এই লেখাটা কি হুবুহু সঠিক? কোনো দলিল আছে?
#লেখাটা_পড়তে_গিয়ে_খুশিতে_কান্না_চলে_আসলো!
জান্নাতীরা জান্নাতে নিজ গৃহে অবস্থান করবেন । এমন সময় দরজায় কেউ কড়া নাড়বে। দরজা খুলে দেখবেন একজন ফেরেস্তা দাঁড়িয়ে । তিঁনি বলবেন ‘চলো আল্লাহ সুবহানাহু ওতায়ালার সাথে দেখা করে আসি।
তিনি তখন খুবই উল্লসিত হয়ে বের হয়ে এসে দেখবেন খুব সুন্দর একটা বাহন তাঁর জন্য প্রস্তুত । বাহন ছুটে চলবে খুব বিস্তৃত নয়নাভিরাম মাঠ দিয়ে যা স্বর্ণ আর মণি মুক্তা খচিত পিলারে সাজানো ।
জান্নাতিরা খুব পরিতৃপ্তি নিয়ে ছুটবে । এমন সময় আলো দেখবে আলোর পর আরো আলো । তারপর আরো আলো ।
জান্নাতীরা তখন উল্লসিত হয়ে ফেরেস্তাদের জিজ্ঞেস করবেন ‘ আমরা কি আল্লাহকে দেখেছি ?’
না, আমরা সে পথেই ছুটছি । ফেরেস্তা বলবেন ।
হঠাৎ জান্নাতীরা শুনবেন গায়েবী আওয়াজ -
* আস সালামু আলাইকুম ইয়া আহলাল জান্নাহ *
আল্লাহ সুবহানাহু ওয়াতায়ালা স্বয়ং সালাম দিচ্ছেন জান্নাতীদের ।
খুবই আবেগময় হবে সে মুহূর্তটা !!!
আল্লাহু আকবার ।
আল্লাহ সুবহানাহু ওয়াতায়ালার সালামের জবাবে তখন জান্নাতীরা বলবেন,
আল্লাহুম্মা আনতাস সালাম, ওয়া মিনকাস সালাম, তাবারকতা ইয়া জাল জালালি ওয়াল ইকরাম।
হে আল্লাহ! আপনি শান্তিময় এবং আপনা হতেই শান্তি উৎসারিত হয়।। আপনি বরকতময় হে মহান ও সম্মানের অধিকারী ।
তখন আল্লাহ সুবহানাহু ওয়াতায়ালা জিজ্ঞেস করবেন,
তোমরা কি খুশী ? তোমরা কি সন্তুষ্ট ?
ও আল্লাহ, জাহান্নামের আগুন থেকে বাঁচিয়ে আমাদের আপনি জান্নাত দিয়েছেন ! আমরা অসন্তুষ্ট হই কি করে !
জান্নাতীরা জবাব দিবেন ।
আল্লাহ সুবহানাহু ওয়াতায়ালা তখন জিজ্ঞেস করবেন,
তোমাদের আর কি চাই ?
তখন জান্নাতীরা (আলহামদুলিল্লাহ ) বলবেন- আর কিছু চাই না ।
না না । আজ তো দেয়ার দিন । আমি আরও দিব । বলো কি চাই ।
তখন জান্নাতীরা (আলহামদুলিল্লাহ ) সমস্বরে বলে উঠবেন-
ও আল্লাহ, আমরা আপনাকে দেখতে চাই ।
আপনাকে দেখি নি কখনও । আপনাকে আমরা ভালবাসি ।
আল্লাহ সুবহানাহু ওয়াতায়ালা তখন পর্দা সরিয়ে দেবেন ।
সৃষ্টি এবং স্রষ্টা মুখোমুখি । চোখ বন্ধ করে একটু চিন্তা করুন । সারাজীবন দুনিয়াতে যাকে ডেকেছেন । যাকে না দেখে চোখ দুটো অঝোরে কেঁদেছেন । কাউকে না বলা আপনার একান্ত কথাগুলো যাকে বলেছেন । খুব বিপদে কেউ নেই পাশে, কেঁদে কেঁদে যাকে বলেছিলেন।
পকেট ফাঁকা, ঘরে খাবার নেই, অনিশ্চিত উৎস থেকে খাবারের ব্যবস্হা যিনি করেছেন । কত চাওয়া, মাকে বলেন নি, বাবাকেও না , রাতের আঁধারে কেঁদে কেঁদে যাকে বলেছিলেন ।
কত অপরাধ করেছি, কেউ দেখে নি । একজন দেখেছেন কিন্তু গোপন রেখেছেন । বারবার ভুল করেছি, যিনি মাফ করে দিয়েছেন, অদৃশ্য ইশারায় সাবধান করেছেন। মমতাময়ী মা, আমার আদরের সন্তান, প্রিয়তমা স্ত্রীর ভালবাসা দিয়ে অদৃশ্য ভালবাসায় আমাকে যিনি ভালবেসেছেন সবচেয়ে বেশী । সবচেয়ে আপন, সুমহান সেই প্রতিপালকের মুখোমুখি ...
সাহাবীদের প্রশ্নের জবাবে নবীজী বলেছেন , পৃথিবীতে আমরা যেমন চাঁদকে স্পষ্ট দেখি , আমরা আল্লাহ সুবহানুওতায়ালাকে তেমনি দেখব । ইনশাআল্লাহ ।
এ যে জান্নাতের সবচেয়ে বড় নেয়ামাহ্ !