আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
359 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (87 points)
আসসালামুয়ালাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহি ওয়া বারকাতুহু।
১/ যে ব্যক্তি তিনটি কাজ করবে তাকে জান্নাতি হুরদের সাথে বিয়ে দেওয়া হবে। তিনটি কাজ হল এক. আল্লাহ এর ভয়ে তার উপর দেওয়া আমানত কে রক্ষা করা। দুই. নিজ হত্যাকারী কে মাফ করে দেওয়া। তিন. নামাজ এর পর সুরাহ ইখলাস পাঠ করা" - জানতে চেয়েছিলেন এটির বিবরণ কোথায় পেয়েছি। এটা আব্দুল্লাহ আজ্জাম (রহ) রচিত "জান্নাতি কুমারীদের কারা ভালোবাসে" বই এ পেয়েছি। জানতে চাচ্ছি যে এর ফজিলত কে সামনে রেখে এর উপর আমল করা যাবে কি?

২/ আগের উত্তরে বলেছিলেন যে বাংলায় দুয়া করলে পরিপূর্ণ ফজিলত ও বরকত পাওয়া যায় না। এর দ্বারা আসলে কি বুঝিয়েছিলেন? এক্ষেত্রে কি বাংলায় দুয়া করলে সেই দুয়া কবুল হবে এর আশা রাখব যেহেতু আল্লাহ দুয়া কবুলকারী। কেননা আরবি ভাষায় মনের সকল চাওয়া পাওয়া সবসময় করা যায় না দুয়া এর মাধ্যমে।

৩/দুয়া কবুল এর বিশেষ সময়/অবস্থান/স্থান এ দুয়া বেশি কবুল হয়(যেমন তাহাজ্জুদ, সিজদাহ, ইফতার এর আগে, আরাফাত এর ময়দানে) এর দ্বারা আসলে কি বোঝায়? দুয়া তো দুয়া ই বেশি কম কবুল বলতে কি বোঝায়।

৪/ আমি যদি আখিরাত সংক্রান্ত কোনো দুয়া(বাংলায়) যেকোনো সময় করি তাহলে কি সেটা কবুল হবার আশা রাখব? কেননা আল্লাহ এর কাছে যা চাও্যা যায় তাই পাওয়া যায় আর আখিরাত এর ঊর্ধে কিছু নেই যে উক্ত দুয়ার বিনিময়ে আল্লাহ কিছু দিবেন।

৫/ নিজের আত্মিক/চারিত্রিক/বাহ্যিক যেকোনো উন্নতির জন্য বারবার দুয়া করা উচিত যদিও চেষ্টার কমতি থাকে? নাকি নিজের চেষ্টা সবচেয়ে গুরুত্মপূর্ন?

৬/ সবকিছুই আল্লাহ এর তৌফিক এ হয়। যেকোনো আমল থেকে শুরু করে গুনাহ থেকে বেচে থাকা। দেখা যায় অনেকেই অনেক অসাধ্য পর্যায়ের আমল করেন যা অনেকের জন্য অচিন্ত্যনীয়।  আল্লাহ এর তৌফিক কি আল্লাহ নিজের পছন্দণিয় বান্দা দের ই দেন। অধিক তৌফিক লাভ এর জন্য মানুষের করণীয় আছে কি? দয়া করে জানাবেন হুজুর।
শেইখ আমার সুযোগ নেই সরাসরি গিয়ে যোগাযোগ করার। কিন্তু ইলম এতটাই সম্মান এর যে সেটা করণিয় ছিল আমার। বিভিন্ন প্রশ্ন মাথায় ঘুরপাক খায় এজন্য আপনাদের শরণাপন্ন হই অয়েবসাইট এর মাধ্যমে। প্রশ্ন করায় ভুল ত্রুটি থাকলে কিংবা বেশি প্রশ্ন অনেক সময় হয়ে গেলে দয়া করে মাফ করে দিবেন। আল্লাহ আপনাদের মঙ্গল করুক।

যাজাকাল্লাহু খইরন।

1 Answer

0 votes
by (574,050 points)
edited by
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম।
জবাবঃ-


(০১)
মহান আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করেনঃ 
کَذٰلِکَ ۟ وَ زَوَّجۡنٰهُمۡ بِحُوۡرٍ عِیۡنٍ ﴿ؕ۵۴﴾

এরূপই ঘটবে, আর আমি তাদেরকে বিয়ে দেব ডাগর নয়না হূরদের সাথে। 
(সুরা দুখান ৫৪)

مُتَّکِئِیۡنَ عَلٰی سُرُرٍ مَّصۡفُوۡفَۃٍ ۚ وَ زَوَّجۡنٰهُمۡ بِحُوۡرٍ عِیۡنٍ ﴿۲۰﴾

সারিবদ্ধ পালঙ্কে তারা হেলান দিয়ে বসবে; আর আমি তাদেরকে মিলায়ে দেব ডাগরচোখা হূর-এর সাথে। 
(সুরা তূর ৫২)

রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, প্রথম যে দলটি জান্নাতে যাবে তাদের চেহারার লাবন্য হবে পূর্নিমার রাত্রির চাঁদের চেয়েও বেশী। তারা থুথু নিক্ষেপকারী হবে না, শর্দি-কাশি সম্পন্ন হবে না, পায়খানা-পেশাব করবেনা, তাদের পেয়ালা হবে স্বর্ণের, চিরুনি হবে স্বর্ণ ও রৌপ্যের, তাদের আগরকাঠ হবে উন্নতমানের উদকাঠ, ঘাম হবে মিসক, তাদের প্রত্যেকের থাকবে দু’জন করে স্ত্রী, যাদের সৌন্দর্যের প্রমাণ এত স্পষ্ট যে, তাদের হাড়ের ভিতরের মজ্জা গোস্ত ভেদ করে দেখা যাবে। [বুখারী: ৩০০৬, মুসলিম: ২৮৩৪]

তারা হায়েয, নিফাস, থুথু, কাশি, পেশাব, পায়খানা এসব থেকে মুক্ত থাকবে। 

মহান আল্লাহ বলেন, “আর তাদের জন্য সেখানে থাকবে পবিত্ৰা স্ত্রীগণ, এবং তারা সেখানে স্থায়ী হবে।” [সূরা আল-বাকারাহ: ২৫] 

তাছাড়া তাদের সৌন্দর্যও হবে চিত্তাকর্ষক। 

রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, “যদি জান্নাতী কোন মহিলা যমীনের অধিবাসীদের দিকে তাকাতো তবে আসমান ও যমীনের মাঝের অংশ আলোতে ভরপুর হয়ে যেত, সুগন্ধিতে ভরে দিত। এমনকি তার মাথাস্থিত। উড়না দুনিয়া ও তার মধ্যে যা আছে তা থেকে উত্তম।” [বুখারী: ২৬৪৩, ২৭৯৬]

★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই,
প্রশ্নে উল্লেখিত ফজিলত সামনে রেখে এর উপর আমল করা যাবে।
তবে উক্ত বিষয় হাদীসে খুজে পাইনি। 

(০২)
যেহেতু আল্লাহ তায়ালা উক্ত দোয়া আরবিতে নাযিল করেছেন,আর রাসুলুল্লাহ সাঃ আরবীতেই সেই দোয়াগুলি করতেন,তাই কুরআন হাদীসে বর্ণিত দোয়া গুলি আরবিতে করলেই বরকত বেশি হবে।
,
তবে বাংলায় করাও যাবে,সমস্যা নেই।

(০৩)
বেশি কম কবুল বলতে এখানে কিছু দোয়া কবুল হয়না,আত কিছু দোয়া কবুল হয় বুঝানো হয়েছে।
,
উপরোক্ত ক্ষেত্রগুলোতে দোয়া গুলি কবুল হওয়ার অধিক সম্ভাবনা থাকে,তাই সেটিকে বেশি কবুল হয় বলা হয়েছে।

(০৪)
হ্যাঁ সেটি কবুল হওয়ার আশা রাখবেন।


(০৫)
নিজের চেষ্টার পাশাপাশি দোয়ার গুরুত্ব কম নয়।
তাই শতভাগ চেষ্টা করারা পাশাপাশি দোয়াও চালিয়ে যেতে হবে।

(০৬)
আল্লাহর কাছে বেশি নেক আমলের তওফিক চাইতে হবে।
নেক কাজের ইচ্ছার পাশাপাশি দোয়া করলে অনেক নেক আমলের তওফিক মিলবে,ইনশাআল্লাহ।  


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...