জবাব
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته
بسم الله الرحمن الرحيم
হাদীস শরীফে এসেছেঃ
أَخْبَرَنَا عَلِيُّ بْنُ حُجْرٍ، قَالَ أَنْبَأَنَا عَلِيٌّ، - يَعْنِي ابْنَ مُسْهَرٍ - عَنْ سَعِيدٍ، عَنْ قَتَادَةَ، عَنْ مُعَاذَةَ الْعَدَوِيَّةِ، أَنَّ امْرَأَةً، سَأَلَتْ عَائِشَةَ أَتَقْضِي الْحَائِضُ الصَّلاَةَ إِذَا طَهُرَتْ قَالَتْ أَحَرُورِيَّةٌ أَنْتِ كُنَّا نَحِيضُ عَلَى عَهْدِ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ثُمَّ نَطْهُرُ فَيَأْمُرُنَا بِقَضَاءِ الصَّوْمِ وَلاَ يَأْمُرُنَا بِقَضَاءِ الصَّلاَةِ .
আলী ইবনু হুজর (রহঃ) ... মুআযা আদাবীয়া (রহঃ) থেকে বর্ণিত যে, এক মহিলা আয়িশা (রাঃ)-এর কাছে জিজ্ঞাসা করল যে, ঋতুবতী মহিলা যখন ঋতু থেকে পবিত্র হবে তখন কি সে সালাত কাযা করবে? তিনি বললেন, তুমি কি হারুরী গোত্রের মহিলা? আমরা তো রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর যুগে ঋতুবতী হতাম এবং যখন পবিত্র হতাম তখন আমাদেরকে সাওম কাযা করার নির্দেশ দেওয়া হল কিন্তু সালাত কাযা করার নির্দেশ দেওয়া হত না।
(নাসায়ী শরীফ ২৩২০।)
حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ، حَدَّثَنَا شَرِيكٌ، عَنْ أَبِي الْيَقْظَانِ، عَنْ عَدِيِّ بْنِ ثَابِتٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ جَدِّهِ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم أَنَّهُ قَالَ فِي الْمُسْتَحَاضَةِ " تَدَعُ الصَّلاَةَ أَيَّامَ أَقْرَائِهَا الَّتِي كَانَتْ تَحِيضُ فِيهَا ثُمَّ تَغْتَسِلُ وَتَتَوَضَّأُ عِنْدَ كُلِّ صَلاَةٍ وَتَصُومُ وَتُصَلِّي " .
আদী ইবনু সাবিত (রাহঃ) হতে পর্যায়ক্রমে তার পিতা ও দাদার সূত্রে বর্ণিত আছে, নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইস্তিহাযার রোগিণী সম্পর্কে বলেনঃ ইতোপূর্বে সে যে কয়দিন ঋতুবতী থাকতো ততদিন নামায ছেড়ে দেবে; অতঃপর গোসল করবে এবং প্রত্যেক নামাযের সময় নতুন করে ওযু করবে এবং রোযা রাখবে ও নামায আদায় করবে। —সহীহ। ইবনু মাজাহ– (৬২৫) তিরমিজি ১২৬)
★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
(০১)
হায়েজের সর্বোচ্চ সময়সীমা ১০ দিন ১০ রাত।
সুতরাং কোনো মহিলার যদি ১০ দিন এর বেশি মাসিক হয় কোনো মাসে, তিনি ১০ দিনের পর থেকে ফরজ বা নফল রোজা রাখতে পারবেন।
কেননা ১০ দিনের পর যারা যাহা আসে,সেটি ইস্তেহাজা।
★তিন দিনের কম হায়েজ হলে অনেকেই যেহেতু রোজা বাদ দেয় ঋতুস্রাব ভেবে।
সুতরাং তারা পরবর্তীতে সেই রোযা গুলির কাজা আদায় করবে।
আর উল্লেখিত বিষয়টি আল্লাহ তায়ালা মাফ করবেন।
(০২)
১০ দিন এর বেশি মাসিক স্থায়ী হলে ফরজ, সুন্নত, নফল সমস্ত নামাজ পড়তে পারবে।
কুরআন তিলাওয়াত করতে পারবে।
সবই করতে পারবে।
আর ৩ দিনের কম হলে সে সালাত আদায় করবে।
এখন বিষয়টি যেহেতু বুঝার উপায় নেই,সুতরাং সে আপাতত নামাজ বন্ধ রাখবে
যখন দেখবে যে ৩ দিনের কমেই হায়েজ বন্ধ হয়ে গিয়েছে,তখন সে উক্ত নামাজ গুলির কাজা আদায় করবে।
আর তার এই কাজা করার গুনাহ আল্লাহ তায়ালা মাফ করবেন।
হ্যাঁ যদি উক্ত মহিলার অভিজ্ঞতার আলোকে প্রবল ধারনা হয় যে তার এই মাসিক নিশ্চিত ৩ দিনের কমই হবে,তাহলে সে উক্ত দিন গুলোতে নামাজ রোযা কন্টিনিউ করতে পারবে।
আরো জানুনঃ