আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
121 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (87 points)
আসসালামুয়ালাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহি ওয়া বারকাতুহু।
১/ আমাদের নবি অনেক দুয়া আমল আমাদের শিখিয়েছেন কিন্তু সবগুলো ধারণ করা সম্ভব নয়। আবার প্রয়োজনীয় সব দুয়া জানাও সম্ভব নয়। আমরা কি বাংলায় দুয়া করলে পরিপূর্ণ ফজিলত পাব ইন শা আল্লাহ??
২/ মানুষের মর্যাদার স্তর আসলে কিসের উপর নির্ভর করে? ইলম অর্জন নাকি অন্য কিছু?
৩/ আলীম থেকে শুরু করে সাধারণ মানুষ পর্যন্ত সর্বস্তর এর মানুষ এর এমন কি করণিয় রয়েছে যাতে তারা আল্লাহ এর অধিক প্রিয় হতে পারে এবং অধিক মর্যাদা লাভ করতে পারে?
৪/ এটা কি সত্য যে আল্লাহ সবাইকেই কোন না কোন বিষয়ে পারদর্শী করেছে এজন্য সবার দ্বারা সবটা হয় না, তাহলে সাধারণ জনগণ এর কি করণিয়?
৫/ এটা কি সত্য যে আল্লাহ কিছু মানুষ কে করেছেন নেক কাজ প্রবণ এবং কিছু মানুষ কে করেছেন গুনাহ প্রবণ আর তাদের হিসাব সেভাবেই তিনি করবেন?
৬/ দুয়া এর মাধ্যমে কি অসাধ্য কিছু সাধন হওয়া সম্ভব? যা হয়ত আমার দ্বারা সম্ভব হত না(কিন্তু অন্য মানুষ করেছেন) তাও কি সম্ভবপর হতে পারে?
৭/ আমি কিভাবে বুঝব যে আমি ঠিক পথে আছি? অর্থাৎ আমার যেই সামান্য আমল টুকু করতে পাচ্ছি আল্লাহ এ রিচ্ছায় তা নষ্ট হচ্ছে না কিংবা আমার মৃত্যু ইমানী হবে কিংবা আল্লাহ আমার উপর নারাজ বা আমার দুয়া আল্লাহ পর্যন্ত পৌছাচ্ছে না এগুলো অচ্ছে কিনা তা কিভাবে বুঝব?
৮/ আল্লাহ এর অলী কিংবা আবীদ কিংবা নবীর ভালো উম্মাহ কি কেবল আলীম গোন ই হতে পারেন? সাধারোন মানুষ এর কি করণিয় আছে কোনো ??
জাযাকাল্লাহু খইরন। আল্লাহ আপনাদের মঙ্গল করুক।

1 Answer

0 votes
by (681,640 points)
edited by
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম।
জবাবঃ-


(০১)
পরিপূর্ণ ফজিলত ও বরকত পাওয়া যাবেনা।
তবে ফজিলত কিছু হলেও অবশ্যই পাওয়া যাবে।

(০২)
আল্লাহ তাআলার দৃষ্টিতে একটি মাত্র উপাদান রয়েছে। যা দ্বারা মানুষের মানুষের মান-মর্যাদা পরিমাপ করা যায়; মানুষের শ্রেষ্ঠত্ব প্রতিষ্ঠিত হয়। যে মাপকাঠি আল্লাহ তাআলা পবিত্র কুরআনে ঘোষণা করেছেন। 

আল্লাহ তাআলা বলেন-

یٰۤاَیُّہَا النَّاسُ اِنَّا خَلَقۡنٰکُمۡ مِّنۡ ذَکَرٍ وَّ اُنۡثٰی وَ جَعَلۡنٰکُمۡ شُعُوۡبًا وَّ قَبَآئِلَ لِتَعَارَفُوۡا ؕ اِنَّ اَکۡرَمَکُمۡ عِنۡدَ اللّٰہِ اَتۡقٰکُمۡ ؕ اِنَّ اللّٰہَ عَلِیۡمٌ خَبِیۡرٌ ﴿۱۳﴾ 

হে মানুষ! আমরা তোমাদেরকে সৃষ্টি করেছি এক পুরুষ ও এক নারী হতে, আর তোমাদেরকে বিভক্ত করেছি বিভিন্ন জাতি ও গোত্রে, যাতে তোমরা একে অন্যের সাথে পরিচিত হতে পার।
তোমাদের মধ্যে সে ব্যক্তিই আল্লাহর কাছে অধিক মর্যাদাবান; যে অধিক মুত্তাকি বা আল্লাহ ভিরু।
নিশ্চয় আল্লাহ সর্বজ্ঞ, সাম্যক অবহিত।
(সুরা হুজরাত : আয়াত ১৩)

★সুতরাং আল্লাহর নিকট মানুষের মর্যাদার স্তর তাকওয়ার উপর নির্ভর করে।

(০৩)
হাদীস শরীফে এসেছেঃ 

وَعَنْ أَبيْ هُرَيْرَةَ عَبدِ الرَّحْمَانِ بْنِ صَخْرٍ قَالَ : قَالَ رَسُولُ اللهِ ﷺإنَّ الله لاَ ينْظُرُ إِلى أَجْسَادِكُمْ وَلاَ إِلَى صُوَرِكمْ وَلَكن ينْظُرُ إِلَى قُلُوبِكُمْ وَأَعمَالِكُم رواه مسلم

আবূ হুরাইরা আব্দুর রহমান বিন স্বাখর (রাঃ) কর্তৃক বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, নিশ্চয় আল্লাহ তা‘আলা তোমাদের দেহ এবং তোমাদের আকৃতি দেখেন না, বরং তিনি তোমাদের অন্তর ও আমল দেখেন।
(মুসলিম ৬৭০৭-৬৭০৮)

★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
সকলের জন্য নিজের আমল শুদ্ধ করা প্রয়োজন, অধিক আমল প্রয়োজন আর আত্মশুদ্ধি প্রয়োজন। 

(০৪)
এটি অনেকেই বলে থাকে।
তবে কুরআন হাদীসে এমনটি পাইনি।

(০৫)
হ্যাঁ। 

(০৬)
হ্যা,আল্লাহ তায়ালা চাইলে সেই অসাধ্য কাজটিও আপনার দ্বারা হতে পারে।

(০৭)
নেক কাজে মনে আনন্দ অনুভব হওয়া,আর গুনাহের কাজে মনে টেনশন ও বাজে ভাব আসাই ঈমানের লক্ষন।

(০৮)
অবশ্যই সাধারণ মানুষও মহান আল্লাহর অনেক নিকটতম হতে পারেন।
দাওয়াত ও তাবলিগের মাধ্যমে হোক বা কোনো শায়খের অযিফা মানার মাধ্যমে হোক বা যেভাবেই হোক,ফরজ ইলম অর্জনের পাশাপাশি নিজের আমলের জিন্দেগী অনেক উন্নত করতে পারলে মহান আল্লাহর অনেক নিকটতম হওয়া যাবে।
ইনশাআল্লাহ।   


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (6 points)
.
প্রশ্নোত্তর-গুলো ভালো লেগেছে। 
যিনি প্রশ্ন করেছেন, তার মধ্যে নরমিয়াত আছে, জানার আগ্রহ আছে, অবশ্যই প্রশংসার যোগ্য। 

তবে, সর্বাবস্থায় আমাদের উচিত আল্লাহর কাছে এই দোয়া করা, যে, শয়তান যেন কোনোভাবেই আমাদেরকে উল্টাসিধা চিন্তায় না ফেলে, উল্টাসিধা ভাবনায় না ডুবিয়ে দেয়। 

প্রশ্নোত্তরকারী ভাই এবং আমাদের সকলকে আল্লাহ হিফাযত করুন ও দুনিয়া ও আখিরাতের সমস্ত কল্যাণ দান করুক, অকল্যান থেকে দূরে রাখুন। 
আমীন। 

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...