আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
284 views
in পবিত্রতা (Purity) by (2 points)
আমার পিরিয়ড  এই মাসের ৬-১০ এপ্রিল হয় এরপর আবার ২২ এপ্রিল সন্ধ্যায় ব্লাড দেখি পিরিয়ড শেষ হওয়ার ১৩ তম দিন ছিল। তাই ইস্তেহাযা ভেবে ১৩  ১৪ তম দিন রোজা সালাত কন্টিনিউ করছি। আমার প্রশ্ন হচ্ছে
১. আজ ১৫ তম দিন রোজা সালাত থেকে বিরত থাকব? বা কিভাবে বুঝব হায়েজ নাকি ইস্তেহাযা। কারণ ৩ দিনের বেশি থাকবে নাকি জানিনা।

২. এই অবস্থায় সালাতের  সব ওয়াক্তে কি প্যড বা কাপড় চেঞ্জ করে সালাত পড়তে হআয়া।উবে।আমি গত দুইদিন চেঞ্জ না করেই সালাত পড়েছি এতে কি সালাত শুদ্ধ হবে না আবার পড়তে হবে?

৩ সালাত শেষে ওই ওযু দিয়ে কি নফল সালাত বা কুরআন তিলাওয়াত কন্টিনিউ করা যাবে নাকি কাপড়ে ব্লাড লাগলেই ওযু ভেংগে যাবে আবার ওযু করে নিতে হবে?
by (2 points)
যদি এমন চলতে থাকে তবে ১৬ তম দিন থেকে কত দিন পর্যন্ত সালাত রোজা অফ রাখতে হবে হায়েজ ধরে জানালে উপকার হতো।১০ দিন তো হায়েজ এর সবোচ্চ সীমা তবে কি ১০ দিন হায়েজ ধরে পরের গুলো আবার ইস্তেহাযা হিসাব করব?

1 Answer

0 votes
by (574,260 points)
জবাব
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম  


(০১)
শরীয়তের বিধান অনুযায়ী তুহর তথা দুই হায়েজের মাঝে পবিত্রতার সর্বনিম্ন সীমা পনেরো দিন।
এই পনেরো দিনের মধ্যে কোনো রক্ত আসলে সেটি হায়েজ নয়,বরং সেটি ইস্তেহাজা তথা অসুস্থতা।
এই সময়ে নামাজ রোযা আদায় করতে হবে।    

হজরত হান্নাদ [রহ] আম্মাজান আয়েশা [রা]-এর হাদিস বর্ণনা করেছেন যে, ফাতিমা বিনতে হুবাইশ নামক এক নারী একবার রাসুল [সা]-এর সমীপে এসে বললো, হে আল্লাহর রাসুল, আমি একজন ইস্তেহাযাগ্রস্ত মেয়ে। আমি তো পাক হই না। তাই আমি কি নামাজ পড়া ছেড়ে দেবো? রাসুল [সা] বললেন, না, কারণ এ রক্ত হায়েযের নয়; বরং এ হলো শিরা থেকে বেরিয়ে আসা রক্ত। সুতরাং যখন তোমার হায়েযের নির্ধারিত দিনগুলি আসে তখন সে দিনগুলি নামাজ ছেড়ে দেবে। আর হায়েযের দিন চলে গেলে তোমার রক্ত ধুয়ে নেবে এবং নামাজ আদায় করবে। [তিরমিজি, হাদিস-১২৫]
     
,
★ উভয় হায়েজের মাঝে কমপক্ষে পনেরো দিন পবিত্রতা ধরতে হবে।
হায়েজ শেষ হওয়ার পরদিন থেকে পনেরো দিন গণনা করা হবে।
এই পনেরো দিনের মধ্যে কোনো রক্ত আসলে সেটাকে ইস্তেহাজা তথা অসুস্থতা ধরতে হবে।
নামাজ রোযা আদায় করতে হবে।
,
★প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে যেহেতু ১০ তারীখে হায়েজ শেষ হয়েছিলো,তাহলে ১১ তারিখ থেকে হিসেব করে  পনেরো দিন পর তথা ২৫ তারিখের পর অর্থাৎ ১৬ তম দিন তথা ২৬ তারিখে যেই ব্লাড আসবে,সেটাকে হায়েজ বলা হবে।
হায়েজ শেষ হওয়ার পনেরো দিনের আগেই তথা ২২ এপ্রিল পর যেই ব্লাড আসছে, সেটি ইস্তেহাজা তথা অসুস্থতার রক্ত ধরা হবে।
,
এতে নামাজ রোযা আদায় করতে হবে।

★সুতরাং প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে ২২ তারিখ থেকে যেই রক্ত এসেছে,এটি ইস্তেহাজা।
এটি হায়েজ নয়।

এটি চলমান থাকলে আপনি ২৬ তারিখ থেকে হায়েজ ধরে নামাজ রোযা বন্ধ রাখবেন।
রোযা পরবর্তীতে কাজা আদায় করে নিবেন।
সেক্ষেত্রে ২৬ তারিখ থেকে হায়েজ তিন দিনের কম হলে এই দিন গুলোতে যা নামাজ আদায় হয়নি,সেগুলোর কাজা আদায় করতে হবে।
আর রোযার তো উভয় ছুরতেই কাজা আদায় করতে হবে।   
,
আরো জানুনঃ   

(০২)
যদি অনবরত ব্লাড আসতেই থাকে,পুরো ওয়াক্তের যেকোনো সময় ছোট সুরা দিয়েও ফরজ নামাজ ঠিকভাবে পূর্ণ করা সম্ভব না হলে আপনি মা'যুর।  
সেক্ষেত্রে প্যাড/কাপড় চেঞ্জ করতে হবেনা।

আর যদি এটি এমন অনবরত না হয়,তাহলে কাপড়/প্যাড চেঞ্জ করে নামাজ আদায় করতে হবে।

(০৩)
২ নং জবাবের আলোকে আপনি মা'যুর হলে আপনি 
সালাত শেষে ঐ ওযু দিয়ে নফল সালাত বা কুরআন তিলাওয়াত কন্টিনিউ করতে পারবেন।
,
তবে আপনি মা'যুর না হলে এমনটির সুযোগ নেই।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...