ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম।
জবাবঃ-
(০১)
এ সংক্রান্ত বিস্তারিত জানুনঃ
(০২)
হাদীস শরীফে এসেছেঃ
حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ مُحَمَّدِ بْنِ حَنْبَلٍ، حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، أَخْبَرَنَا أَيُّوبُ، عَنْ عِكْرِمَةَ، أَنَّ عَلِيًّا، عَلَيْهِ السَّلَام أَحْرَقَ نَاسًا ارْتَدُّوا عَنِ الْإِسْلَامِ، فَبَلَغَ ذَلِكَ ابْنَ عَبَّاسٍ، فَقَالَ: لَمْ أَكُنْ لِأُحْرِقَهُمْ بِالنَّارِ، إِنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: لَا تُعَذِّبُوا بِعَذَابِ اللَّهِ، وَكُنْتُ قَاتِلَهُمْ بِقَوْلِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَإِنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: مَنْ بَدَّلَ دِينَهُ فَاقْتُلُوهُ، فَبَلَغَ ذَلِكَ عَلِيًّا عَلَيْهِ السَّلَام، فَقَالَ: وَيْحَ ابْنِ عَبَّاسٍ صحيح
ইকরিমাহ (রহঃ) সূত্রে বর্ণিত। আলী (রাঃ) কিছু সংখ্যক মুরতাদকে আগুনে পুড়িয়ে হত্যা করেন। ইবনু আব্বাস (রাঃ) তা জানতে পেরে বলেন, আমি কিন্তু রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর বাণী অনুসরণ করে এদের আগুনে পুড়িয়ে হত্যা করতাম না। কেননা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ তোমরা কাউকে আল্লাহর শাস্তির উপকরণ দ্বারা শাস্তি দিও না। তবে আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর বক্তব্য মোতাবেক এদের মৃত্যুদন্ড দিতাম। কারণ, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ যে ব্যক্তি নিজের ধর্ম (ইসলাম) পরিবর্তন করে তোমরা তাকে হত্যা করো। ইবনু আব্বাস (রাঃ) বর্ণিত এ হাদীস শুনে আলী (রাঃ) বলেন, আহ! ইবনু আব্বাস (রাঃ) সত্য বলেছেন।
(আবু দাউদ ৪৩৫১)
নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের বাণী “যে ব্যক্তি ধর্ম ত্যাগ করে তাকে হত্যা কর।” [সহিহ বুখারী (২৭৯৪)]।
হাদিসে ধর্ম দ্বারা উদ্দেশ্য ইসলাম।
(৩.৪)
হ্যাঁ, ইসলাম ধর্ম ত্যাগ করলেই এই শাস্তি আরোপ হবে।
তবে সরকার সেটি বাস্তবায়ন করবেন।
বিস্তারিত জানুনঃ
(০৫)
এতে কুরআনের চ্যালেঞ্জ সে বুঝেইনি।
কেননা এমনটি একটি লিখলেই তো কুরআনের চ্যালেঞ্জ মুকাবেলা হবেনা।
এতোই যদি সহজ হতো,তাহলে এতো বছর ধরে দুনিয়াবাসী অক্ষম কেনো?
এখানে কুরআনের বালাগাত,ফাসাহাত,ভাষাগত সৌন্দর্যতা,ছন্দ,অমীয় বানী ,সহ আরো অনেক বিষয়কে গুরুত্ব দিয়েই কোনো আয়াত লেখার চ্যালেঞ্জ করা হয়েছে।
(০৬)
হ্যাঁ যাবে।
একজন মুক্তাদী হলে সে ইমামের ডান দিকে পিছনে সামান্য সড়ে দাড়াবে।
দুইজন হলে পিছনে কাতার করে দাড়াবে।
(০৭)
হ্যাঁ উভয় ছুরতেই এতে জামাত হয়েছে।
উভয় ছুরতেই আপনার নিয়ত ঠিক আছে।
(০৮)
জামে' মসজিদে নামাজ পড়লে বেশি ছওয়াব পাওয়ার কথা হাদীসে আছে।
সুতরাং প্রশ্নে উল্লেখিত বিষয় সহীহ।
তবে বিনা ওযরে নিজ মহল্লার মসজিদে আযান শোনার সেটি ত্যাগ করে যাওয়া মাকরুহ হবে।