ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম।
জবাবঃ-
(০১)
হায়েজের সময় যদিও তালাক দেয়া নিষেধ। কিন্তু তালাক দিলে তালাক পতিত হয়ে যায়।
ابْنَ عُمَرَ قَالَ طَلَّقَ ابْنُ عُمَرَ امْرَأَتَه“ وَهِيَ حَائِضٌ فَذَكَرَ عُمَرُ لِلنَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم فَقَالَ لِيُرَاجِعْهَا قُلْتُ تُحْتَسَبُ قَالَ فَمَهْ
ইবন ‘উমার (রাঃ) হতে বর্ণিত যে, তিনি তাঁর স্ত্রীকে হায়িয অবস্থায় তালাক দিলেন। ‘উমার (রাঃ) বিষয়টি নাবী এর কাছে ব্যক্ত করলেন। তখন তিনি বললেনঃ সে যেন তাকে ফিরিয়ে আনে। রাবী ইব্ন সীরীন) বলেন, আমি বললাম ,তালাকটি কি গণ্য করা হবে? তিনি (ইবনে ‘উমার) বললেন,তাহলে কী? [সহীহ বুখারী, হাদীস নং-৫২৫২]
يقع الطلاق باتفاق المذاهب الأربعة فى حال الحيض او فى حال الطهر الذى جامع الرجل أمرأته فيه، لأن النبى صلى الله عليه وسلم أمر ابن عمر بمراجعة أمرأته التى طلقها، وهى حائض المراجعة لا تكون إلا بعد وقوع الطلاق (الفقه الاسلامى وادلته-7/387-388)
যার সারমর্ম হলো হায়েজের অবস্থায় তালাক দিলে তালাক পতিত হয়ে যাবে।
এই বিষয়ে চার মাযহাব একমত,,,,,,,।
★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
প্রশ্নে উল্লেখ রয়েছেঃ
""বনিবনা না হওয়ায় ছেলে মুখে তিন তালাক দেয় তখন মেয়ে হায়জ অবস্থায় ছিল""
সুতরাং ছেলে যেহেতু তিন তালাক দিয়েছে,সুতরাং তিন তালাক পতিত হয়ে গিয়েছে।
এখন ইদ্দত অতিবাহিত হওয়ার পর সেই মেয়ের অন্যত্রে বিবাহ সম্পূর্ণভাবে বৈধ হবে।
হায়েজের সময় যদিও তালাক দেয়া নিষেধ। গুনাহ। কিন্তু তালাক দিলে তালাক পতিত হয়ে যায়।
সুতরাং প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে উক্ত ছেলে মহান আল্লাহর কাছে তার এহেন কাজের কারনে মাফ চাইবে।
(০২)
বিবাহের আগে আপনি সেই পাত্রের সাথে কথা বলার সময় বিষয়টি অন্যের থেকে গোপন করার শর্ত দিয়ে তাকে লুকিয়ে আগের আপনার সেই বিবাহ ও ঘর সংসার এর কথা বলবেন।
তাকে না হলে এভাবে বিবাহ করলে উক্ত বিষয় লুকানোর গুনাহ হবে।
আবার পরবর্তীতে সে জানতে পারলে বিষয়টি অন্য দিক মোড়ও নিতে পারে।
তাই জানানোই উত্তম হবে।