞ্জাম দিতে পারেন।
★★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই,
ইসলাম নিয়ে এহেন যেকোনো প্রশ্ন মনে আসলে আল্লাহর কাছে বিতাড়িত শয়তান থেকে পানাহ চাইবেন।
মনে রাখবেন এসব প্রশ্নকে অন্তরে জায়গা দেয়া শুরু করলে একটির পর একটি প্রশ্ন আসতেই থাকবে।
সবকটি প্রশ্নের জবাব অবশ্যই রয়েছে,তবে সেগুলো আপনার পর্যন্ত পৌছার আগেই আপনার ঈমান হারা হওয়ার শংকা থাকতে পারে।
,
পরামর্শ থাকবে এহেন প্রশ্নের পিছনে না পড়ে আমলের দিলে মনোযোগী হওয়ার।
নেককার বান্দা দের সাথে বেশি উঠাবসা করুন।
দাওয়াত ও তাবলিগের মেহনতের সাথে যুক্ত হতে পারেন।