প্র্যাক্টিক্যাল করা নিয়ে, সালাম দেওয়া

Question

১)আমাদের স্কুলে প্র‍্যাক্টিক্যাল দিয়েছে। কালকেই জমা দেওয়ার লাস্ট ডেট। আমি গাইড থেকে না করে বই থেকে করে নিয়ে গেলে সাইন করায় না আর কি যে বলল স্পষ্ট শুনি নাই। হয়তবা বলেছে অমুক যেভাবে করেছে সেভাবে করে আনতে। এখন আমি তো সিউর না যে উনি কি বলছেন। আমি যদি গাইড দেখে করি ( অমনে না করে যাওয়ায় নাম্বার তো দূরের কথা, সাইনও করে না, এখন আগেরটা নিয়ে গেলে কোন সমস্যা হয় কিনা জানি না) 

এটা করা কি জায়েজ হবে? 

নাকি গাইডেরটা মুখস্থ করে পরে না দেখে করব? তাহলে কি জায়েজ হবে?

( এটা পরে বোর্ড পরীক্ষায় যেতে পারে, সিউর না। বোর্ড এগুলা করার অনুমোদন দেয় কিনা তা জানি না। এখন কি করব? কালকেই জমা আর এর পরে বন্ধ)

 তাড়াতাড়ি জানতে চাই শুধু ১) এর উত্তরটা কারন কালকে সকাল ৮ টা বা ৯ টার মধ্যে প্র‍্যাক্টিক্যাল করা শুরু করতে হবে

 

২) কেউ যদি মনে করে যে ওমুক যদি তাকে সালাম দেয় তাহলে সে ভাল ছেলে অথবা মেয়ে, কিন্তু ওমুক যদি তাকে সালাম না দেয় তাহলে সে বেয়াদব । মানে কেউ যদি সালাম  না দেওয়াকে কারো বেয়াদবির পরিমাপক হিসেবে গন্য করে এমন ব্যক্তিকে সালাম দেওয়া কি জায়েজ হবে?

Answer 1

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।

জবাবঃ-

ওয়াবিসা ইবনে মা'বাদ রাযি থেকে বর্ণিত,

ﻭﻋﻦ ﻭﺍﺑﺼﺔَ ﺑﻦِ ﻣَﻌْﺒِﺪٍ  ﻗَﺎﻝَ : ﺃَﺗَﻴْﺖُ ﺭﺳﻮﻝَ ﺍﻟﻠَّﻪ ﷺ ﻓَﻘَﺎﻝَ : « ﺟِﺌْﺖَ ﺗﺴﺄَﻝُ ﻋﻦِ ﺍﻟﺒِﺮِّ؟ » ﻗُﻠْﺖُ : ﻧَﻌَﻢْ، ﻓَﻘَﺎﻝَ : « ﺍﺳْﺘَﻔْﺖِ ﻗَﻠْﺒَﻚَ، ﺍﻟﺒِﺮُّ : ﻣَﺎ ﺍﻃْﻤَﺄَﻧَّﺖْ ﺇِﻟَﻴْﻪِ ﺍﻟﻨَّﻔْﺲُ، ﻭﺍﻃْﻤَﺄَﻥَّ ﺇِﻟَﻴْﻪِ ﺍﻟﻘَﻠْﺐُ، ﻭﺍﻹِﺛﻢُ : ﻣَﺎ ﺣﺎﻙَ ﻓﻲ ﺍﻟﻨَّﻔْﺲِ، ﻭﺗَﺮَﺩَّﺩَ ﻓِﻲ ﺍﻟﺼَّﺪْﺭِ، ﻭﺇِﻥْ ﺃَﻓْﺘَﺎﻙَ ﺍﻟﻨَّﺎﺱُ ﻭَﺃَﻓْﺘَﻮﻙَ » ﺣﺪﻳﺚٌ ﺣﺴﻦٌ، ﺭﻭﺍﻩُ ﺃﺣﻤﺪُ ﻭﺍﻟﺪَّﺍﺭﻣِﻲُّ ﻓﻲ " ﻣُﺴْﻨَﺪَﻳْﻬِﻤﺎ ."

তিনি বলেন,আমি রাসূলুল্লাহ সাঃ এর নিকট গেলাম।রাসূলুল্লাহ সাঃ আমাকে বললেন,তুমি কি নেকীর কাজ সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করার জন্য এসেছ?আমি বললাম জ্বী হ্যা, ইয়া রাসূলাল্লাহ!

তখন তিনি আমাকে বললেন,তুমি তোমার অন্তরের নিকট ফাতওয়া জিজ্ঞাসা করো।নেকি হল সেটা যার উপর অন্তর প্রশান্তিবোধ করে,এবং যে জিনিষের উপর অন্তর শান্ত থাকে।আর গোনাহ হল সেটা,যা অন্তরে অশান্তি সৃষ্টি করে নাড়িয়ে দেয়,এবং অন্তরকে দ্বিধান্বিত করে ফেলে।যদিও উক্ত কাজ সম্পর্কে মুফতিগণ বৈধতার ফাতাওয়া প্রদাণ করুক না কেন। (মুসনাদে আহমদ-১৭৫৪৫)

সুপ্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন!

(১) এটা ফাতাওয়ার কোনো বিষয়।প্রতিষ্টানের নিয়মের যাতে উল্টো না হয়, সেই বিষয়টার প্রতি লক্ষ্য করে আপনার জন্য কল্যাণকর হয়,এমন সিদ্ধান্ত নিয়ে নিবেন।

(২)

আপনার বর্ণিত ব্যক্তিকে সালাম দেয়া নাজায়েয হবে কেন? সালাম দেয়া যাবে। 

Comments

আমার আরেকটা প্রশ্ন আছে।

আমার বিদ্যালয়ে হয়ত ২ জুন থেকে পরীক্ষা শুরু হতে পারে।।এদিকে আমার বাইরের প্রাইভেটে ইংরেজি অনেক কিছু বাকি আছে। এটা যাতে সেই শিক্ষক তাড়াতাড়ি শেষ করে দেয় তাই আমি কথা বলতে চাই। এখন সেখানে হয়ত ১)কোন হিন্দু থাকতে পারে যে সেখানে পড়ে আর ২)কিছু মেয়ে হয়ত আছে দুনিয়াবি ফায়দা মানে চাকরির জন্য পড়ছে( হয়ত)।  আমি যদি আমার সেই শিক্ষক কে এগুলো শেষ করতে বলি আর যদি সেই শিক্ষক তা করে তাহলে তাদের (১ ও ২) উপকার হবে, এভাবে ওই শিক্ষক কে বলা কি আমার জন্য জায়েজ হবে?

---

নাজায়েয হবে কেন? কথাতে তো খারাপ কিছু দেখতে পাচ্ছি না।

---

মানে বলতে চাচ্ছিলাম যে আমি তো আমার পড়াশোনায় ভাল করতে সেই শিক্ষককে এই কথা বলতে চাই। আর সেই শিক্ষক যদি আমার কথা শুনে আমাদেরকে এভাবে পড়ায় তাহলে পরোক্ষভাবে তাদের উপকার হয়ে যায়। তাই বলছিলাম নাজায়েজ হবে কিনা।

---

না, নাজায়েয হবে না।জাযাকিল্লাহ।