আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
260 views
in পরিবার,বিবাহ,তালাক (Family Life,Marriage & Divorce) by (1 point)
আছছালামুয়ালাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।#জরুরী_মাসয়ালা_বিষয়ক_প্রশ্ন।
প্রাপ্তবয়স্ক ছেলেমেয়ে অভিভাবক ছাড়া বিয়ে করে দশদিন একসাথে থাকে।পরে ছেলেমেয়ের বনিবনা হয়না আর মেয়ে হেদায়েতপ্রাপ্ত হয় আর ছেলে অবুজ।মেয়ে অনেক বুজিয়েও স্বামীকে দীনের পথে আনতে ব্যার্থ হয়।বনিবনা না হওয়ায় ছেলে মুখে তিন তালাক দেয় তখন মেয়ে হায়জ অবস্থায় ছিল(হায়জ অবস্থায় তালাক হয়না)।পরবর্তীতে মেয়ে এক পর্যায়ে কোর্ট থেকে তালাক দেয় কিন্তু ছেলে পেপারে সাইজ করতে আগ্রহ দেখায়না পরে ছেলে সাইন করত্র চাইলে কোর্ট থেকে এডভোকেট তাদেরকে পেপার পাঠাতে নিষধ করে মেয়ের ক্ষতির আশংকা আছে যেহেতু আগেও ছেলে মেয়ের ক্ষতি করেছে মেয়ে তালাক দিলে ছেলে সাইন না করলেও তিন মাস পার হলে তালাক হয়ে যায়,তাই আর ছেলেকে পেপার পাঠানো হয়নি।মেয়ের পরিবারের সাধারণ ২/১জন ছাড়া কেউ তার বিয়ে সম্পর্কে জানেনা আর তালাক সম্পর্কেও না।এখন মেয়ের বাসা থেকে বিয়ের জন্য পাত্র দেখছে কিন্তু তারা মেয়েকে অবিবাহিতা বলে বিয়ে দিবে কারন তারা বিয়ের কথা জানেনা।মেয়ে আল্লাহর কাছে প্রতিনিয়ত তাওবা করে যাচ্ছে, আর চাচ্ছে পরিপূর্ণ শরীয়াহ মোতাবেক জীবন গড়তে।
এখন প্রথম প্রশ্ন-বিয়ে এক হুজুর পড়িয়েছে কিন্তু বলেছে এটা কোর্ট ম্যারিজ।মেয়ে তালাক দিয়েচ্ছে কোর্ট থেকে ছেলে সাইন করেনি কারন দেশের বাইরে থাকে তাই সাইন করা সম্ভব না, কোর্ট থেকে বলা হয়েছে ছেলে সাইন না করলেও তিনমাস পর তারা একে অপরের জন্য অবৈধ হয়ে যাবে। মেয়েরা তালাক দিলে নাকি অনেক ক্ষেত্রে তালাক হয়না তারা কি আসলেই দুজন অবৈধ হয়ে গেছে নাকি আরো কিছু করতে পারবে?এখন মেয়ের অন্য জায়গায় বিয়ে বৈধ হবে কিনা?
আরেকটা প্রশ্ন- মানুষের পাপ গোপন রাখতে হয়।এবং স্বামীকে নাকি কষ্ট পায় এমন অতীত জানাতে শরীয়াহ সমর্থন করেনা।কিন্তু মেয়ে ভয় পাচ্ছে তার পরিবার তাকে বিয়ে দিলে তার স্বামীকে সে কিভাবে ব্যাপারটা জানাবে? এই অতীত জানানো জরুরী কিনা? কারন মেয়ে ভয় পাচ্ছে মিথ্যা বলে কিভাবে বিয়ে করবে একজনকে ঠকানো হবে কিনা? এদিকে তার পরিবারে তার জানানোর কোনো অবস্থা নেই জানাজানি হলে সমস্যা,  আবার কোনো দ্বীনদার  ছেলেকে এভাবে জানালে সে কি মেনে নিবে কিনা বা ব্যাপারটা জানাজানি হয়ে যাওয়ার আশংকা থাকে।পুরো ঘটনার প্রেক্ষিতে একটা সহজ উত্তর চাচ্ছি যা শরিয়াহ মোতাবেক  ।

নিশ্চয়ই আল্লাহ আপনাদের পরিশ্রমের উত্তম প্রতিদান দিবেন।

1 Answer

0 votes
by (565,890 points)
edited by
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম।
জবাবঃ-


(০১)
https://ifatwa.info/4167/ ফতোয়াতে উল্লেখ রয়েছেঃ  
হায়েজের সময় যদিও তালাক দেয়া নিষেধ। কিন্তু তালাক দিলে তালাক পতিত হয়ে যায়।

ابْنَ عُمَرَ قَالَ طَلَّقَ ابْنُ عُمَرَ امْرَأَتَه“ وَهِيَ حَائِضٌ فَذَكَرَ عُمَرُ لِلنَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم فَقَالَ لِيُرَاجِعْهَا قُلْتُ تُحْتَسَبُ قَالَ فَمَهْ

ইবন ‘উমার (রাঃ) হতে বর্ণিত যে, তিনি তাঁর স্ত্রীকে হায়িয অবস্থায় তালাক দিলেন। ‘উমার (রাঃ) বিষয়টি নাবী এর কাছে ব্যক্ত করলেন। তখন তিনি বললেনঃ সে যেন তাকে ফিরিয়ে আনে। রাবী ইব্ন সীরীন) বলেন, আমি বললাম ,তালাকটি কি গণ্য করা হবে? তিনি (ইবনে ‘উমার) বললেন,তাহলে কী? [সহীহ বুখারী, হাদীস নং-৫২৫২]

يقع الطلاق باتفاق المذاهب الأربعة فى حال الحيض او فى حال الطهر الذى جامع الرجل أمرأته فيه، لأن النبى صلى الله عليه وسلم أمر ابن عمر بمراجعة أمرأته التى طلقها، وهى حائض المراجعة لا تكون إلا بعد وقوع الطلاق (الفقه الاسلامى وادلته-7/387-388)

যার সারমর্ম হলো  হায়েজের অবস্থায় তালাক দিলে তালাক পতিত হয়ে যাবে।    
এই বিষয়ে চার মাযহাব একমত,,,,,,,। 

★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
প্রশ্নে উল্লেখ রয়েছেঃ
""বনিবনা না হওয়ায় ছেলে মুখে তিন তালাক দেয় তখন মেয়ে হায়জ অবস্থায় ছিল""

সুতরাং ছেলে যেহেতু তিন তালাক দিয়েছে,সুতরাং তিন তালাক পতিত হয়ে গিয়েছে।   
এখন ইদ্দত অতিবাহিত হওয়ার পর  সেই মেয়ের অন্যত্রে বিবাহ সম্পূর্ণভাবে বৈধ হবে।

হায়েজের সময় যদিও তালাক দেয়া নিষেধ। গুনাহ। কিন্তু তালাক দিলে তালাক পতিত হয়ে যায়।
সুতরাং প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে উক্ত ছেলে মহান আল্লাহর কাছে তার এহেন কাজের কারনে মাফ চাইবে।     

(০২)
বিবাহের আগে আপনি সেই পাত্রের সাথে কথা বলার সময় বিষয়টি অন্যের থেকে গোপন করার শর্ত দিয়ে তাকে লুকিয়ে আগের আপনার সেই বিবাহ ও ঘর সংসার এর কথা বলবেন।
তাকে না হলে এভাবে বিবাহ করলে উক্ত বিষয় লুকানোর গুনাহ হবে।
আবার পরবর্তীতে সে জানতে পারলে বিষয়টি অন্য দিক মোড়ও নিতে পারে।
তাই জানানোই উত্তম হবে।    


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...