আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
200 views
in সালাত(Prayer) by (9 points)
Assalamu alaikum

1) কুরআনে বলা আছে কোনো মুসলিম ভূমি কাফির দ্বারা আক্রমণের শিকার হলে ওই ভূমির অধিনস্ত দের উপর ফরজ সেই ভূমিকে রক্ষা করা, জিহাদ করা। ওই লোকেরা না করলে পার্শ্ববর্তী দেশের মুসলিমদের এগিয়ে আসতে হবে।

সেই হিসাবে কেনো আমাদের উপর মিয়ানমারের আরাকান অঞ্চলে জিহাদ করা ফরজ হয় নাই? এ বিষয়ে আলেমদের কোনো মতামত নেই কেনো?
2)ইসলামে জবরদস্তি নেই।তাহলে কোনো মুসলিম যদি ইসলাম ধর্ম ত্যাগ করে তাহলে কেনো মেরে ফেলতে হবে?

3) একজন মুরতাদ কে কখন মারা জায়েজ( ইসলামী হুকুমত কায়েম থাকাকালিন এবং আমির থাকাকালিন) ইসলাম ত্যাগ করলো মারতে হবে নাকি ইসলামকে কে নিয়ে কটূক্তি করলে তখন মারা জায়েজ??

4) কোনো মুরতাদ যদি জাস্ট এমনই ধর্ম ত্যাগ করে, ইসলামকে নিয়ে খারাপ কথা বলে না তকন কি মারা যাবে??

5) কুরআনে বলা হয়েছে পারলে কুরআনের মত একটা আয়াত লিখে দেখাক।

এখন একজন নাস্তিকের প্রশ্ন :ৎ্ঋ্যক্ষজ্ঞ এইটা একটা আয়াত ।কেননা আলিফ লাম মিম যদি একটা আয়াত হয় জেতার অর্থ কেও জানে না তেমনি এটাও একটা আয়াত? এই কথার লজিক কি?  নাস্তিকের আরেকটা প্রশ্ন  """"তোমরা4 বিয়ে করো না""" এটা একটা আয়াত । তাইলে কি কুরআন ভুল,?????? (নাউযুবিল্লাহ)
।এই কথার প্রেক্ষিতে কি বলবো????..

6) 2 জনকে নিয়ে জামাতে নামাজ হবে?

7) আমি নিয়ত করেছি 40 দিন টানা জামাতে নামাজ পড়ব
ক)একদিন আমি এবং আমার এক চাচা কে নিয়ে নামাজ পড়েছি।এটা কি জামাত হয়েছে???? আমার নিয়ত কি এখনও ঠিক আছে?

         ২) একদিন এমন একটা জায়গায় নামাজ পড়েছি যেখানে খালি 5 ওয়্যাক্ত নামাজ হয়।জুম্মা হয় না। ।ওইখানে নামাজ পড়লে কি আমার নিয়ত ঠিক থাকবে?

8/) যেখানে জুম্মা হয় না সেখানে নামাজ পড়লে কি কম সওয়াব পাওয়া যাবে( জামাতে)

1 Answer

0 votes
by (573,960 points)
edited by
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম।
জবাবঃ-


(০১)
এ সংক্রান্ত বিস্তারিত জানুনঃ

(০২)
হাদীস শরীফে এসেছেঃ 

حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ مُحَمَّدِ بْنِ حَنْبَلٍ، حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، أَخْبَرَنَا أَيُّوبُ، عَنْ عِكْرِمَةَ، أَنَّ عَلِيًّا، عَلَيْهِ السَّلَام أَحْرَقَ نَاسًا ارْتَدُّوا عَنِ الْإِسْلَامِ، فَبَلَغَ ذَلِكَ ابْنَ عَبَّاسٍ، فَقَالَ: لَمْ أَكُنْ لِأُحْرِقَهُمْ بِالنَّارِ، إِنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: لَا تُعَذِّبُوا بِعَذَابِ اللَّهِ، وَكُنْتُ قَاتِلَهُمْ بِقَوْلِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَإِنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: مَنْ بَدَّلَ دِينَهُ فَاقْتُلُوهُ، فَبَلَغَ ذَلِكَ عَلِيًّا عَلَيْهِ السَّلَام، فَقَالَ: وَيْحَ ابْنِ عَبَّاسٍ صحيح

ইকরিমাহ (রহঃ) সূত্রে বর্ণিত। আলী (রাঃ) কিছু সংখ্যক মুরতাদকে আগুনে পুড়িয়ে হত্যা করেন। ইবনু আব্বাস (রাঃ) তা জানতে পেরে বলেন, আমি কিন্তু রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর বাণী অনুসরণ করে এদের আগুনে পুড়িয়ে হত্যা করতাম না। কেননা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ তোমরা কাউকে আল্লাহর শাস্তির উপকরণ দ্বারা শাস্তি দিও না। তবে আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর বক্তব্য মোতাবেক এদের মৃত্যুদন্ড দিতাম। কারণ, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ যে ব্যক্তি নিজের ধর্ম (ইসলাম) পরিবর্তন করে তোমরা তাকে হত্যা করো। ইবনু আব্বাস (রাঃ) বর্ণিত এ হাদীস শুনে আলী (রাঃ) বলেন, আহ! ইবনু আব্বাস (রাঃ) সত্য বলেছেন।
(আবু দাউদ ৪৩৫১)

নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের বাণী “যে ব্যক্তি ধর্ম ত্যাগ করে তাকে হত্যা কর।” [সহিহ বুখারী (২৭৯৪)]। 
হাদিসে ধর্ম দ্বারা উদ্দেশ্য ইসলাম।

(৩.৪)
হ্যাঁ, ইসলাম ধর্ম ত্যাগ করলেই এই শাস্তি আরোপ হবে।
তবে সরকার সেটি বাস্তবায়ন করবেন।

বিস্তারিত জানুনঃ

 (০৫)
এতে কুরআনের চ্যালেঞ্জ সে বুঝেইনি।
কেননা এমনটি একটি লিখলেই তো কুরআনের চ্যালেঞ্জ মুকাবেলা হবেনা।
এতোই যদি সহজ হতো,তাহলে এতো বছর ধরে দুনিয়াবাসী অক্ষম কেনো?

এখানে কুরআনের বালাগাত,ফাসাহাত,ভাষাগত সৌন্দর্যতা,ছন্দ,অমীয় বানী ,সহ আরো অনেক বিষয়কে গুরুত্ব দিয়েই কোনো আয়াত লেখার চ্যালেঞ্জ করা হয়েছে।     

(০৬)
হ্যাঁ যাবে।

একজন মুক্তাদী হলে সে ইমামের ডান দিকে পিছনে সামান্য সড়ে দাড়াবে।
দুইজন হলে পিছনে কাতার করে দাড়াবে।

(০৭)
হ্যাঁ উভয় ছুরতেই এতে জামাত হয়েছে।
উভয় ছুরতেই আপনার নিয়ত ঠিক আছে।

(০৮)
জামে' মসজিদে নামাজ পড়লে বেশি ছওয়াব পাওয়ার কথা হাদীসে আছে।
সুতরাং প্রশ্নে উল্লেখিত বিষয় সহীহ।
তবে বিনা ওযরে নিজ মহল্লার মসজিদে আযান শোনার সেটি ত্যাগ করে যাওয়া মাকরুহ হবে।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

0 votes
1 answer 157 views
...