ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম।
জবাবঃ-
(০১)
মহান আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করেনঃ
کَذٰلِکَ ۟ وَ زَوَّجۡنٰهُمۡ بِحُوۡرٍ عِیۡنٍ ﴿ؕ۵۴﴾
এরূপই ঘটবে, আর আমি তাদেরকে বিয়ে দেব ডাগর নয়না হূরদের সাথে।
(সুরা দুখান ৫৪)
مُتَّکِئِیۡنَ عَلٰی سُرُرٍ مَّصۡفُوۡفَۃٍ ۚ وَ زَوَّجۡنٰهُمۡ بِحُوۡرٍ عِیۡنٍ ﴿۲۰﴾
সারিবদ্ধ পালঙ্কে তারা হেলান দিয়ে বসবে; আর আমি তাদেরকে মিলায়ে দেব ডাগরচোখা হূর-এর সাথে।
(সুরা তূর ৫২)
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, প্রথম যে দলটি জান্নাতে যাবে তাদের চেহারার লাবন্য হবে পূর্নিমার রাত্রির চাঁদের চেয়েও বেশী। তারা থুথু নিক্ষেপকারী হবে না, শর্দি-কাশি সম্পন্ন হবে না, পায়খানা-পেশাব করবেনা, তাদের পেয়ালা হবে স্বর্ণের, চিরুনি হবে স্বর্ণ ও রৌপ্যের, তাদের আগরকাঠ হবে উন্নতমানের উদকাঠ, ঘাম হবে মিসক, তাদের প্রত্যেকের থাকবে দু’জন করে স্ত্রী, যাদের সৌন্দর্যের প্রমাণ এত স্পষ্ট যে, তাদের হাড়ের ভিতরের মজ্জা গোস্ত ভেদ করে দেখা যাবে। [বুখারী: ৩০০৬, মুসলিম: ২৮৩৪]
তারা হায়েয, নিফাস, থুথু, কাশি, পেশাব, পায়খানা এসব থেকে মুক্ত থাকবে।
মহান আল্লাহ বলেন, “আর তাদের জন্য সেখানে থাকবে পবিত্ৰা স্ত্রীগণ, এবং তারা সেখানে স্থায়ী হবে।” [সূরা আল-বাকারাহ: ২৫]
তাছাড়া তাদের সৌন্দর্যও হবে চিত্তাকর্ষক।
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, “যদি জান্নাতী কোন মহিলা যমীনের অধিবাসীদের দিকে তাকাতো তবে আসমান ও যমীনের মাঝের অংশ আলোতে ভরপুর হয়ে যেত, সুগন্ধিতে ভরে দিত। এমনকি তার মাথাস্থিত। উড়না দুনিয়া ও তার মধ্যে যা আছে তা থেকে উত্তম।” [বুখারী: ২৬৪৩, ২৭৯৬]
★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই,
প্রশ্নে উল্লেখিত ফজিলত সামনে রেখে এর উপর আমল করা যাবে।
তবে উক্ত বিষয় হাদীসে খুজে পাইনি।
(০২)
যেহেতু আল্লাহ তায়ালা উক্ত দোয়া আরবিতে নাযিল করেছেন,আর রাসুলুল্লাহ সাঃ আরবীতেই সেই দোয়াগুলি করতেন,তাই কুরআন হাদীসে বর্ণিত দোয়া গুলি আরবিতে করলেই বরকত বেশি হবে।
,
তবে বাংলায় করাও যাবে,সমস্যা নেই।
(০৩)
বেশি কম কবুল বলতে এখানে কিছু দোয়া কবুল হয়না,আত কিছু দোয়া কবুল হয় বুঝানো হয়েছে।
,
উপরোক্ত ক্ষেত্রগুলোতে দোয়া গুলি কবুল হওয়ার অধিক সম্ভাবনা থাকে,তাই সেটিকে বেশি কবুল হয় বলা হয়েছে।
(০৪)
হ্যাঁ সেটি কবুল হওয়ার আশা রাখবেন।
(০৫)
নিজের চেষ্টার পাশাপাশি দোয়ার গুরুত্ব কম নয়।
তাই শতভাগ চেষ্টা করারা পাশাপাশি দোয়াও চালিয়ে যেতে হবে।
(০৬)
আল্লাহর কাছে বেশি নেক আমলের তওফিক চাইতে হবে।
নেক কাজের ইচ্ছার পাশাপাশি দোয়া করলে অনেক নেক আমলের তওফিক মিলবে,ইনশাআল্লাহ।