আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
303 views
in হালাল ও হারাম (Halal & Haram) by (1 point)
আসসালামু আলাইকুম। আমার দাঁত ছোট বেলায় উঁচু ছিল না। জিহ্বা দিয়ে জেগে থাকা অবস্থায়, ঘুমের মধ্যে দাঁত ঠেলতে ঠেলতে উঁচু হয়ে গেছে। এখন সামনের দিকের কয়েকটা দাঁত বেঁকে উঁচু হয়েছে বিধায় ফাঁকা স্থানটা চুম্বকের মত সারাক্ষন অনুভুত হয়। অধিকন্তু, আরবি পড়ার সময় আমার মনে হয় আমি যেন  সামনের (উপরের) সারির দাঁতের সাথে নীচের সারির দাঁতের বেশ ফাঁকা থাকার দরুন,    ج ,  ز, ظ,  অক্ষরসমুহ সঠিকভাবে উচ্চারণে অসুবিধা হয় (যখন এই অক্ষরগুলো কোন শব্দ গঠন করে, ওই শব্দগুলোতে এই অক্ষরগুলোর উচ্চারণে অসুবিধা হয়)। আমাকে দাতের কারণে খারাপও দেখায়। আমি কর্মক্ষেত্রে এটা নিয়ে বেশ হীনমন্যতায় ভুগি। প্রায়ই নিজের উপর বেশ রাগ হয়, কেন আমি আমার দাঁত সারাক্ষন জিহ্বা দিয়ে ঠেলতাম - এই ভেবে?  আমার  দাঁত উঁচু হওয়া জন্মগত নয়। আমার জিহ্বা দিয়ে জেগে থাকা অবস্থায়, ঘুমের মধ্যে  দাঁত ঠেলার অভ্যাসের কারণে। এখন এটা সোজা করা কি যায়েজ?

1 Answer

0 votes
by (574,050 points)
জবাব
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم 


https://ifatwa.info/29661/ নং ফাতাওয়ায় উল্লেখ রয়েছে  যে,

বিজ্ঞ উলামায়ে কেরাম জায়েয পরিবর্তন ও নাজায়েয পরিবর্তন সম্পর্কে মূলনীতি উল্লেখ পূর্বক বলেনঃ
(ক)
জায়েয শারীরিক পরিবর্তনঃ
যদি কোনো মানুষ কষ্ট দূরীকরণার্তে বা কোনো দোষ দূরীকরণার্তে চায় উক্ত দোষ নিজের মাধ্যমে আসুক বা কোনো অসুস্থতা বা দুর্ঘটনাজনিত হোক তাহলে এমতাবস্থায় শারীরিক পরিবর্তন জায়েয।


যেমন উরফুজা ইবনে আস'আদ রাযি থেকে বর্ণিত


عن ﻋﺮﻓﺠﺔ ﺑﻦ ﺃﺳﻌﺪ ﺃﻧﻪ ﻗﻄﻊ ﺃﻧﻔﻪ ﻳﻮﻡ ﺍﻟﻜُﻼﺏ، ﻓﺎﺗﺨﺬ ﺃﻧﻔﺎً ﻣﻦ ﻓﻀﺔ ﻓﺄﻧﺘﻦ ﻋﻠﻴﻪ، ﻓﺄﻣﺮﻩ ﺍﻟﻨﺒﻲ ﺻﻠﻰ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ ﻭﺳﻠﻢ ﻓﺎﺗﺨﺬ ﺃﻧﻔﺎً ﻣﻦ ﺫﻫﺐ
কিলাবের যুদ্ধে উনার নাক কর্তিত হয়ে যায়,তখন তিনি রূপার নাক তৈরী করে লাগিয়ে নেন।কিন্তু উক্ত নাকে দুর্গন্ধ হয়ে যায়,যে জন্য নবীজী সাঃ উনাকে সর্ণের নাক বাধার অনুমিত প্রদান করেন।অতঃপর তিনি সর্ণের নাক বেধে নেন।(সুনানে তিরমিযি-১৭৭০) 

★সুপ্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন!
প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে আপনি এটি সোজা করতে পারবেন। 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...