ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম।
জবাবঃ-
রোযা বলা হয়,রোযার নিয়তে সুবহে সাদিক থেকে নিয়ে সূর্য অস্ত যাওয়া পর্যন্ত খাওয়া,পানাহার,সহবাস থেকে বিরত থাকা।
যদি কেহ কেহ হারাম বস্তু দিয়ে সাহরি/ইফতার করে,তাহলে এতে তার রোযা শুদ্ধ হয়ে যাবে,তবে হারাম জিনিস খাওয়ার গুনাহ হবে।
মহান আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করেনঃ
وَ کُلُوۡا وَ اشۡرَبُوۡا حَتّٰی یَتَبَیَّنَ لَکُمُ الۡخَیۡطُ الۡاَبۡیَضُ مِنَ الۡخَیۡطِ الۡاَسۡوَدِ مِنَ الۡفَجۡرِ۪ ثُمَّ اَتِمُّوا الصِّیَامَ اِلَی الَّیۡلِ ۚ وَ لَا تُبَاشِرُوۡہُنَّ وَ اَنۡتُمۡ عٰکِفُوۡنَ ۙ فِی الۡمَسٰجِدِ ؕ تِلۡکَ حُدُوۡدُ اللّٰہِ فَلَا تَقۡرَبُوۡہَا ؕ کَذٰلِکَ یُبَیِّنُ اللّٰہُ اٰیٰتِہٖ لِلنَّاسِ لَعَلَّہُمۡ یَتَّقُوۡنَ ﴿۱۸۷﴾
আর তোমরা পানাহার কর যতক্ষণ রাতের কালোরেখা থেকে উষার সাদা রেখা স্পষ্টরূপে তোমাদের নিকট প্রকাশ না হয়। তারপর রাতের আগমন পর্যন্ত সিয়াম পূর্ণ কর। আর তোমরা মসজিদে ইতিকাফরত অবস্থায় তাদের সাথে সংগত হয়ো না। এগুলো আল্লাহর সীমারেখা। কাজেই এগুলোর নিকটবর্তী হয়ে না। এভাবে আল্লাহ তার আয়াতসমূহ মানুষদের জন্য সুস্পষ্টভাবে ব্যক্ত করেন, যাতে তারা তাকওয়ার অধিকারী হতে পারে।
(সুরা বাকারা ১৮৭)
কুদুরী গ্রন্থে আছেঃ
والصوم هو الإمساك عن الأكل والشرب والجماع نهارا مع النية ۔ (کتاب الصوم )
সারমর্মঃ
রোযা বলা হয়,রোযার নিয়তে সুবহে সাদিক থেকে নিয়ে সূর্য অস্ত যাওয়া পর্যন্ত খাওয়া,পানাহার,সহবাস থেকে বিরত থাকা।
★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
(০১)
সাহরি খাওয়ার সময় কেউ যদি মদ খায় তাহলে তার রোযা হবে।
রোযা ভেঙ্গে ফেলা জায়েজ হবেনা।
তবে তার মদ খাওয়ার গুনাহ হবে।
(০২)
সাহরি খাওয়ার সময় কেউ যদি সিগারেট খায় তাহলে তার রোযা হবে।
রোযা ভেঙ্গে ফেলা জায়েজ হবেনা।
তবে তার সিগারেট খাওয়ার গুনাহ হবে।
(০৩)
রোযা হয়ে যাবে।
কোনো সমস্যা নেই।
পান জর্দা বিষয়ক উলামায়ে কেরামদের মাঝে মতবিরোধ রয়েছে।
অনেকের নিকট এটি খাওয়া জায়েজ,সেক্ষেত্রে উল্লেখিত ছুরতে রোযাদারের কোনো গুনাহ হবেনা।
(০৪)
হ্যাঁ অযু হবে।
(০৫)
এতে অযু ভেঙ্গে যাবেনা।
এমতাবস্থায় মসজিদে নামাজ আদায় করতে যেতে পারবে।
তবে মুখে দূর্গন্ধ থাকলে মসজিদে যাওয়া মাকরুহ হবে।