আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
87 views
in সালাত(Prayer) by (3 points)
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহি ওয়া রহমাতুল্লাহি
১) আমার ছোট বোনের বয়স ৮ বছর ১০ মাস।  শুরুতেই বলে রাখি আমার ফ্যামেলি প্র‍্যাক্টেসিং মুসলিম না। তো আমার সমস্যা হলো, আমি জানি নবিজি সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম  বলেছেন যে বাচ্চাদের বয়স যখন ৮/৯ হবে তখন থেকে তাদের নামাজের তাগিদ দিতে এবং ১০ হলে না পড়লে প্রয়োজনে প্রহার করতে।   তো এখন ওকে নামাজের তাগিদ দিলে  বাসার মানুষ বলে ওর তো নামাজ এখন ফরজ হয়নি  আর ওর এতে গুন্নাহ হয়না তাই এখন থেকে এতো প্রেশার না দিতে।  আর আমার জানামতে বালেগা হওয়ার পর থেকে নামাজ ফরজ হয়। তাই আমিও এর প্রেক্ষিতে কিছু বলতে পারি না।  কিন্তু নবিজি সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন যে ১০ হলে না পড়লে শাসন করতে।  তাই আমি এই হাদিস  আর নবির কথাও  অমান্যও করতে পারি না, আবার বাসার মানুষেদের বোঝাতেও   পারছিনা। তাদের যুক্তি ওর বালেগা না হওয়া অব্দি গুন্নাহ হবে না। এক্ষেত্রে আমার করনীয় কি।।।।।।। প্লিজ কিছু হাদিস এর আলোকে দলিল দিবেন যাতে তাদের সেটা দেখিয়ে বোঝাতে পারি।।।।।।
২) আর আরেকটা প্রশ্ন,  সফরের যে কসর নামাজ আদায় করতে হয় তা কি গন্তব্য স্থানে যাওয়ার পরও না? মানে আমি ৪৮ মাইল দূরে ১৫ দিনের কম নিয়্যাতে রওনা হলাম।তাহলে সেখানে পৌছানোর পর  যদি ৮ দিন থাকি তাহলে  এই ৮ দিনই আমি কসর নামাজ আদায় করবো না???   আমি আসলে সফর বলেতেই বুঝিনি। এখানে রাস্তায় যতটুকু যাওয়ার হয় সেটা সফর নাকি  বাসা থেকে বের হওয়ার পর  থেকে ফিরে আসা পর্যন্ত পুরো সময়টা???

1 Answer

0 votes
by (675,600 points)
জবাব
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم 


(০১)
হাদীস শরীফে এসেছেঃ 

عَنْ عَمْرِو بْنِ شُعَيْبٍ عَنْ أَبِيهِ عَنْ جَدِّه قَالَ قَالَ رَسُولُ اللهِ ﷺ مُرُوا أَوْلَادَكُمْ بِالصَّلَاةِ وَهُمْ أَبْنَاءُ سَبْعِ سِنِينَ وَاضْرِبُوهُمْ عَلَيْهَا وَهُمْ أَبْنَاءُ عَشْرٍ وَفَرِّقُوا بَيْنَهُمْ فِي الْمَضَاجِعِ. رَوَاهُ أَبُوْ دَاوٗدَ 

‘আমর ইবনু শু‘আয়ব (রহঃ) তার পিতার মাধ্যমে, তিনি তার দাদা হতে বর্ণনা করেছেন। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ যখন তোমার সন্তানদের বয়স সাত বছরে পৌঁছবে তখন তাদেরকে নামাজ আদায়ের জন্য নির্দেশ দিবে। আর (সলাত আদায় করার জন্য) তাদের শাস্তি দিবে যখন তারা দশ বছরে পৌঁছবে এবং তাদের ঘুমানোর স্থান পৃথক করে দিবে।
(আবূ দাঊদ ৪৯৫, সহীহুল জামি‘ ৫৮৬৮, আহমাদ ২/১৮০ ও ১৮৭।)

এই হাদীসের ব্যাখ্যায় বলা হয়েছেঃ
যেহেতু সাত বছর বয়সেই বাচ্চাদের ভালো-মন্দের পার্থক্যের জ্ঞান বিকশিত হয় সেহেতু এ বয়সেই ইসলামের বিধানাবলী প্রতিপালনের নিমিত্তে অভিভাবককে তার সন্তানের প্রতি দায়িত্ব সচেতন করা হয়েছে। তবে এখানে প্রহার করা দ্বারা হালকা প্রহার বুঝানো হয়েছে। বেদম প্রহার নয়। এর দ্বারা শুধুমাত্র ইসলামী বিধান প্রতিষ্ঠিত করতে শিক্ষা দেয়াই উদ্দেশ্য। সাত বছর বয়সে নির্দেশ প্রদান করতে হবে আর ১০ বছর বয়সে প্রয়োজনে প্রহার করতে হবে। সেই সাথে বিছানাও পৃথক করে দিতে হবে।

প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন, 
আপনার বোনের উপর এখনো নামাজ ফরজ হয়নি,সুতরাং এখন আপনি তাকে নামাজের ওয়াক্ত হলে নামাজের আদেশ দিবেন।
সে সময় সুযোগ মতে আস্তে-ধীরে পড়ার চেষ্টা করবে।
এভাবে দৈনিক ৩/৪ ওয়াক্ত বা ২/১ ওয়াক্ত করে অল্প করে হলেও পড়তে পড়তে আস্তে-ধীরে অভ্যাস গড়ে তুলবে।
তাকে এখন ৫ ওয়াক্তের উপর প্রেশার দেয়ার প্রয়োজনীয়তা নেই। 
এরপর ১০ বছর হওয়ার পর প্রেশার দিবেন।
উল্লেখ্য এক্ষেত্রে তাকে সর্বোচ্চ প্রেশার প্রয়োজনে হালকা প্রহার এটি তার পিতার দায়িত্ব। 
আপনার নয়।
আপনি শুধু বুঝাবেন।

(০২)
প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে  বাসা থেকে বের হয়ে নিজ শহরের সীমানা অতিক্রম করার পর থেকে নিজ শহরের সীমানায়  ফিরে আসা পর্যন্ত পুরো সময়টা কসর করতে হবে।

প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে আপনি সেখানে ৮ দিন থাকলে ৮ দিন কসর করবেন।
এবং নিজ শহরের সীমানা  ফিরে আসা পর্যন্ত সময়টা কসর করবেন।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

...