জবাব
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته
بسم الله الرحمن الرحيم
(০১)
হাদীস শরীফে এসেছেঃ
عَنْ عَمْرِو بْنِ شُعَيْبٍ عَنْ أَبِيهِ عَنْ جَدِّه قَالَ قَالَ رَسُولُ اللهِ ﷺ مُرُوا أَوْلَادَكُمْ بِالصَّلَاةِ وَهُمْ أَبْنَاءُ سَبْعِ سِنِينَ وَاضْرِبُوهُمْ عَلَيْهَا وَهُمْ أَبْنَاءُ عَشْرٍ وَفَرِّقُوا بَيْنَهُمْ فِي الْمَضَاجِعِ. رَوَاهُ أَبُوْ دَاوٗدَ
‘আমর ইবনু শু‘আয়ব (রহঃ) তার পিতার মাধ্যমে, তিনি তার দাদা হতে বর্ণনা করেছেন। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ যখন তোমার সন্তানদের বয়স সাত বছরে পৌঁছবে তখন তাদেরকে নামাজ আদায়ের জন্য নির্দেশ দিবে। আর (সলাত আদায় করার জন্য) তাদের শাস্তি দিবে যখন তারা দশ বছরে পৌঁছবে এবং তাদের ঘুমানোর স্থান পৃথক করে দিবে।
(আবূ দাঊদ ৪৯৫, সহীহুল জামি‘ ৫৮৬৮, আহমাদ ২/১৮০ ও ১৮৭।)
এই হাদীসের ব্যাখ্যায় বলা হয়েছেঃ
যেহেতু সাত বছর বয়সেই বাচ্চাদের ভালো-মন্দের পার্থক্যের জ্ঞান বিকশিত হয় সেহেতু এ বয়সেই ইসলামের বিধানাবলী প্রতিপালনের নিমিত্তে অভিভাবককে তার সন্তানের প্রতি দায়িত্ব সচেতন করা হয়েছে। তবে এখানে প্রহার করা দ্বারা হালকা প্রহার বুঝানো হয়েছে। বেদম প্রহার নয়। এর দ্বারা শুধুমাত্র ইসলামী বিধান প্রতিষ্ঠিত করতে শিক্ষা দেয়াই উদ্দেশ্য। সাত বছর বয়সে নির্দেশ প্রদান করতে হবে আর ১০ বছর বয়সে প্রয়োজনে প্রহার করতে হবে। সেই সাথে বিছানাও পৃথক করে দিতে হবে।
★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
আপনার বোনের উপর এখনো নামাজ ফরজ হয়নি,সুতরাং এখন আপনি তাকে নামাজের ওয়াক্ত হলে নামাজের আদেশ দিবেন।
সে সময় সুযোগ মতে আস্তে-ধীরে পড়ার চেষ্টা করবে।
এভাবে দৈনিক ৩/৪ ওয়াক্ত বা ২/১ ওয়াক্ত করে অল্প করে হলেও পড়তে পড়তে আস্তে-ধীরে অভ্যাস গড়ে তুলবে।
তাকে এখন ৫ ওয়াক্তের উপর প্রেশার দেয়ার প্রয়োজনীয়তা নেই।
এরপর ১০ বছর হওয়ার পর প্রেশার দিবেন।
উল্লেখ্য এক্ষেত্রে তাকে সর্বোচ্চ প্রেশার প্রয়োজনে হালকা প্রহার এটি তার পিতার দায়িত্ব।
আপনার নয়।
আপনি শুধু বুঝাবেন।
(০২)
প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে বাসা থেকে বের হয়ে নিজ শহরের সীমানা অতিক্রম করার পর থেকে নিজ শহরের সীমানায় ফিরে আসা পর্যন্ত পুরো সময়টা কসর করতে হবে।
প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে আপনি সেখানে ৮ দিন থাকলে ৮ দিন কসর করবেন।
এবং নিজ শহরের সীমানা ফিরে আসা পর্যন্ত সময়টা কসর করবেন।